Posts

উপন্যাস

অপূর্ণতা.

May 13, 2025

Md. Riadul Osmany

66
View

আমরা অনেকেই আমাদের চাওকে প্রাধান্য দেই না। পরিবারও দেয় না। কিন্তু দেয়া উচিত। কারণ না পাওয়ার বেদনা সব সময় আমাদের তারা করে বেরায়। যেমন আমার ছোট বেলা থেকেই খুব শখ চুল বড় রাখার কিন্তু পরিবারে বাবার কারনে তা হয়ে ওঠনি। আর এখন অনেক বড় হয়েছি স্বাধীনতাও পেয়েছি কিন্তু এখন পারি না চাকরির কারনে। তাই দোষটা সব সময় পরিবারকেই দেই কারণ তারা যদি ছাত্র অবস্থায় আমাকে চুল রাখতে দিতো তাহলে এই আফসোসটা থাকত না অন্তত মনের আশাটা পূরণ হতো, জীবনতো একটাই যাই হোক মাথার ভিতরে অনেকদিন ধরে একটা ঘটনা লিখব করে লেখা হচ্ছে না। তবে এবার লিখব। খুব বেশি আগের কথা না আবার কম ও না বছর বিশেক আগের কথা। ছেলেটির নাম ছিল পরশ আর মেয়েটির নাম ছিল নিপা। নিপা মেয়েটা যে দেখতে অপরুপ সুন্দরি ছিল এমন না আবার কমও না। কথায় আছে না পিড়িতের পেত্নিও ভালো। মেয়েটির ঠোটের উপরে ছিল হালকা ছেলেদের মতো মোছেরে আবরন, যার কারনে মেয়েটিকে আরো বেশি ভালো লাগত। পরশের বন্ধু মহলে একপ্রকার নামই দিয়ে ফেলেছিল মেয়েটির মোছওয়ালী। যাই হোক মোছ ওয়ালী সম্ববত তখন ৭ম শ্রেণীতে পড়ত আর ছেলেটি পড়তো ১০ম এ তো প্রতিদিনই যখন সকাল নয়টা বিশ অথবা ত্রিশ বাজত ছেলেটা রাস্তায় গিয়ে বসে থাকত মেয়েটিকে দেখার জন্য। মেয়েটি হয়তো কোনদিন একা একা যেত অথবা দুই একজন বান্ধবি নিয়ে যেত। ছেলেটি শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে মেয়েটাকে দেখত, কখনো সামনেও যেতনা মেয়েটার, মেয়েটাকে ডিস্টার্ব ও করত না। এমন ভাবেই দিন কাটতে লাগল। নিপার পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড মোটামুটি ভালো এলাকায় অনেকদিন ধরে থাকত তো তাই মোটামুটি তার পরিবারের আধিপত্য ছিল এলাকায়। এ কারণে পরশ কখনও মেয়েটিকে সাহস করে কিছু বলত না। এভাবেই দিন চলতে থাকল। সময় কারো জন্য বসে থাকত না ছেলেটি এসএসসি পরীক্ষা শেষ করলো মেয়েটাও ক্লাস ৮ম-৯ম শ্রেণীতে পড়া শুরু করল। পরশ আর আগের মতন রাস্তায় দাড়াতো না কিন্তু মনের ভিতর ভালো লাগাটা থেকেই গেলো। এমন করতে করতে ছেলেটি এইচএসসি কমপ্লিট করে ভার্সিটিতে ভর্তি হলো। মেয়েটিও এসএসসি পরীক্ষা দিল। যাই হোক অনেক দিন হলো ছেলেটি মেয়েটিকে দেখতো না। এইদিকে ছেলেটির বাবা-মাও থাকত ভাড়া বাড়িতে আর মেয়েটির পরিবারও থাকত ভাড়া বাড়িতে । একদিন কোন এক কারণ বসত ছেলেটির বাবার সাথে বাড়িওয়ালার একটু মনোমালিন্য হলো। তারপর ছেলেটি বাবা ঐ বাসা ছেরে অন্য এলাকায় চলেগেল। অন্য যায়গায় গিয়ে তারা আবার বাসা ভাড়া নিয়ে থাকা শুরু করলো। