প্রলোগ: শেষ জ্যোৎস্না (১৯৮৭)
শরৎ চাঁদের নিচে, ক্লারা ভস ঝড়ো প্যাসিফিকের গর্জনের মধ্য দিয়ে ক্লিফসাইড ড্রাইভ বরাবর সাইকেল চালাচ্ছিল। লাইটহাউসের আলো তার উপর পড়তেই সামনে এক রহস্যময় ছায়া দেখে সে চিৎকার করে ওঠে। তার চিৎকার ঢেকে যায় ঢেউয়ের আওয়াজে। সেখানে থেকে যায় শুধু তার রূপোর লকার, যার গায়ে খোদাই করা এক রহস্যময় তরঙ্গ চিহ্ন।
অধ্যায় ১: ফিরে আসা জোয়ার (২০২৩)
তদন্তপর্ব সাংবাদিক এলিজা ভস ফিরে আসে স্টর্মকোভ, ওরেগনে—যেখানে তার শৈশব কেটেছে, আর যেটা এখন ক্লারার গুম হওয়ার স্মৃতিতে ভূতুড়ে। শরৎ উৎসবে আরেক মেয়ে মিয়া নিখোঁজ হয়, তার ফেলে যাওয়া স্কার্ফেও একই তরঙ্গ চিহ্ন। এলিজার সম্পাদক সতর্ক করে: "এই শহর রহস্য ডুবিয়ে দেয়।" কিন্তু ক্লারাকে ফেলে যাওয়ার অপরাধবোধ এলিজাকে ঠেলে চালায়।
অধ্যায় ২: যে শহর চাপা দিয়ে কথা বলে
স্টর্মকোভের সৌন্দর্যের আড়ালে লুকিয়ে আছে ভয়। মিয়ার বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদে এলিজা শোনে "ডুবন্ত কোরাস"-এর কিংবদন্তি—সমুদ্রের গহ্বরে আত্মা টানতে নাকি নারীদের দল। শেরিফ কোল, ক্লারার প্রাক্তন প্রেমিক, এটাকে অন্ধবিশ্বাস বলে উড়িয়ে দিলেও তার ফাইলে শতাব্দী প্রাচীন অমীমাংসিত ডুবে যাওয়ার ঘটনা জমা—প্রতি ৩০ বছর পর পর, সবসময় লাইটহাউসে।
অধ্যায় ৩: লাইটহাউস কিপারের ডায়েরি
পরিত্যক্ত লাইটহাউসে এলিজা পায় ১৯২৩ সালের ডায়েরি। কিপার এফ্রাইম হেল লিখেছেন: "কোরাস" সমুদ্রকে শান্ত করতে বলি চায়। ডায়েরি থেকে পড়ে যায় শুকনো একটি ফুল—বিরল কালো লিলি, যা শুধু হেল পরিবারের গ্রিনহাউসে জন্মায়। বর্তমান মেয়র? এলিনর হেল।
অধ্যায় ৪: গভীরে যা লুকানো
এলিজা এক মধ্যরাতের সমুদ্রতটের অনুষ্ঠানে ঘাপটি মেরে দেখে কালো পোশাক পরা শহরবাসীকে মন্ত্র পড়তে, যেখানে মুক্তোর মাস্ক পরা এক ব্যক্তি নৌকা ভাসায়। মেয়র হেল তাকে ধরে ফেলে, পাতলা হাসি দিয়ে বলে: "কিছু সত্য সন্ধানকারীকেও ডুবিয়ে দেয়।" পরে এক গোপন নোট পায় এলিজা: "ক্লারা বেঁচে। লাইটহাউসের তলা। ভোর।"
অধ্যায় ৫: কোরাসের মূল্য
তলার ঘরে এলিজা পায় ক্লারাকে—বয়সে ভাঙা, ফ্যাকাশে, নামের তালিকা আঁকড়ে ধরে। "ওরা আমার কণ্ঠ নিয়েছে, এখন মিয়াকে চায়," ক্লারা ফিসফিস করে। হেলের নেতৃত্বে এই সংঘ মেয়েদের বিদেশে পাচার করে, কিংবদন্তিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে।
অধ্যায় ৬: ঝড়ের চূড়ান্ত গর্জন
ঝড়ের মধ্যে এলিজা ছুটে যায় লাইটহাউসে। মিয়াকে পাথরে বাঁধা অবস্থায় পেয়ে সে মুক্ত করতে গেলে হেল এসে বলে: "কোরাসের গান বন্ধ হলে ঝড় সব গিলে খাবে।" এলিজা জরুরি সংকেত পাঠায়, কোস্ট গার্ড আসে। হেল ঢেউয়ের মধ্যে মিলিয়ে গেলেও মিয়া রক্ষা পায়।
উপসংহার: অমীমাংসিত ফিসফিসানি
হাসপাতালে ক্লারা ফিসফিস করে: "কোরাসের আরও নেতা আছে।" মেয়রের খালি অফিসে এক মানচিত্রে একই কিংবদন্তির শহরগুলোর চিহ্ন। এলিজার প্রতিবেদন প্রকাশ হয়, গ্রেপ্তার হয় অনেকেই—কিন্তু তার দরজায় আসে এক কালো লিলি। দূরে, রেডিওতে শোনা যায়: "চক্র চলমান।"
প্রতীক ও পরিবেশ
স্থান: স্টর্মকোভের খাড়া পাহাড় ও লাইটহাউসের বিপরীতে নষ্ট রাজনীতি।
প্রতীক: লকার ও কালো লিলি বলি ও উত্তরাধিকারের প্রতীক।
মোড়: কিংবদন্তির আড়ালে মানব পাচার—নায়িকার বিশ্বাসে প্রশ্ন।
পরবর্তী গল্পের ইঙ্গিত: এলিজার কাছে নিউ ইংল্যান্ডের এক শহর থেকে চিঠি আসে: "আমাদের মেয়েরা নিখোঁজ। তারাও কোরাসের কথা বলে।" দৃশ্য মিলিয়ে যায় কুয়াশায় লাইটহাউসের আলোর সাথে।
এই গল্পে রহস্য ও আবেগ মিশে আছে, পাঠকদের মনে রয়ে যাবে অসমাপ্ত ফিসফিসানি।