আমরা জানি ভারত পাকিস্তান দুইটি প্রতিবেশী দেশ। প্রায় ১৯৪৭ এর জন্মলগ্ন থেকে এদের মধ্যে বিবাদ বিরাজমান। আর এই বিবাদ থেকে দুদেশ বেশ কয়েকবার যুদ্ধে জড়িয়েছে। হয়তো এই উপত্যকায় বড় কোন পরমাণু যুদ্ধ ছাড়া, এই দুদেশ থেকে বের হইতে পারবেনা।
প্রথমত: মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ দ্বিজাতিতত্ত্ব উপরে ১৯৪৭ সালে ভারত পাকিস্তান দুভাগ করে ব্রিটিশরা। যেখানে মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলের নাম পাকিস্তান, অন্যদিকে হিন্দু অধ্যুষিত অঞ্চলের নাম হল ভারত। আর জন্ম থেকে ভারতের সাধারণ মানুষ বরাবরই পাকিস্তান বিরোধী, পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ বরাবরই ভারতবিরোধী। অথচ হিন্দু মুসলমানরা একসাথে হয়ে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন করে, ব্রিটিশদের ২০০ বছর নির্যতান, শাসন থেকে মুক্তি পেল। বিদায় বেলায় ব্রিটিশরা দেশভাগ করলো ধর্মের উপর যাতে প্রতিবেশী দেশগুলোর কখনও শান্তিতে না থাকতে পারে। মজার বিষয় এখন ব্রিটিশরা মধ্যস্থ হওয়ার চেষ্টা করে।
দ্বিতীয়ত: ভারত এখন বছরে প্রায় ৭৫ বিলিয়ন ডলার খরচ করে শুধু সামরিক বাহিনীর পিছনে। যেখানে বিশাল অঙ্কের টাকা খরচ করে সমরাস্ত্র ক্রয়ের পিছনে। যার দ্বারা অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী হচ্ছে আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইসরায়েল সহ পশ্চিমা ব্লকরা। এখন যদি ভারত প্রতিবেশীদের সাথে সুন্দর, সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তোলে। তাহলে পশ্চিমাদের বিশাল বাণিজ্য হারানোর সম্ভাবনা আছে। যা তারা কখনো হতে দিবে না। যেভাবে হোক ভারতকে উত্তপ্ত করে এই অঞ্চল কে অশান্ত রাখতে হবে। অথচ ভারতের যে পরিমাণ টাকা সামরিক বাহিনীর পিছনে ব্যয় করে তার অর্ধেক ও প্রতিবেশী দেশগুলোর রিজার্ভ নাই৷
অন্যদিকে অর্থনৈতিক ভাবে করুণ অবস্থা যাচ্ছে পাকিস্তানের, তবুও তারা যুদ্ধ থেকে একপা ও পিছনে যাচ্ছে না। প্রতিবছর ৭ বিলিয়ন খরচ করে সামরিক বাহিনীর পিছনে৷ আর আই এম এফ থেকে লোন নিয়ে তাদের রিজার্ভ স্থির রাখার চেষ্টা চলছে৷ বেলুচিস্তান সহ অনেক প্রদেশে জনগণ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করছে। অথচ এইসব গুরুতর ইস্যুর চাইতে ওদের কাছে যুদ্ধ বা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া খুব ই গুরুত্বপূর্ণ। আর পাকিস্তান চীনের জন্য বিশাল উর্বরভূমি। যেখানে চীন কৃষক কে (পাকিস্তান কে) বিশাল অঙ্কের ঋণ দিচ্ছে চাষের জন্যে কিন্তু পরে চীন সবটা ফসল ই নিয়ে যাবে। জে এফ সিরিজের বিমানের কার্যকর ব্যবস্থা পরীক্ষার জন্য ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধ ছিল বিশাল সুযোগ। চীন সেটাই কাজে লাগাইয়াছে।
মোটকথা : পাকিস্তান যদি শান্তি ব্যবস্থার মধ্যে চলে যায়, তাহলে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর গুরুত্ব হ্রাস পাবে জনগণের কাছে, যা সেনাবাহিনী কখনো হতে দিবে না। অপরদিকে ভারত পাশ্চিমাদের বিশাল সামরিক বাণিজ্য ভূমি, পাশাপাশি ভারতের উগ্র রাজনীতির জন্য যুদ্ধ হাতিয়ার। তাই যুদ্ধ থেকে একপা পিছপা হওয়া যাবে না৷