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকদিন কেটে গেল। ছেলেটি কিন্তু মেয়েটির বাবা মা ভাইতে চিনত না। যাই হোক পাশের বাসায় একটা সুন্দর মেয়ে দেখলাম। খোজ নিয়ে জানতে পারলাম ঐ বাসার ছেলেটি ঐ মেয়েটিকে ভাগিয়ে এনে বিয়ে করে সংসার করছে। ছেলের বাবা মা তা মেনে নিছে। । ছেলেটি আবার পরশের সমবয়সি ছিল পরশের বন্ধুবান্ধবের বন্ধু ছিল। এ রকম দুই তিন দিন যাওয়ার পরে হঠাৎ করে পরশ দেখতে পেল নিপা মেয়েটি ঐ বাড়ির ভিতরে। দেখে তো ভুত দেখার মত চমকে উঠলো। মনে মনে চিন্তা করল ভুত দেখিনাই তো। কিন্তু না, মেয়েটি তার পাশের বাসাতেই ভাড়া থাকে বাবা মায়ের সাথে এবং ঐ ছেলেটির বোন হয়। নিপাকে দেখার পরে তো মাথায় কাজ করাই এক প্রকার বন্ধ করে দিল পরশের । সারাক্ষণই ধান্ধায় থাকত কিভাবে ওর সাথে কথা বলবে। এমনি ভাবেই দিন চলতে লাগল। আস্তে আস্তে ছেলেটি মেয়েটির মায়ের সাথে ভাবির সাথে একটু আধটুকু কথ বলা শুরু করল। মেয়েটির সাথেও হায় হ্যালো বলা শুরু হলো। ছেলেটি একদিন বিকেলে দেখল মেয়েটিকে নিয়ে তার মা মোবাইলে আলোচনা করছে নিপা খাওয়া দাওয়া করেনা ঠিকমত দিনদিন কেমন যেন শুকিয়ে যাচ্ছে । কেউ তাবিজ করল নাকি । এই আরকি । নিপাকে নিয়ে ওর মা এক হুজুরের কাছে নিয়ে গিয়েও ঝার ফুক দিয়ে নিয়ে আসল। যাই হোক কি জন্য যানি একদিন নিপাদের বাসায় ওর মা বিরিয়ানি রান্না করলো। ওর ভাইয়ের বন্ধুদের দাওয়াত করল ওর ভাইয়ের বন্ধু মানে আমার বন্ধুদ্ধের বন্ধু বান্ধব আবার যাই হোক নিপার মা রাতের বেলা আমাকে ডাকল পরশ এদিকে আয় শুনে না আমি বললাম কি হয়েছে আন্টি। আমার হাতে টেনে নিয়ে গেল ঘরের ভিতরে নিয়ে গিয়ে এক প্লেট বিরিয়ানি হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল নে খা। আমি ও কোন কথা না বলে খাওয়া শুরু করলাম অনেক চাপা একটা আনন্দের মধ্যে দিয়ে খাচ্ছিলাম মনে মনে চিন্তা করছিলাম যাকে পছন্দ করি তার মা আমাকে বিরিয়ানি খাওয়াচ্ছে। ওমা একটু পরে নিপাও দেখি সামনে এসে দাড়াল নিপার মা নিপাকে দেখে বলল দেখ ওর কিছু লাগে কিনা। নিপা বলল আপনার আর কিছু লাগবে কি আমি বললাম না লাগবে না। তার পরও আলু আর মাংশ প্লেটে তুলে দিল। যাই হোক আমি খাচ্ছি আর আর ওর সাথে কথা বলছি যে খুব মজা হইছে এই আপনি খাইছেন ও বলল না আমি বললাম আরে আমার সাথে কয়টা খান ও বলল না আমি ওকে আমার প্লেট থেকে একপিচ মাংশ তুলে দিলাম ওমা ও দেখি কোন কথা বলল না নিল আবার খেলও আবার আরেক পিচ দিলাম বলল না না আপনি খান। যাই হোক খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম