বন্ধুত্বের ভালোবাসা -
সীমান্ত বললো, বাহ্, তোমার তো বেশ ভাব হয়েছে।
কলেজ মাঠের চেয়ারে বসে থাকা মেয়েটি কোনো উত্তর দিলো না।
সীমান্ত আবারো বললো, দেখ, কলেজ লাইফে কেউ কারোর সাথে ভাব নিয়ে কোনো লাভ নেই। সবাই নিজের মতো চলতে পারে অন্যকে ছাড়াও। তাও মানুষ বন্ধুত্ব বজায় রাখতে চায়। তোমার বন্ধুর মতো ফ্রি মাইন্ডে সকলের সাথে মেশা উচিত। এতো ভাব নিয়ে লাভ কি।
মেয়েটি তবুও কোনো উত্তর দিলো না, এমনকি সীমান্তর দিকে তাকালো না পর্যন্ত।
সীমান্ত আর কথা না বাড়িয়ে চলে গেল। সে বেশ বিব্রত হয়েছে।
এর পর থেকে সীমান্ত আর যেচে তার সাথে কথা বলে না।সীমান্ত তার ফ্রেন্ডদের সাথে যখন ঘোরে আড্ডা দেও। মেয়েটি গল্পগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনে কিন্তু কখনো সীমান্তর সাথে কথা বলে না। সীমান্তও বিষয়টা নিয়ে ভাবে না।
দিন কয়েক পরে তাদের কলেজের এক অনুষ্ঠানে মেয়েটি হঠাৎ করেই সীমান্তর সাথে কথা বলে। সীমান্ত নিজেও চমকে যায় তবে স্বাভাবিকভাবেই তার সাথে কথা বলে।
এরপর থেকে কিন্তু সীমান্তর সাথে আর মেয়েটির কথা হয় না। দেখা হয় তবে কথা হয় না। তবে সীমান্তর মনে হয় মেয়েটি তার সাথে কথা বলতে চায় তবে সে দ্বিধায় ভুগছে। সেও বেশ কিছুদিন তার সাথে আর কথা বললো না।
একদিন সীমান্ত তার ফ্রেন্ডদের ট্রিট দিলো।তাদের ফ্রেন্ড যেহেতু কমন ছিল তাই সেখানে সে মেয়েটিও ছিল।
মেয়েটি দ্বিধায় ভুগছিল তাই মেয়েটি সকলের সাথে খাওয়া শেষে নিজের বিলটা দিতে যাচ্ছিল। কিন্তু সীমান্ত তাকে বাঁধা দিল। সীমান্ত তার বিলটা দিল।
খাওয়া শেষে সকলে নিজের কাজে চলে গেল। সীমান্ত আর মেয়েটি বেশ খানিকটা দূরে দাড়িঁয়ে ছিলো। সীমান্ত তার আরেকটি ফ্রেন্ডের জন্য অপেক্ষা করছিলো।
সূর্য তখন প্রায় ডুবো ডুবো। সেখানে তখন মানুষও কম।যারা আছে তারও নিজ কাজে ভীষণ ব্যস্ত। সীমান্তর কি যেন মনে হলো সে মেয়েটিকে ডাকলো, কি,রে। কি করিস। যাবি না।
হুম, যাবো।
শোন, তুই তখন বিল দিতে গেলি কেন?
এমনি
এমনি কি, আমি তো আজ সবাইকে ট্রিট দিলাম। তুই নিজের বিল দিতে গেলি কেন। আমাকে অপমান না করলেই কি তোর হয় না।
অপমান কই করলাম। তুই তোর ফ্রেন্ডদের খাওয়াচ্ছিলি তাই..
তাই কি। তুই কি আমার ফ্রেন্ড নোস।
মেয়েটি সীমান্তর দিকে তাকালো। বললো, আমি তো ভাবি তুই আমার উপর রাগ করে আছিস। তাই...
ওরে, বাবা। তুই তো ভাব নিয়ে চলিস। কথা বলিস না। আবার এখন তুই এসব বলছিস।
কিছু মনে করিস না, আমি মাঝে মাঝে এমন করি। তখন কেন এমন করেছিলাম জানি না। রাগ করিস না।
সীমান্ত মেয়েটির মাথায় হাত দিতে ছোট বাচ্চাদের যেমন করে চুল নেড়ে দেয় তেমন করে হাসি মুখে চুলটা নেড়ে দিলো। বললো, আমি ওদিকে যাব, আমার একটা ফ্রেন্ড আসবে তুই যাবি?
আচ্ছা, চল।