৭ বছর পরে দেশের মাটিতে পা রাখল আফরোজা। কানাডায় তার সেই ব্যাস্ত জীবনে সে হাপিয়ে উঠেছিল। তবে এখন সে তার নিজ জন্মভূমিতে আবার ফিরে এসেছে, আর এতেই জেনো সে পুরোনো সতেজতা ফিরে পেয়েছে। এখন সে তার বাবার সাথে তাদের বাড়ি মাদারীপুর যাচ্ছে। সেখানেই তারা সবাই একসাথে থাকে। বাড়ি ফিরে সে মা-বাবা,ভাই- বোন, আত্মীয় স্বজনদের দেখে আবেগে কেদে ফেলে। আর তারাও এত বছর পর তাদের মেয়েকে ফিরে পেয়ে আবেগে অভিভূত হয়ে পরে।তাদের বাড়ির পাশেই ছিলো একটা স্কুল। তাদের বাড়ির জানালা থেকেই দেখা যায়।দুপুর একটার সময় হঠাৎ স্কুলের সেই টিফিন পিরিয়ডের ঘন্টা তার কানে আসে। আর তখনি সে দৌড়ে জানালার কাছে গিয়ে সেই স্কুলটা দেখতে থাকে।এখন আর সেই স্কুলটা ভাঙাচোরা টিনের স্কুল নেই,সেটা এখন শহরের মতো ইটের তৈরি স্কুল। হঠাৎই তার চোখের সামনে তার সেই শৈশবের দিন গুলো ভেসে উঠল। তখন তার ৫ বছর বয়স তখন তারা গরিব ছিল।যখন তার বাবা প্রথম তাকে স্কুলে ভর্তি কোরে দিয়ে এসেছিল সেদিন সে এক নতুন কিছুর সাথে পরিচয় হয়েছিল। এরপর থেকেই সে আস্তে আস্তে ঐ স্কুলের মায়ায় জরিয়ে পরে।সে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই স্কুলে চলে আসত খেলার জন্য,তারপর বাড়ি গিয়ে খাবার খেয়ে আবার স্কুলের জন্য তৈরি হয়ে আসত,ক্লাসের মাঝে মাঝে সে তার বান্ধবীদের সাথে মজা করত,টিফিন টাইমে একে অন্যের খাবার ভাগ করে খেত,খাওয়া শেষে আবার সবাই মিলে খেলতো।তারপর ক্লাস শেষে বাড়ি ফিরত।মাঝে মাঝে তো আবার স্কুল পালাত ঘুরতে যেতো সবাই মিলে। পড়াশোনা ভালো না লাগলেও স্কুল পালাত।আবার মাঝে মধ্যে ক্লাসেই ঘুমিয়ে পড়ত।কতই না সুন্দর ছিল সেই দিন গুলো।এসব ভাবতে ভাবতে তার দুচোখ বেয়ে পানি পড়ছে।সে ভাবছে কানাডার সেই ইউনি ভারসিটির সুখমর জীবন ও স্কুল জীবনের কাছে কিচ্ছু না। সে কি আর ফিরে পাবে সেই হারানো স্কুল শৈশব।
Comments
-
Mohonaafroz 7 months ago
গল্পটা অসাধারণ।