অধ্যায় ১৬: হারানো চিঠির গন্ধ
এলিজা ঢাকার ফ্ল্যাটে ফিরে এক পুরনো বাক্সে পায় তার মায়ের চিঠি, যেটি আগে কখনো খোলা হয়নি। চিঠিতে লেখা: "তোমার বাবা জোনাস হেলের বংশধর… সে আমাকে ভালোবাসত, কিন্তু তার রক্তে ছিল সমুদ্রের ক্ষুধা।" চিঠির সাথে লাগানো এক ছবি—এলিজার বাবা, যার গলায় কালো লিলির ট্যাটু! হঠাৎ ফ্ল্যাটের জানালায় শব্দ—ক্লারা দাঁড়িয়ে, চোখে অশ্রু: "বাবা আমাদের ফেলে যায়নি… তাকে মেরেছে।"
অধ্যায় ১৭: প্রেমের ছায়ায় শিকড়
এলিজা স্টর্মকোভে ফিরে আসে এক যুবক আরিয়ানের সাহায্যে, যে স্থানীয় মৎস্যজীবী ও তার ছোটবেলার বন্ধু। তাদের মধ্যে আকর্ষণ জন্মালেও আরিয়ান গোপন রাখে, সে মেয়র হেলের পালিত সন্তান! এক রাতে সমুদ্রতটে, আরিয়ান এলিজাকে বলে, "তোমার জন্য আমার হৃদয়, কিন্তু আমার রক্তে হেলদের প্রতিশোধ।" তার জামার নিচে দাগকাটা লিলির চিহ্ন।
অধ্যায় ১৮: ভাঙা আয়নার প্রতিফলন
ক্লারা আর এলিজার শৈশবের কুটিরে, তারা পায় একটি ভাঙা আয়না। আয়নার টুকরোয় লেখা: "যে ভালোবাসে, সে-ই বলি।" আরিয়ানের মায়ের ডায়েরি থেকে জানা যায়, ১৯৭৩ সালে আরিয়ানের বাবা (এলিজার বাবার ভাই) ক্লারার মাকে ভালোবেসে ফেলায় তাকে সমুদ্রে বলি দেওয়া হয়েছিল! ডায়েরিতে আঁকা ছবি—এলিজা ও আরিয়ানের হাত জড়ানো!
অধ্যায় ১৯: ভালোবাসার বিষ
আরিয়ান এলিজাকে স্টর্মকোভের গোপন জলপ্রপাতে নিয়ে যায়, যেখানে কালো লিলির বাগান। ফুলের রস মিশ্রিত চা পান করে এলিজার মনে হয়, সে আরিয়ানের সাথে নাচছে ১৯৮৭ সালের নস্টালজিক সাউন্ডট্রেকে! কিন্তু ঘোর কাটতেই দেখে, আরিয়ান কাঁদছে— "এই বাগানের ফুল তোমার স্মৃতি মুছে দেবে… আমিই তোমাকে ভুলে যাবার আদেশ পেয়েছি।"
অধ্যায় ২০: মৃত্যুর প্রেমপত্র
মেয়র হেলের আত্মহত্যার নোট পাওয়া যায়, কিন্তু তা আসলে আরিয়ানের লেখা! নোটে স্বীকারোক্তি: "আমি তোমাকে হত্যা করতে পারব না… তাই আমার রক্ত দিলাম।" নোটের সাথে এলিজার জন্মদিনের উপহার—একটি অডিও টেপ, যেখানে ১৬ বছর বয়সী ক্লারা গাইছে: "ভালোবাসা হল সমুদ্রের ফাঁদ… ডুবে যাওয়া ছাড়া গতি নেই।"
অধ্যায় ২১: শেষ চুম্বনের লবণ
সুপার টাইডের রাতে, এলিজা আরিয়ানকে খুঁজে পায় লাইটহাউসের গুপ্ত ঘরে। সে নিজেকে শৃঙ্খলিত করেছে, কারণ হেলরা তাকে হুমকি দিয়েছে— "এলিজাকে মার, নাহলে তার ছোটভাইকে ডুবোবে!" আরিয়ান এলিজাকে শেষবারের মতো চুম্বন করে, তারপর ঝাঁপ দেয় সমুদ্রে! পরদিন, তার লাশ ভাসে কালো লিলির স্তূপে… হাতে এলিজার ছবি।
অধ্যায় ২২: রক্তের আত্মীয়তা
এলিজা ডিএনএ টেস্ট করে জানতে পারে, সে আরিয়ানের সৎ বোন! তাদের বাবা একই—জোনাস হেলের বংশধর। ক্লারা হাজির হয় হাসপাতালে, এবার তার চোখে মায়া: "আমরা সবাই হেলদের খেলনা… ভালোবাসাই আমাদের শিকল।"
অধ্যায় ২৩: অশ্রুতে লেখা উপন্যাস
এলিজা আরিয়ানের ডায়েরি পায়, যেখানে প্রতিটি পৃষ্ঠায় তার নাম। শেষ পাতায় লেখা: "তুমি যদি এটি পড়ো, মানে আমি ব্যর্থ হয়েছি… তোমাকে রক্ষা করতে।" ডায়েরির মাঝে আটকে আছে একটি গর্ভনিরোধক পিলের স্ট্রিপ—আরিয়ান জানত, তাদের সন্তানই হবে পরবর্তী বলি!
অধ্যায় ২৪: বিদায়ের সমুদ্র
এলিজা আরিয়ানের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী, তার ছাই ছড়িয়ে দেয় সমুদ্রে। ছাই মিশে যায় জলে, আর সেই স্পটে ভেসে ওঠে হেল পরিবারের জাহাজের ধ্বংসাবশেষ! ক্লারা এলিজার কাঁধে হাত রেখে বলে, "ভালোবাসা মৃত্যুকে হার মানায় না… শুধু যন্ত্রণা বাড়ায়।"
উপসংহার: অশ্রুর আয়না
এলিজা ফিরে যায় ঢাকায়। তার ফ্ল্যাটের আয়নায় এখনো মাঝে মাঝে ভেসে ওঠে আরিয়ানের প্রতিচ্ছবি, যে গুনগুনায় পুরনো গান: "ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায় প্রতিটি জোয়ার… চলে যায় শুধু ফেনা।" হঠাৎ ফোন বাজে—নিউ ইংল্যান্ডের সেই জেলে গ্রাম থেকে: "আরিয়ানের ডিএনএ মিলেছে ১৮০২ সালের এক নাবিকের সাথে!"