করে বাইরে বের হলাম। বের হয়ে কয়েক পিচ লাভ ক্যান্ডি কিনে নিয়ে আসলাম জানালার কাছে ওর পরার টেবিল ছিল পাশে ছিল খাট বালিশের নিচে কয়েকটা চকলেট গুজে রাখলাম। পরে বললাম আপনার বালিশের নিচে একটা জিনিস রাখছি দেইখেন আপনি। এরকম আরকি টুকটাক কথা আর চোখা চোখি হতো মাঝে মাঝে । ওর ভাবিকে একদিন জিঞ্জাস করলাম ও কি কারো সাথে প্রেম করে নাকি ওর ভাবি বলল ঔই রকম তো কিছু চোখে পরে না। ওর ভাবি বলল কেন আপনি পছন্দ করেন নাকি বললাম না নিপার ভাবি বলল মতিগতি তো ঠিক দেখিনা আপনার কি তলে তলে কি ননদকে পছন্দ করেন নাকি তার পরতো আর পারলাম না চেপে রাখতে বলেই ফেললাম ভাবি আপনার ননদকে আমি বছর ৪ ধরে পছন্ধ করি কিন্তু কখনও শাহস করে কিছু বলতে পারি না। ওকে আমার বলার শাহস টুকু নাই। ওর ভাবি বলল দেখি ও কাওকে পছন্দ করে কিনা জিজ্ঞাস করব। আমি তো সালা লজ্ঝায় শেষ। যাই হোক লাভ ক্যান্ডি কিন্তু প্রতিদিন ১-২টা করে ওকে দিয়েই যাচ্ছি কখনও হাতে দিচ্ছি কখনও টেবিলের উপর রাখি কখনও ওদের দরজা খোলা থাকলে বিছানায় মাথার বালিশের নিচে রাখি। এভাবে চলছে দিন দিনের মত সামনে ১৪ ফেবরুয়ারি চিন্তা করলাম ওকে ঐদিন চোখে চোখে রাখব দেখি কারো সাথে দেখা সাক্ষাত করে কিনা। পাশা পাশি দরজা ছিল ওদের বাসার আর আমাদের বাসার বাসার দরজা খুলে ১৪ই ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে বসে রইলাম যে সেজে গুজে বের হয় কিনা। দেখলাম ১০টার দিকে বইখাতা নিয়ে বের হলো কলেজে যাওয়ার জন্য। আমিও অমনি ছাইকেল নিয়ে বের হলার পিছন পিছন ফলো করার জন্য না দেখলাম কলেজেই গেছে। বাসায় এস ওর ভাবিকে জিজ্ঞাস করলাম নিপা কই গেল ভাবি এত সাইজা গুইজা, ডেটিং এ নাকি। ভাবি বলল কলেজে গেছে। সাথে এটাও বলল যে আপনার কথা তো ওকে বলে দিছি। আমি তো আকাশ মাথায় ভেঙে পড়ার মত অবস্থা বললাম কি আবার প্যাচ লাগাইছেন। ভাবি বলল আরে না কোন প্যাচ লাগাইনাই ওরে বললাম আরকি আপনার কথা আপনি ওকে অনেক দিন থেকে পছন্দ করেন কিন্তু লজ্জায় বলতে পারেন না। এই আরকি। আমি ভাবিকে বললাম দিলেন তো ইমেজ টা আমার নষ্ট করে এই আরকি। এই জন্যই তো বলি সকাল থেকে আমার দিকে একবারও তাকায় না কেন। যাই হোক রুমের ভিতর ঢুকে বাসায় বসে রইলাম ও কলেজ থেকে দুপুরে আসল কিন্তু আমি ঘর থকে বের হলাম না লজ্জায় বাড়ির ভিতর একটা পানির চাপকল ছিল সাবই ওই পানি খেত এবং ব্যবহার করতো দুপুরে গোসল করছি কলের কাছে বসে ও আসল ওর ভাতের প্লেট ধুতে ধুয়ে চলে গেল । আমার দিকে তাকালোও না আমি ও কিছু সাহস করে বলতে পারলাম না। মনে মনে চিন্তা করলাম ইজ্জত যতটুকু ছিল সবই এবার গেছে। দুপুরে ভাত খেয়ে একটু শুয়ে রইলাম আর মাথার ভিতরে ওর কথা ঘুরপাক খাচ্ছে। যাই হোক বিকেলে একটু বন্ধু বান্ধব মিলে ঘুরতে বের হবো তো ৪.