Posts

উপন্যাস

"গহ্বরের ফিসফিসানি: দ্বিতীয় অধ্যায় – রক্তের জোয়ার"

May 2, 2025

alfraj

84
View

অধ্যায় ৭: কালো লিলির গোপন বাগান
এলিজা স্টর্মকোভের পুরনো লাইব্রেরির আর্কাইভে ঢুকে পড়ে। ধুলোয় ঢাকা নথিতে সে খুঁজে পায় ১৮৯০ সালের এক সংবাদপত্রের কাটিং: "স্থানীয় ব্যবসায়ী জোনাস হেলের জাহাজ ডুবি; ১২ জন ক্রু সদস্যের লাশ অদৃশ্য।" ছবিতে জোনাসের গলায় একই কালো লিলির মালা! লাইব্রেরিয়ান মিসেস ডাল্টন, ৯২ বছরের বৃদ্ধা, ফিসফিস করে বলে, "হেলরা শুধু ফুল চাষ করে না… ওরা মাটিকে রক্ত দিয়ে সিক্ত করে।"

অধ্যায় ৮: সমুদ্রের ডায়েরি
ক্লারার হাসপাতাল রুমে গিয়ে এলিজা দেখে তার হাতে অদ্ভুত ট্যাটু—একটি জলের নিচে লেখা সংকেত: "E-12°7', N43°4'"। সমুদ্র বিশেষজ্ঞ ড. রাইয়ানের সাহায্যে এলিজা জানতে পারে, এটি স্টর্মকোভের উপকূল থেকে ২০ মাইল দূরের একটি স্থানাঙ্ক! সোনার যন্ত্রে স্ক্যান করে দেখা যায়, সেখানে একটি ডুবে যাওয়া জাহাজ—১৮৯০ সালের জোনাস হেলের "সিরেনস সং"!

অধ্যায় ৯: গভীর সমুদ্রের শিকার
এলিজা ডাইভিং টিম ভাড়া করে জাহাজ ডুবিতে যায়। জলের নিচে ৩০ ফুট গভীরে, জাহাজের ধ্বংসাবশেষে তারা পায় একটি লোহার সিন্দুক। ভিতরে আছে পচে যাওয়া চিঠি: "প্রতি ৩০ বছরে ১২টি প্রাণ চাই… নাহলে সমুদ্রদেবী আমাদের গ্রাস করবে।" হঠাৎ ডাইভিং টিমের এক সদস্যের অক্সিজেন লাইন কেটে যায়! উপরে উঠলে দেখা যায়, তার পিঠে খোদাই করা কালো লিলি!

অধ্যায় ১০: রক্তের নমুনা
ক্লারা হাসপাতালে মারা যায়, কিন্তু তার রক্তের রিপোর্টে অদ্ভুত কিছু—লাল রক্তকণিকার পরিবর্তে নীল রঞ্জক! ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ড. আহমেদ বলেন, "এটা কোনো সামুদ্রিক উদ্ভিদের বিষ… যা মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ করে।" এলিজা স্টর্মকোভের গ্রিনহাউসে ঘুড়ে পায় গुप্ত ল্যাব—যেখানে কালো লিলির সাথে এক ধরনের সামুদ্রিক শৈবাল hybrid তৈরি করা হচ্ছে!

অধ্যায় ১১: মেয়রের শিকড়
মেয়র এলিনর হেলের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পুলিশ যখন ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে, তারা পায় ১০০ বছরের পুরনো এক মমি—এলিনরের পূর্বপুরুষ মেরি হেল, যার হাতেও একই লকার! মমির পেট থেকে বের হয় একটি ভিডিও টেপ (১৯৬০ সালের), যেখানে তরুণী ক্লারা (১৯৮৭-এর আগে!) বলছে, "আমি পালাতে পারব না… চক্র আবার শুরু হবে।"

অধ্যায় ১২: জোয়ার-ভাটার গণিত
এলিজা গণিতবিদ অধ্যাপক রহমানের সহায়তা নেয়। তিনি প্রমাণ করেন, স্টর্মকোভে প্রতি ৩০ বছরে এক ধরনের "সুপার টাইড" হয়—যার দিনক্ষণ আগাম গণনা করা যায়। পরবর্তী টাইড আসছে ১৫ অক্টোবর ২০২৩, ঠিক যখন এলিজার জন্মদিন! অধ্যাপক বলেন, "এই জোয়ার শুধু পানি আনে না… আনে অতীতের ভূত।"

অধ্যায় ১৩: দ্বিতীয় ক্লারা
এলিজা আবিষ্কার করে, ১৯৮৭ সালে নিখোঁজ হওয়া ক্লারা আসলে তার বোন ছিল! তাদের মা, যিনি মানসিক হাসপাতালে মারা গেছেন, তার ডায়েরিতে লেখা: "হেলরা আমার প্রথম মেয়েকে চুরি করেছিল… ক্লারা আসলে এলিজার যমজ!" এলিজার হাত কাঁপতে থাকে—সে নিজেই কি পরবর্তী টার্গেট?

অধ্যায় ১৪: চোরাগোপ্তা সভা
১৫ অক্টোবর রাতে, এলিজা গোপনে স্টর্মকোভের টাউন হলে প্রবেশ করে। সেখানে স্থানীয় নেতারা (ডাক্তার, শিক্ষক, এমনকি শেরিফ কোল!) মোমবাতির আলোয় বলছেন: "নতুন ১২ জন প্রস্তুত… সুপার টাইডের শক্তি আমাদের সম্পদ বাড়াবে।" এলিজা রেকর্ডিং শুরু করতেই লাইট নিভে যায়… ঘরে শোনা যায় জলের শব্দ!

অধ্যায় ১৫: শেষ জোয়ার
এলিজা ছুটে যায় সমুদ্রতটে। সুপার টাইডের ঢেউয়ে লাইটহাউসের গোড়ায় জমা হয়েছে ১২টি কফিন! হঠাৎ মেয়র হেলের কন্ঠস্বর: "তুমিই তো ১২তম বলি, এলিজা… জন্মদিনের উপহার।" এলিজা পালাতে গিয়ে দেখে, কফিনের ভিতর থেকে বের হচ্ছে ১৯৮৭ সালের ক্লারা—এখনো ১৬ বছরের যুবতী! সে হাসছে: "আমি অপেক্ষা করছিলাম… বোন।"

উপসংহার: দ্বিতীয় চক্র
ঝড় থামে। পুলিশ আসে, কিন্তু কোথাও কোনো প্রমাণ নেই—কফিন, ক্লারা, মেয়র সব গায়েব! শুধু এলিজার হাতে একটি নোট: "তোমার রক্তে হেলদের জিন। ২০৫৩ সালে আবার দেখা হবে।" এলিজা ফিরে যায় ঢাকায়, কিন্তু তার আয়নায় প্রতিবিম্ব এখনো ১৬ বছরের ক্লারা!

Comments

    Please login to post comment. Login