Posts

নিউজ

যুক্তরাষ্ট্রে বই নিষিদ্ধের হার আশংকাজনকভাবে বেড়েছে

May 13, 2025

নিউজ ফ্যাক্টরি

129
View

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বই নিষিদ্ধের ঘটনা নজিরবিহীনভাবে বেড়ে গেছে। আমেরিকান লাইব্রেরি এসোসিয়েশন (এএলএ) এবং পেন আমেরিকা প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।   

রক্ষণশীল রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলো সারা দেশে স্কুল এবং লাইব্রেরিতে বই নিষিদ্ধ করার জন্য চাপ দিচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে এএলএ। বিশেষ করে সমকামী এবং বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীদের নিয়ে লেখা বই নিষিদ্ধ করতে চায় তারা।     

২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর এএলএ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ওই বছরের প্রথম ৮ মাসে আমেরিকান লাইব্রেরিগুলোতে ১ হাজার ৬৫১টি বইকে নিষিদ্ধ করার জন্য ৬৮১টি প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে।       

২০২১ সালে এএলএ এ ধরনের ৭২৯টি প্রচেষ্টা তালিকাভুক্ত করেছিল। সেসময় ১ হাজার ৫৭৯টি বই নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল রক্ষণশীল গোষ্ঠীগুলো। বিভিন্ন লাইব্রেরি থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই তালিকাটি করা হয়েছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি হবে বলে বিশ্বাস করে সংস্থাটি। 

এএলএ’র প্রেসিডেন্ট লেসা কানানি’ওপুয়া পেলায়ো-লোজাদা বলেন, 'আমরা ইতিমধ্যেই বই নিষিদ্ধ করার যে চেষ্টা দেখছি তা প্রান্তিক বা ঐতিহাসিকভাবে উপস্থাপিত কণ্ঠকে নীরব করার জন্য সমন্বিত, জাতীয় প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে। এটি আমাদের সকলকে বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের- ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার সীমার বাইরে একটি বিশ্ব অন্বেষণ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে।’   

এদিকে পেন আমেরিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২, ২৩ এবং ২৪ সালে যেসব বই নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে সেগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই সমকামীদের নিয়ে লেখা ছিল। এছাড়া কৃষ্ণাঙ্গসহ বিভিন্ন জাতি বর্ণের মানুষদের নিয়ে লেখা বইও নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস রাজ্যে সবচেয়ে বেশি বই নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরপর রয়েছে ফ্লোরিডার অবস্থান।  

আমেরিকার স্কুল এবং লাইব্রেরিগুলোর বিরুদ্ধে রক্ষণশীলদের এই আক্রমণ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া লাইব্রেরিয়ানরাও হয়রানির শিকার হয়েছেন এবং এমনকি তাদের অনেকেই চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।   

পেন আমেরিকা স্থানীয়, রাজ্য এবং জাতীয় পর্যায়ে কাজ করে এমন অন্তত ৫০টি গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করেছে যারা স্কুল পাঠ্যক্রম এবং লাইব্রেরি থেকে বিভিন্ন বই সরিয়ে ফেলার পক্ষে সমর্থন করে। এদের মধ্যে ‘মামস ফর লিবার্টি’ নামের একটি সংগঠনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এটি ২০২১ সাল থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু করে।

পেন এর সিইও সুজান নোসেল বলেন, ‘বর্তমানে নিষেধাজ্ঞার যে ঢেউ, তা মূলত অত্যাধুনিক মতাদর্শগত বইগুলোকে নিষিদ্ধ করার জন্য একটি সমন্বিত প্রচারের প্রতিনিধিত্ব করে।’   

তিনি আরও বলেন, ‘এই আন্দোলন আমাদের পাবলিক স্কুলগুলোকে রাজনৈতিক যুদ্ধের ময়দানে পরিণত করছে এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে। এমনকি শিক্ষক ও লাইব্রেরিয়ানরা তাদের চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।’   

সূত্র: কিরকাস, এনপিআর 

Comments

    Please login to post comment. Login