৪৫ এর দিকে সুন্দরভাবে জামা কাপড় পরে বের হলাম। বের হতে গিয়েই দেখি বাসার সামনে ও আর ওর ভাবি বসে বসে গল্প করছে। ওর ভাবি জিজ্ঞাস করল এত সাইজা গুইজা কই যান ডেটিং এ নাকি আমি বললাম আরে নারে ভাই এই বন্ধু বান্ধব মিলে ঘুরতে যাব। নিপা উঠে বলল তাই নাকি। আমি বললাম হ্যা ওর ভাবি বলল আপনাকে এই শার্টটায় খুবই স্মার্ট লাগছে এরকম হাফ হাতার শার্ট পরতে পারেন তো ভালোই লাগছে। আমি বললাম তাই নাকি আর অমনি নিপা আমার গায়ে একদলা থুতু মেরে দিয়ে বলব যান কারো নজর যেন না লাগে এজন্য দিলাম। আমি তো ওর আর ওর ভাবির সামনে পুরাই বলদ যে এইটা কি হইলো। কথা আর না বারিয়ে চলে গেলাম বন্ধু বান্ধবের সাথে ঘুরতে। মাথায় ঘোরপাক খাচ্ছে এইটা কেন করলো ও যাইহোক এক বন্ধুর সাথে শেয়ার করলাম ও উইঠাই বলল খানকিমাগী গো মতিগতি ঠিক নাই। আমি বললাম কেন ও বলল দেখিস নাই আমারে না পাইলে বাচবে না আমারে ছারা মইরা যাবে অথচ খানকিমাগী ৬ মাস হইলো পরের সংসার করতিছে আমি বললাম তাও ঠিক বলছিস .....কারণ ও একটা মেয়েকে পছন্দ করত ওই মেয়েকে নিয়ে ও পলাই গেছে। যখন ওদেরকে ধরে থানায় নিয়ে গেল তখন মেয়ে বলল বিয়ে করলে আমি ওকেই করব। মেয়ের বাবা আমার বন্ধুর নামে কেস করল মেয়ে সাবালিকা না তাই মেয়েকে বাবা নিয়ে গেল নিয়ে যাওয়ার কয়েক মাস পরে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিল অন্যত্র। এই হলো মোটামুটি আমার বন্ধুর সংক্ষিপ্ত প্রেম ইতিহাস আমার বন্ধুর কথা হলো তুই বিয়া করলি কেন তোরে কি কেউ বন্দুক ঠেকাই ধরছিল তোর বুকের উপর সুয়ারবাচ্চা আমার সাথে ২ বছর প্রেম চোদাইলি সব করলি বিয়া বসলি আরেক বেটার সাথে এই আরকি । যাই হোক বন্ধুকে শান্তনা দিয়ে বাসায় চলে আসলাম। গরমের সময় তো তাই রাত ৯টার দিকেই গোসল করলাম ও কলের কাছে আসল এসে বলল আমার চকলেট কই আমি বললাম একটু ওয়েট কর দিচ্ছি। মোট কথা লাভ ক্যান্ডি সব সময় পকেটে কিনে রাখতাম ওর জন্য কারণ ওকে প্রতিদিনই ১/২ করে লাভ ক্যান্ডি দিতাম। যাই হোক ও ঘরের ভিতর চলে গেল আমি গোসল শেষ করেই কাপড় পরে দোকানে গেলাম ক্যাটবেরি আর লাভ ক্যান্ডি কিনে আনলাম দেখলাম ও পরার টেবিলেই আছে আস্তে করে ওকে ডাকলাম দরজার কাছে ও আসল ওর হাতে চকলেট দিয়া বললাম আই লাভ ইউ বলেই ওকে জড়িয়ে ধরলাম ও আমাকে জড়িয়ে ধরলো ওর মুখে একটা চুমু দিয়ে বললাম আই লাভ ইউ। ও কিছুই বলল না। ওকে তারা তারি ছেরে দিলাম যদি কেউ এসে পরে এই ভয়ে। রুমের ভিতর ঢুকে দরজা আটকাই দিলাম । সারা গা হাত পা এই গরমের ভিতরেও ভয়ে তার পর কি এক অজানা আনন্দে ভীত হয়ে উঠল । রাতের ঘুমের ১২টা বেজে গেল। