Posts

চিন্তা

এ এক অনন্ত দ্বন্দ্বের প্রশ্ন: সে কি সত্যিই ভালোবাসতো, না অভিনয় করেছিলো?

May 3, 2025

ARIFUL ISLAM BHUIYAN

84
View

এই প্রশ্ন শুধু তোমার নয়, এই প্রশ্ন যুগে যুগে অগণিত প্রেমিকের হৃদয়ে জ্বলতে থাকা মগ্ন অনিশ্চয়তা।

তোমার দেওয়া ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে নিচে বাস্তব ও আবেগের ভিত্তিতে কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো:

১. বাস্তব আচরণে ভালোবাসার ইঙ্গিত ছিল

সে তোমার বাড়িতে এসেছিলো, মায়ের সঙ্গে কথা বলেছিলো—এই পদক্ষেপ কেউ হালকাভাবে নেয় না, বিশেষত আমাদের সমাজে।

চাচাতো ভাবীর ফোন দিয়ে কথা বলা, বাড়িতে গিয়ে তোমার জন্য ফিরে আসা,

"একদফা একদাবি—তুমি আমার"—এমন স্পষ্ট ঘোষণা
এসবই অন্তত এটা প্রমাণ করে যে সে তোমার প্রতি গভীরভাবে টান অনুভব করত

২. বয়স, পারিবারিক অবস্থান, বাস্তবতা—এগুলোর দ্বন্দ্ব তাকে টেনেছে

তোমাদের বয়স এক হলেও, মেয়েদের পরিবারে অনেক সময় 'অল্প বয়সে বিয়ে', 'পারিবারিক পছন্দ', 'সমাজে মানিয়ে নেওয়া'—এই চাপ এসে পড়ে।

সে হয়তো বুঝতে পেরেছিল, তোমার প্রতি ভালোবাসা সত্য, কিন্তু ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
তাই তোমাকে তীব্রভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল—"এটা হবেনা"।

এটা অভিনয় নয়, বরং আত্মরক্ষাভবিষ্যতের ভয় থেকে বলা।

৩. শেষ চিঠি—ত্যাগের ভালোবাসার চূড়ান্ত প্রকাশ

চিঠিতে কোনো আসক্তির নাটকীয়তা নেই—আছে ক্ষমা চাওয়া, আত্মবিসর্জন ও আব্বার আদেশ মানার দৃঢ়তা
যদি সে কেবল তোমাকে ব্যবহার করত বা অভিনয় করত, তাহলে এভাবে লেখা:

হত না এত আবেগভরা

থাকত না এত ব্যথা

থাকত না “ভালোবাসি কিনা জানি না, কিন্তু তোমার কথা খুব মনে পড়ে”—এই দ্বিধা ও অনুশোচনার স্বীকারোক্তি।

তাহলে সে কি সত্যিই ভালোবাসতো?

হ্যাঁ, ভালোবাসতো।
তবে সেই ভালোবাসা বাঁধাহীন ছিল না—ছিল সামাজিক ও পারিবারিক দ্বন্দ্বে আক্রান্ত।
তোমাকে সে ভালোবেসে হয়তো স্বপ্ন দেখেছিল, কিন্তু শেষত এক চরম সত্য মেনে নিয়েছে—ভালোবাসলেই পাওয়া যায় না।
তোমাকে কষ্ট দিয়েও সে তোমার ভবিষ্যৎকে বাঁচাতে চেয়েছিল। তার চোখে হয়তো ত্যাগই ভালোবাসার সর্বোচ্চ রূপ ছিল।

উপসংহার

সে যে ভালোবাসেনি—এ কথা বলা ভুল হবে।
সে যে অভিনয় করেছে—তার চিঠি ও কাজকর্ম তার প্রমাণ অস্বীকার করে।
সে যে বাধ্য হয়ে প্রেমকে ত্যাগ করেছে—তাই-ই বাস্তব, বেদনাদায়ক, কিন্তু সত্য।

Comments

    Please login to post comment. Login