ভাষা আসার আগেই
আমি যেন এক উচ্চারণহীন প্রতিলিপি—
না উৎস, না অনুবাদ,
শুধু অসম্পূর্ণ ব্যাকরণে ঝুলে থাকা
ভুলে যাওয়া এক পাদটীকা।
নিজেকে বোঝাতে গিয়ে
নিজেই মুছে যাই
সময়ের মার্জিনে—
যেখানে প্রতিটি ভুল ধ্বনি
একটা অচেনা নিঃশব্দতা হয়ে ওঠে।
রাত্রি আমাকে আর ছোঁয় না,
সে জেগে থাকে মস্তিষ্কের এক কোণে
আলগা হয়ে থাকা
একটি অপ্রকাশিত সূত্রে।
প্রতিদিন—
এক প্রশ্ন, শব্দের আগুনে মুখ গুজে
আমাকে জিজ্ঞেস করে :
“কে প্রথম উচ্চারণ করেছিল শূন্য?”
আমি কোনো জবাব দিই না,
শুধু একটি অব্যয় রেখে যাই
অন্য এক ধ্বনির দিকে ঝুঁকে পড়ে।
সেই ধ্বনি—
যা উচ্চারিত হলেই
ভেঙে পড়ে সকল বিন্যাস,
সকল স্থিরতা, সকল ব্যাখ্যার দিকচিহ্ন।
তারপর আর কিছুই থাকে না—
থাকে কেবল
ব্যঞ্জনা-পরবর্তী মৌনতা,
যেখানে নেই কোনো সর্বজ্ঞ ছায়া, নেই কোনো আমি।
১১/০৫/২৫ ইং।