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ৬টার সময় দরজা খুলে বসে রইলাম। কারণ ও আবার সকাল ৬.৩০ দিকে কোচিংএ যেত তাই সকাল সকাল ফ্রেশ হওয়ার জন্য কলের কাছে আসত। যাই হোক সকাল ৭টা বেজে গেল নিপার দেখা মিলল না। আওয়াজ শুনতে পেলাম ঘরের ভিতরেই আছে কিন্তু বাহিরে বের হচ্ছে না। যাই হোক সারাদিন পরে বিকেলে দেখলাম ওর ভাবির সাথে বাইরে বসে আছে । ননদ ভাবি মিলে দুই জনেই গল্প করছে। আমি সামনে গেলাম দেখলাম নিপার রিএ্যাকশন দেখার জন্য কিন্তু ওর কোন রিএ্যাকশন বুঝতে পারলাম মা। পকেটে চকলেট ছিল বের করে আমি একা খাওয়া শুরু করলাম ওর ভাবি বলল একা একা চকলেট খাবেন আমি বললাম আপনার খাবেন নাকি বলল দিলে তো খাইতাম দিলাম দুই জনকে দুইটা চকলেট ভাবিও নিল নিপাও নিল কিন্তু নিপার মধ্যে কোন পরিবর্তন দেখলাম না। এর মধ্যে কথায় কথায় মুরগির বাচ্চা দেখে কোয়েল পাখির আলোচনায় চলে গেল ওর ভাবি বলল যে ওনার কোয়েল পাখি খুব ভালো লাগে আমি আবার বললাম কোয়েল পাখির ডিমও বিক্রি করে । নিপা বলে উঠল একদিন আইনা খাওয়াইয়েন আমাদের আমি বললাম ঠিক আছে। পরে বললাম আচ্ছা আমি যাই এই ঘুইরা ফিইরা আসি। সাইকেল নিয়া সোজা চলে গেলাম বাজারের দিকে এক জায়গায় কোয়েল পাখির সিদ্ধ ডিম বিত্রি করে ঐখানে গিয়ে ৮-১০টা ডিম কিনলাম নিপার জন্য। রাত ৮টা যখন বাজে তখন বাসায় ফিরলাম। দেখলাম ও টেবিলে বলে পড়ছে। আমি আস্তে করে ডিমের প্যাকেট টা ওকে দিলাম ও বলল কি এটা আমি বললাম কোয়েল পাখির ডিম এর মধ্যে ওর মার গলার আওয়াজ পেলাম ভিতরের রুম থেকে টুক করে কেটে পরলাম ঐখান থেকে। আমি আমার বাসায় ঢুকে ফ্রেশ হয়ে দরজা খুলে বসে রইলাম যদি ও বের হয় এইটু জড়িই ধরব ওকে । রাত ১০.৩০ যখন বাজে তখন ও খাওয়া দাওয়া শেষ করে বের হলো কলের কাছে প্লেট ধোয়ার জন্য প্লেটটা ধোয়া শেষ করে প্লেটে করে কতখানি পানি নিয়ে আমার গায়ে মেরে দিল। আমি বললাম এই শোন ও বলল আসতিছি দারান। তারপর দরজার সামনে দারিয়ে রইলাম ও বের হলো একটু পরে দরজার কাছে দাত মাজতে মাজতে ওকে দেখেই ওমনি টুস করে ওর ঠোটে চুমু দিলাম গালে চুমু দিলাম। দিয়েই সরে গেলাম যদি কেউ দেখে ফেলে ও চলে গেল কলের কাছে মুখ ধুইতে আমি আবার বালতি একটা নিয়ে গেলাম কলের কাছে পানি নিতে এই আরকি তার পর ও রুমে চলে গেল । আমিও রুমে গেলাম বাজে ১১টা ও শুয়ে ওর বাসায় আমি শুয়ে পরছি আমার বাসায় পাশাপাশি রুম থাকায় ওদের রুম থেকে কাশি দিলে আমার রুমে শোনা যেত রাত বাজে ১১.