বাংলা সাহিত্যে নবীগঞ্জ, দ্বিতীয় খণ্ড-গবেষক এম শহিদুজ্জামান চৌধুরী ও কবি আবুল কালাম আজাদ ছোটন-এর মহান কাজ, মহৎ কাজ।
সিলেটের হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলা অনেকের কাছে অপরিচিত হতে পারে, কিন্তু এই উপজেলা সমৃদ্ধ। কেন সমৃদ্ধ, ‘লেখকদের কথা’য় বলা হচ্ছে—
শ্রীহট্টের হবিগঞ্জ জেলার অন্তর্গত নবীগঞ্জ উপজেলাটি প্রাচীন ইতিহাসের এক অনন্য নিদর্শন। বিশেষ করে বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতির ইতিহাসে ওই অঞ্চল প্রাচীনকাল থেকেই সমৃদ্ধ। মধ্যযুগের সাহিত্যে এই অঞ্চলের একাধিক কবিগণ যথার্থ অবদান রেখেছেন। পরবর্তীতে এই ধারা চলমান রয়েছে।
তিনশো আটাশ পৃষ্ঠার এই সমৃদ্ধ বইয়ে আছে নবীগঞ্জের ১৪২জন সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের জীবনী, যাঁদের জন্ম ১৯১০ থেকে ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে। লেখকদের তালিকা সাজানো হয়েছে জন্ম-তারিখ অনুযায়ী। প্রত্যেকের জীবনীতে আছে তাঁদের জন্ম-মৃত্যু তারিখ। সাংসারিক অবস্থা। শৈশব-কৈশোরে কোথায় কোথায় পড়ালেখা করেছেন। আছে শিক্ষাগত যোগ্যতা, রাজনৈতিক পরিচয়, সাহিত্য-জীবনের কর্মকাণ্ড। প্রত্যেকের জীবনীর সাথে আছে এক বা একাধিক পরিষ্কার ছবি। কারো কারো জীবনীতে তাঁদের এক-দুটো লেখাও স্থান পেয়েছে।
বাংলা সাহিত্যে নবীগঞ্জ বইটি পড়লে নবীগঞ্জের ১৯১০ থেকে ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম নেওয়া লেখকদের জীবন সম্পর্কে জানা যাবে। বরং ভালোভাবে জানা যাবে।
লেখকদের জীবনীর সাথে-সাথে বইটিতে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠা লাভ করা নবীগঞ্জের সাহিত্য সংগঠন ‘বিবিয়ানা সাহিত্য পরিষদ’-এর নানা সৃজনশীল কাজ, যেমন পত্রিকা-ম্যাগাজিন প্রকাশ করা, সাহিত্য সভার আয়োজন করা, ইফতার মাহফিল, স্মরণ-সভা, প্রতিবাদ-সভা, আনন্দ ভ্রমণ ইত্যাদির ছবিসহ বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে। আর এসব তথ্য-সমৃদ্ধ কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশ; এমনকি বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষি মানুষের কাছে নবীগঞ্জ পরিচিত হয়েছে, হচ্ছে।
বাংলা সাহিত্যে নবীগঞ্জ, দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশিত হয়েছে দু হাজার পঁচিশের এপ্রিলে। প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। বইটি প্রকাশ করেছে পাপড়ি।
বাংলা সাহিত্যে নবীগঞ্জ, দ্বিতীয় খণ্ড-এর পেছনে গবেষক এম শহিদুজ্জামান চৌধুরী-সহ যাঁরা যেভাবে কাজ করেছেন, সবাইকে ধন্যবাদ।