মৌলিনাথ তুমি সমুদ্রের তীরবর্তী দাঁড়িয়ে,
অতিক্রম করছো এই কবিতাটা।
এই সৌন্দর্যের লীলাভূমি তোমার অস্পষ্ট অভিমানে ক্লান্ত।
অতি আধুনিক সুন্দরীদের সমস্ত দুঃখ কষ্ট
নিয়ে এই কবিতাটা তোমার দিকেই ইঙ্গিত করছে।
প্রেমিক তোমাকে ছেড়ে গিয়েছে
বেদনা ভুলতে এখানে এসেছো -
ভাবছো অর্থহীন সৌন্দর্যের কথা
যা আটকাতে পারেনি তোমার প্রেমিককে।
চূড়ান্ত বিচ্ছেদ ক্লান্তির নিঃশ্বাসে ভেসে যায়
হারিয়ে যায় তোমার অহংকার।
নিদারুণ বেদনার অভিনব ভঙ্গি তোমার চলনে বলনে —
তুমি সৌন্দর্যের আশ্চর্য নীলিমা
তোমার চোখ হরিণের মতো
একবার তাকালে অজস্র কবিতার জন্ম হয়
তোমার চুল কাব্যধর্মী অন্ধকার
দ্বিধাহীন গদ্যের অপরুপ বিশ্লেষণ
এত সুন্দর চুলেও আটকায়নি সে।
কি সুন্দর তোমার মুখ
দেবীরা তোমার সৌন্দর্যে ইর্ষান্বীত
তোমার অসতর্ক হাসি আকাশের বুকে
জেগে ওঠা নক্ষত্রের চেয়েও সুন্দর।
তোমার রুপ বর্ণনা করার সাধ্য আমার নেই
তোমাকে দেখার পর প্রেমে পড়তে ইচ্ছে হবে
পৃথিবীর সব পুরুষের
যৌবনে জ্ঞান জাগ্রত হবে তাদের শিরায়
অচিন্তিত রুপের অসীমে একটিমাত্র ভুলে
পৃথিবীর বুকে আজ অভিশপ্ত তুমি।
প্রেমিকের আঘাতে সৌন্দর্য খুইয়েছে
তাই কাব্যবীণার ঝংকারে আজ তুমি চূর্ণ হও
সমুদ্রের নীলে তোমার রুপ বিজর্সিত দেবীর মতো — যে একদা পূজো করতো,
প্রেম ভিক্ষা চাইতো - বার বার উপেক্ষিত হতো
সে আজ তোমাকে বিসর্জন দিলো।
অচিন্তিত রুপ নিয়ে আজ তুমি ব্যর্থ
তোমার জীবন ব্যাথার করুন কাব্য
ভেতরে ভেতরে ভেঙে যাচ্ছো
উষ্ণ চুমোর স্মৃতি - আদিম খেলার ক্ষণস্থায়ী সুখ
তোমার বেদনারে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়।
তুমি অভিশপ্ত দেবীর মতো
অসীম সৌন্দর্য নিয়ে তলিয়ে যাচ্ছো
জীবনের সাগরে।
সুখের খেলায় যাকে দান করেছো
অমূল্য যৌবন আজ সে তোমাকে উপেক্ষা করছে।
মৌলিনাথ আমি বলেছিলাম
তোমার প্রেমিক চরিত্রহীন লম্পট
তাকে স্থান দিও না-
জানি না কিসের লোভে
তুমি গিয়েছিলে তার বিছানায়
যৌবনের সমস্ত আকাঙ্খা বিলিছো
রাত কাটিয়েছো ; অবশ্য
কিছু সুখ পেয়েছো - ভেবেছো
এর চেয়ে বড় সুখ নেই ;
একবারও ভাবোনি সুখ ক্ষনস্থায়ী
জীবন স্থায়ী - সুখের খেলায় মত্ত থেকে
যে জীবন তুমি পেয়েছিলে
সে জীবনই আজ দুঃখের সমুদ্র।
তুমি কলঙ্কিত সুন্দরী -
তোমার চরিত্রহননের পথ তুমিই দেখিয়েছো
ভেবেছো কেউ জানে না এসব
কেউ না জানুক
তুমি তো জানো তোমার শরীর অপবিত্র
তোমার পাপ অনির্ণীত -
তোমার সৌন্দর্য কলঙ্কিত।