অন্ধকারের গোপন সংকেত
চাঁদের আলো ঢেকে, নেমেছে গাঢ় রাত,
শীতল হাওয়া বয়ে যায়,
অজানা পথের প্রান্ত।
গহন বনের গুঞ্জনে, শোনা যায় এক সুর,
কোনো অদৃশ্য সত্ত্বা কি,
ছায়া ফেলে দূর?
পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝিলমিল,
আলোর ছায়া খেলে,
নীরব নিস্তব্ধতায়,
মাটি ভিজে চোরাগলি,
ছায়াময় সেই খেলা,
কারও চাপা হাসি কি,
বাজে হাওয়ার ভেলা?
আচমকা এক ছায়া দেখা দিল,
গাছের নিচে শূন্য চোখে,
দাঁড়িয়ে এক রূপ,
হাত বাড়াল কী যেন,
সাদা কাগজের টুকরো,
লাল কালির আঁকিবুকি,
ভৌতিক তার রূপ।
“আমাকে খুঁজে পেতে, অন্ধকারে এসো,
ছায়ার মাঝে মিলবে, রহস্যের শেষটুকু।”
তীরের শব্দে থমকে দাঁড়াই, বুক কাঁপে ভয়ে,
কে এই অচেনা ছায়া?
কেন ডাকলো এখানে?
ফুটে ওঠে বিদ্যুতের আলো,
ছায়া মিলায়,
অন্ধকারে খেলা শেষ,
হাতের কাগজে লেখা,
“ভুল করো না সখা, রহস্যের গোপন দ্বার,
তোমার কাছেই রাখা।”