শীতের এক সন্ধ্যায় রায়হান তার পুরনো সুটকেস খুলে বসেছিলো। ধুলোমাখা সেই সুটকেসে ছিলো তার কলেজ জীবনের কিছু স্মৃতি, কিছু পুরনো ছবি, আর একটি হলুদ হয়ে যাওয়া খাম — যেটিতে লেখা ছিলো, “রায়হান, তুমি ফিরে এসো…”
চিঠিটি লিখেছিলো নীলা — তার কলেজের সহপাঠী ও প্রথম প্রেম। একসাথে কত স্বপ্ন বুনেছিল তারা! কিন্তু এক সময় বাস্তবতার চাপ, পরিবারের বাধা আর পরিস্থিতির প্রতিকূলতায় বিচ্ছেদ ঘটে তাদের। রায়হান চলে যায় বিদেশে, আর নীলা থেকে যায় তার শহরে।
কিন্তু সেই চলে যাওয়ার দিনেই, নীলা লিখেছিল এই চিঠি। সে জানতো রায়হান আর ফিরবে না, তবু লিখেছিল। চিঠিতে শুধু ছিলো কিছু কথা — “তুমি যেখানেই থাকো, ভালো থেকো। আমি প্রতিদিন সেই বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করবো, ঠিক যেখানে তুমি প্রথম আমার হাত ধরেছিলে।”
রায়হান চোখ মুছলো। এত বছর পর, সেই চিঠি পড়ে তার হৃদয়ে এক অদ্ভুত কষ্ট ভর করলো। পরদিন সে টিকিট কাটলো — ফিরে গেলো সেই শহরে, সেই বাসস্ট্যান্ডে। সেখানে এক বৃদ্ধা বসে আছেন, চোখে চশমা, হাতে একটি পুরনো বই।
রায়হান এগিয়ে গেলো। চিৎকার করে ডাকলো — “নীলা…”
বৃদ্ধা ধীরে তাকিয়ে বললেন, “আমি জানতাম তুমি একদিন ফিরবে।”