যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলেছি আমরা, এগিয়ে চলেছে আমাদের নগরগুলোও। নগরায়নের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে ভবন নির্মাণ। নগর পরিকল্পনার ক্ষেত্রেও “টেকসই” নগর নির্মাণ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নগরের ক্ষেত্রে “টেকসই” পরিকল্পনা থাকলে তার স্থাপনা সমুহও টেকসই হবে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। তবে “সবুজ নগর পরিকলনা” বা “সবুজ স্থাপত্য” দুটো বিষয়ই নির্ভর করে একটি এলাকার ভৌগলিক কাঠামো, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস, প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য, নৃ-ত্বত্ত্ব ইত্যাদির ওপর। দেশ ও সমাজ ভেদে স্থাপত্যের মতই সবুজ স্থাপত্যের ধরণও হয় ভিন্ন। সে কারণেই সবার প্রথমে খনার বচনটি বললাম।
আমাদের দেশ গ্রীষ্মপ্রধাণ। বছরের একটা বড় সময় তীব্র রোধ ও ঝড় বৃষ্টির সাথে আমাদের যুদ্ধ করতে হয়। আজকাল পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশেও ভবনে কাঁচের ব্যবহার অনেক বেড়েছে। যার ফলে বাইরের তাপকে আমরা অনেকটাই ঘরের ভেতরে টেনে আনছি। এতে করে যান্ত্রিক সমাধানের দিকে ঝুঁকতে হচ্ছে স্বাভাবিক ভাবেই। চতুর্দিকে ঢালাওভাবে কাঁচের ব্যাবহার ভবনের তাপমাত্রাকে এমন ভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে যে এয়ার কন্ডিশনারের ওপর নির্ভর করতেই হচ্ছে। ফলে দেখা যাচ্ছে নগরাঞ্চলগুলোতে তাপমাত্রা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত এক দশকে ঢাকার তাপমাত্রা বেড়ে গেছে ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা অত্যন্ত আশংকাজনক।