আকাশটা এখন এক বিষণ্ন আয়না —
পুরনো অক্ষরের মতো ঝাপসা,
যেখানে তারারাও ধোঁয়া হয়ে
নামহীন চিঠির বাক্যে আটকে থাকে।
নগরী এক অদ্ভুত অঙ্গারশয্যা —
স্বপ্নগুলো এখানে আবর্জনার ট্রলিতে
যেন কবিতা খুঁজতে গিয়ে হঠাৎ--
একটা মৃত বিপ্লবীর চোখের দিকে তাকিয়ে পড়া।
প্রেম? সে তো এখানে এক দালানবদ্ধ অন্ধকার,
নাম ছাড়া দরজায় কাঁপতে থাকা হাওয়া।
মা বলেছিলো —
"মানুষ হ — আলো হতে শেখ",
আর আমি প্রতিদিন মুদ্রিত শব্দে ডুবে
বুঝেছি, খবরের কাগজ আসলে
একটা মুখোশ — যেখানে খবর নেই,
আছে কেবল হেরে যাওয়া নিঃশব্দ আত্মকথা ।
কে যেন বলেছিল —
“যারা চুপ থাকে, তারা বিপ্লব করে না”,
তবু আমি জানি,
একটা নীরব কবিতা
সমগ্র সভ্যতাকে ঠেলে দিতে পারে
এক বিন্দু নৈঃশব্দ্যের বিস্ফোরণে।
হিজল পাতার ভাঁজে আজও শুয়ে থাকে
এক অপঠিত প্রেম —
নির্জনতা যার একমাত্র সাক্ষী।
এই শহর আসলে
এক ব্যর্থ চিত্রনাট্যের পুনরাবৃত্তি —
প্রেম এখানে গ্রীষ্মের শোকের মতো,
আমি প্রতিদিন
ঘুমের নিচে কুয়াশার মতো
কিছু পচা স্বপ্ন লুকিয়ে রাখি —
নোটবুকের পাতায় জমে থাকা ঘামই
আমার একমাত্র সাক্ষ্য।
তবু লিখে যাই —
একটা চুম্বনের ভিতর
এক মহাপৃথিবীর অস্তিত্ব খুঁজি,
যেখানে আকাশ কেবল রং নয় —
একটা অনন্ত প্রশ্ন।
জ্যোৎস্না বসে থাকে এখনো —
শেষ লাইনের কিনারায়।
যেখানে ভালোবাসা শব্দ নয়,
একটা পথ।
যা হাঁটলে ফিরে আসে —
তুমি, আমি ও আমরা সবাই।
২১/০৫/২৫ ইং।
#কবিতা
#poem
#everyone
#নিঃশব্দ_আত্মকথা
#আবেগের_কবিতা
#আধুনিক_বাংলা_কবিতা
#নিঃসঙ্গতার_চিৎকার
#নগরের_নৈঃশব্দ্য
#ভালোবাসা_একটা_পথ
#কবিতার_মধ্যেই_বিপ্লব
#চুপথাকা_প্রতিবাদ
#মুখোশ_পরা_সংবাদ
#নীরব_কবিতার_বিস্ফোরণ