অবশ্যই! বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে একটি গল্প বলছি:
এক অসম্ভব স্বপ্নপূরণের গল্প: মালালার নোবেল
পাকিস্তান থেকে একটি মেয়ের গল্প বলি, যার নাম মালালা ইউসুফজাই। যে বয়সে মেয়েরা খেলাধুলা আর পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে, মালালা সেই বয়স থেকেই নারীশিক্ষার অধিকার নিয়ে লড়েছিল। পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় তালেবানদের ভয়ে যখন মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, মালালা তখন চুপ করে বসে থাকেনি। সে ছদ্মনামে ব্লগ লিখতে শুরু করল, বিবিসি উর্দুতে তার জীবনের কথা, স্কুলে যাওয়ার ইচ্ছার কথা তুলে ধরল।
তার এই সাহসিকতা অনেকের চোখে পড়ল, কিন্তু তালেবানদের কাছে এটা ছিল বিদ্রোহ। ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর, যখন মালালা স্কুল থেকে বাসে করে বাড়ি ফিরছিল, তখন তালেবান জঙ্গিরা বাস থামিয়ে তাকে গুলি করে। গুলি তার মাথা ভেদ করে চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে পাকিস্তানের হাসপাতালে, তারপর উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।
সারা বিশ্ব চমকে গিয়েছিল এই ঘটনায়। সবাই মালালার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছিল। অসম্ভব মনের জোর আর আধুনিক চিকিৎসার কল্যাণে মালালা ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠল। সুস্থ হয়ে সে থেমে থাকেনি। বরং তার কণ্ঠস্বর আরও জোরালো হয়ে উঠল। সে নারীশিক্ষা ও শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করতে শুরু করল বিশ্ব মঞ্চে।
তার এই অদম্য স্পৃহা আর ত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৪ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে মালালা ইউসুফজাই শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনিই ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ নোবেল বিজয়ী। তার গল্প আমাদের শেখায় যে, বাধা যতই আসুক, দৃঢ় সংকল্প আর সাহসিকতা থাকলে যেকোনো অসম্ভব স্বপ্নকেও বাস্তব করা যায়।
গল্পটি কেমন লাগল? আপনি কি আরও কোনো বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে গল্প শুনতে চান?
81
View