৩০ কারেন্ট গেল চলে গরমে ও ঔই দিকে সম্ভবত ঠান্ডা লাগার কারণে কাশছিল আমিও আবার একটু গলা খাকানি দিচ্ছিলাম ইচ্ছা করে মানে আমিও সজাগ আমি। ১২টার দিকে কারেন্ট আসল । একটু পরেই শুনলাম ওদের বাসার ভিতর চিল্লা পাল্লা মনে মনে চিন্তা করলাম ওর বাবা ঝগড়া শুরু করলো নাতো। দরজা খুলে পাশের দরজায় উকি মেরে দেখি নিপার মা বলছে ওরে আল্লাহ তারা তারি এ্যামবুলেন্স খবর দাও। ওদের এক মামা না যেন চাচা ছিল হাতুরে ডাক্তার সে জলদি করে নেবুলাইজার নিয়ে আসল মুখে গ্যাস দেয়ার জন্য এদিকে আমি তো হতবাক কিছুই বুঝতে পারছিনা। কোথা থেকে কি হচ্ছে নিপার ভাই আবার বাসায় থাকত না ও আবার চাকরি করতো যে স্থানে চাকরি করতো ঐখানেই থাকত। যাই হোক নিপাকে দেখলাম তারা তারি করে মুখে গ্যাস দিল। অবস্থা তাতেও সাভাবিক হচ্ছে না দেখে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে বলল ওর ওই ডক্টর আত্মিয় বলল এত রাতে অক্সিজেন কই পাব। ওকে নিয়ে হাসপাতে ইমারজেন্সিতে ভর্তি করতে হবে। যে ভাবনা সেই কাজ তারা তারি করে একটি অটো ভ্যান গাড়ির ব্যবস্থা করা হলো । গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হলো। আমি ওর পরিবারের কাওকেই কিছু জিজ্ঞাস করতে পারছিনা কি দিয়া কি মনে করে চিন্তা করলাম এখন গিয়া ঘুমাই সকাল হলে খোজ খবর নিব। বিছানায় ঠিকই শুইলাম কিন্তু ঘুম আর আসলো না। সারা রাত জবাই করা মুরগির মত ছটফট করলাম। পরের দিন সকালে ওর বাবার সাথে দেখা জিজ্ঞাস করলাম আঙ্কেল ওর অবস্থা কি কোথায় এখন। নিপার বাবা বলল ওইতো কালকে রাতে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হইছে। অক্সিজেন লাগানো। আমি বললাম ও তাই। আমি আর কিছু জিজ্ঞাস না করে আসে চলে গেলাম। কিছুক্ষণ পর দেখলাম ও মা আসছে বাসায় জিজ্ঞাস করলাম আন্টি নিপার কি অবস্থা আরে বাবা ভালো না আমি বললাম কি হইছে আন্টি। বলল এখনও সেলাই চলে ডাক্তার রা যদি দেখে আজকে সুস্থ হইছে তাইরে ছারবে তাহলে কাল । আমি বললাম আমি কি আন্টি একটু যাইয়া দেইখা আসব নাকি নিপার মা বলল গেলে যাবি কি যেন একটা জিনিস সাথে নিয়ে যেতে বলল ওর মা ওর জন্য হাসপাতালে তা আর মনে নাই যাই হোক আরকি আমি সাইকেল নিয়েই বের হয়ে গেলাম। হাসপাতালে যখন পৌছালাম তখন বাজে ৮টার মত হাসপাতালে ঢুকে একটু খুজে পেতে সমস্যাই হলো কারণ অনেক বড় হাসপাতাল অনেক রুগী অবশেষে ওকে দেখলাম। দেখলাম যে এখনও সেলাইন চলছে। ও মাথার উপর হাত দিয়ে চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে। এদিকে ওর বাবাও আবার বাসা থেকে ফ্রেশ হয়ে চলে আসছে………..চলবে

Comments

    Please login to post comment. Login