একদিন গ্রামের এক চতুর ব্যবসায়ী, করিম, ভাবল সে তার দোকানের বিক্রি বাড়ানোর জন্য একটা নতুন কৌশল নেবে। সে গ্রামের মানুষের কাছে ঘোষণা করল, “যে আমার দোকান থেকে জিনিস কিনবে, তাকে লটারির কুপন দেওয়া হবে। পরের সপ্তাহে বিজয়ীর জন্য থাকবে এক খাসি উপহার!”
গ্রামের সবাই খুশি হয়ে করিমের দোকান থেকে জিনিস কিনতে শুরু করল। অন্য দোকানগুলো ফাঁকা হয়ে গেল। করিমের দোকানে লম্বা লাইন পড়ল। সে খুশি মনে কুপন বিতরণ করতে থাকল।
কিন্তু আসল চালাকি ছিল অন্য জায়গায়। করিমের দোকানের জিনিসের দাম সে গোপনে ২০% বেশি করে দিয়েছিল। ফলে খাসির খরচ পুষিয়ে নেয়ার পাশাপাশি সে বেশ লাভও করে।
সপ্তাহ শেষ হলো। গ্রামের সবাই উত্তেজিত। লটারির দিন এলো। করিম ড্র করল, আর তার নিজের ভাগ্নে আকবর “বিজয়ী” হিসেবে নাম ঘোষণা করল। সবাই প্রথমে খুশি হলেও, পরে খেয়াল করল—আকবর তো প্রতিদিন দোকানে বসে থাকত, সে কোনো কুপনই নেয়নি!
এক বয়স্ক গ্রামবাসী, রশিদ চাচা, এগিয়ে এসে বললেন, “করিম, তুই আমাদের চালাকি করলি। তোর কুপন বেশি দামে বেচলি, আর লটারির বিজয়ীও তোর ঘরের মানুষ। এবার তুইই তোর চালাকির ফাঁদে পড়লি।”
করিম লজ্জায় মাথা নিচু করল। গ্রামের মানুষ সিদ্ধান্ত নিল কিছুদিন তার দোকান বয়কট করবে। করিম বুঝতে পারল—চালাকি দিয়ে সাময়িক লাভ হলেও, সৎ থাকার দাম অনেক বেশি।