Posts

পোস্ট

"নিজেকে খুঁজে পাওয়ার গল্প"

May 18, 2025

Radia

Original Author Radia Moni

79
View

মানুষ জন্ম নেয় একটি নাম নিয়ে, কিন্তু সত্যিকার অর্থে সে মানুষ হয়ে ওঠে তার চিন্তা, ব্যবহার আর নীতিতে। জীবনটা একটা নিরন্তর খোঁজ—নিজেকে জানার, নিজের ভেতরের আলোটাকে খুঁজে বের করার।
আমরা অনেকেই অন্যকে খুশি করতে গিয়ে নিজেদের হারিয়ে ফেলি। সমাজের চোখে ভালো হতে গিয়ে নিজের চোখে ছোট হয়ে যাই। অথচ সবচেয়ে বড় প্রজ্ঞা হলো নিজেকে চিনতে পারা। কারণ যে নিজেকে চেনে, সে কাউকে অপমান করে না, কাউকে অবমূল্যায়ন করে না। তার চোখে সকলেই একেকটি অসম্ভব সুন্দর সম্ভাবনা।
জীবন প্রতিদিন আমাদের শেখায়—যত বড়ই হই না কেন, বিনয়ের মাটি ছুঁয়ে থাকলে তবেই সত্যিকারের উঁচুতে উঠা যায়। অভিজ্ঞতা শেখায়—সবকিছু জানা দরকার নয়, হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করাটাই আসল জ্ঞান।
তাই বলি, নিজেকে ভালোবাসো, কিন্তু অহংকারে নয়। মানুষকে শ্রদ্ধা করো, কিন্তু নিজের মূল্য ভুলে নয়। আলো দাও, কিন্তু জ্বলে-পুড়ে নয়—উজ্জ্বল হয়ে।
একদিন তুমি দেখবে, তুমি শুধু একজন ব্যক্তি নও, তুমি এক অনুপ্রেরণা।যত দিন যাবে, ততই বুঝবে—জ্ঞান শুধু বইয়ের পাতা না, এটি প্রত্যক্ষ জীবন-অনুভূতির এক অন্তর্নিহিত সুর।
মন খোলা রাখো, কারণ নতুন কিছু শেখার জন্যই আমাদের হৃদয় তৈরি।
প্রতিটি ব্যর্থতা হলো নতুন অধ্যায়ের প্রথম সিড়ি; হার না মেনে উঠতে পারলেই তুমি সত্যিকারের বিজয়ী।
যখন তুমি নিজের ভেতরের চুপচাপ কণ্ঠকে বিশ্বাস করবে, তখন অন্যদের কোলাহল তোমাকে বিক্ষিপ্ত করতে পারবে না।
নীরবতা অনেক সময়ই সবচেয়ে গভীর বার্তা বহন করে, তাই চাপা বসে থাকা অনুভূতিকে একটা বুদ্ধিমানের ভাষায় প্রকাশ করো।
স্মরণ রেখো—সর্বোচ্চ আলো সেই আলো, যা নিজের থেকে বেরিয়ে অন্যকে আলোকিত করে।
তোমার ছোট্ট একটা দান হতে পারে কারো জীবনের অমোঘ পরিবর্তন।
তাই নিজেকে গড়ে তুলো অটল সাহসে, নম্রতায়, আর অন্যের সপক্ষে দাঁড়িয়ে।
এভাবেই সত্যি সত্যি তুমি হয়ে উঠবে—এক অভিনব স্পন্দন, এক মুকুর্শূন্য বোধ, এক প্রকৃত জ্ঞানময় প্রেরণা।
জীবনে সবাই বড় হতে চায়, কিন্তু খুব কম মানুষই গভীর হতে চায়।
আর গভীরতা মানেই নিজের ভিতরের অন্ধকারকে আলোর মুখ দেখানো।
যারা সত্যিকারভাবে ভালোবাসতে জানে, তারা কখনো কাউকে ছোট করে না।
কারণ ভালোবাসা মানে নিজেকে বিসর্জন দিয়ে অন্যের অস্তিত্বকে মর্যাদা দেওয়া।
অনেকেই মুখে বলে ‘আমি জানি’, কিন্তু জ্ঞানী মানুষ কখনো তা বলেন না—তারা শোনেন, বোঝেন, তারপর নীরবে উত্তর দেন।
মহৎ আত্মা চিৎকার করে না, তারা তাঁদের অস্তিত্ব দিয়েই পৃথিবীকে পাল্টে দেয়।
নিজের সীমাবদ্ধতাকে যদি তুমি সাহসের চোখে দেখতে পারো, তবে সেটাই একদিন তোমার শক্তির জন্ম দেবে।
কারণ যেদিন তুমি নিজের ভয়কে আলিঙ্গন করবে, সেদিনই তুমি মুক্ত হবে।
তুমি পৃথিবী বদলাতে পারবে কি না, জানি না।
কিন্তু তুমি যদি নিজেকে বদলাতে পারো, তাহলে পৃথিবীর এক কোণ অবশ্যই আলোকিত হবে।
তাই এখনই শুরু করো—একটি সৎ চিন্তা, একটি নির্ভীক সিদ্ধান্ত, আর একটি নীরব কিন্তু বিশুদ্ধ পদক্ষেপ দিয়ে।
কারণ দিন শেষে, তোমার অস্তিত্বই তোমার সবচেয়ে বড় বার্তা।

Comments

    Please login to post comment. Login