স্মৃতির পাতায় আজও আছো তুমি
সূচনা পর্ব ---
তুমি আমায় সত্যিই ভালোবাসো সৈকত ভাই। খুশিতে চকচক করে উঠলো সপ্তদশী কন্যার চোখ দুটো। তখন একটা আবছা ছায়া জড়িয়ে ধরল সপ্তদশী কন্যাকে আর বলল,
আই হেট ইউ মানহা আই হেট ইউ সো মাচ। হঠাৎ ওই ভয় কাজ করলেো সপ্তদর্শী কন্যার মনে। কিন্তু আমি তো তোমাকে....
আর বলতে পারল না মানহা। তার আগেই ঘুমের মধ্যে কেউ তার কান টেনে দিলো।বিছানা থেকে ধরফুরিয়ে উঠলো মানহা আর বলল,
উফফ মা দিলে তো আমার ইমপোর্টেন্ট সপ্ন টা ভেঙে,
তখন রাহেলা খাতুন বললেন তোর ইম্পরট্যান্ট স্বপ্ন সাইডে রাখ আর ঘড়ির দিকে তাকা, আজকে কলেজের প্রথম দিন ও কি লেট হবি?
তখন মানহা জিভ কেটে বলল ওহ সরি সরি মা বলে এক দৌড়ে ওয়াশরুম এ চলে গেলো,
এখন পরিচয় দেয়া যাক,
মানহা পুরো নাম (মাহিরা খান মানহা)
মা: রাহেলা খাতুন
বাবা:আরিফ খান
ছোট বোন (ইনায়া খান ইরা)
এই হলো মানহার ছোট পরিবার মানহার বাবা একজন ব্যবসায়ী সারাদিন মায়ের বকাঝকা বাবার আদর আার ছোট বোনের সাথে দুষ্টামি করে দিন কাটে মানহার।
বর্তমান --
খাবার টেবিলে বসে আছে আরিফ খান খেতে খেতে তিনি রাহেলা খাতুন কে জিজ্ঞেস করলেন মানহা কোথায়?
রাহেলা খাতুন কিছু বলার আগেই পেছন থেকে মানহা বলল,
এইতো বাবা আমি এখানে। আরিফ খান বললেন এসো মা একসাথে নাস্তা করি।খাওয়া শেষ করে আরিফ খান বললো,
আজকে আমি তোমাকে কলেজে ড্রপ করে দিয়ে আসছি চলো আম্মাজান
মানহার আরিফ খান বেরিয়ে গেলেন কলেজের উদ্দেশ্যে।
মানহার কলেজের আজকে প্রথম দিন মানহা খুবই এক্সাইটেড,
মানাহা দাঁড়িয়ে আছে রাজশাহী কলেজের সামনে। মনে হাজারো স্বপ্ন নিয়ে কলেজে প্রবেশ করল মানহা, নতুন কলেজ নতুন পরিবেশ নতুন বইয়ের পাতার ঘ্রান সবই মানহার ভীষণ পছন্দের।
ক্লাসরুমে আজ খুব ভালই দিন কাটলো মন হার সাথে কিছু নতুন স্টুডেন্টের সাথে বন্ধুত্ব ও হলো,একজনের সাথে একটু বেশি ই কথা বলল মানহা মেয়েটার নাম আয়েশা মিষ্টি একটা মেয়ে গোলগাল চেহারার মায়াবী মুখশ্রী জুড়ে আছে এক অমায়িক হাসি আর বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ। কলেজ শেষে মানহা আর আয়েশা একসাথে বের হল ক্লাস রুম থেকে আর আয়শা বলল,
আজকে তো আমাদের প্রথম দিন কলেজের চল ক্যাম্পাসটা ঘুরে দেখি মানহা বলল,
আচ্ছা চল যাই,
তারপর দুইজনে মিলে বের হলো আর ঘুরতে ঘুরতে ওরা লাইব্রেরির কাছে এসে থামল মানহা বলল, চল লাইব্রেরী টা একবার ঘুরে আসি বলে দুইজন ভিতরে ঢুকলো
যেতে যেতে মানহার হঠাৎ একটা ছেলের সাথে ধাক্কা লাগে আর মানহা বলে ওঠে,
উফ আপনি কানা নাকি দেখে চলতে পারেন না একটুর জন্য পড়ে যাচ্ছিলাম
ছেলেটা বলল এই যে মিস পড়ে যাচ্ছিলেন পড়ে তো আর যান নি এইভাবে বলার কি আছে
মানহা বলল, আপনি দেখে চলতে পারেন না আর আমাকে বলছেন এইভাবে বলার কি আছে হাউ ফানি।
ছেলেটা কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেল আর দেখলো আনহা চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে আছে ওর দিকে ছেলেটার হঠাৎই মানহার মুখটা খুব পরিচিত ঠেকলোআার মানহা কে দেখতে লাগলো ভাসা ভাসা চোখ জোড়া ভ্রু কথা বলার সময় নাকের পাটা লাল হয়ে কিছুটা ফুলে ওঠে হালকা মিষ্টি অধর সাথে উজ্জ্বল শ্যামলা গায়ের রং দেখতে দেখতে হঠাৎ আনাহা বলে ওঠে,
এইভাবে তাকিয়ে আছেন কেন জীবনে কোনদিন মেয়ে দেখেননি বলে আনহা ভেংচি কেটে চলে গেল,
হঠাৎ এইভাবে বলে ওঠায় ছেলেটা থতমতো খেয়ে গেল আর তাকিয়ে দেখতে লাগলো আনহার চলে যাওয়া তখনই পিছন থেকে কেউ বলে উঠলো আশমিন,
ছেলেটা পেছনে তাকিয়ে বলল হুম তখন আনিস এগিয়ে এসে বলল কিরে এতক্ষণ কই ছিলি তোকে সবাই খুঁজছে চল আমার সাথে
আসমিন আর আনিস চলে গেল ভার্সিটির মাঠে গিয়ে দেখল ওইখানে বসে আছে মিরা,তানজিম, অভয়,ওরা পৌছানো মাত্রই অভয় বলে উঠলো কিরে আনিস আজকে আবার কার সাথে টাংকি মাইরা আসছিস, আনিস বলল,আজকে কাউকে পাইনি রে আজকে পুরোনো গালফ্রেন্ড দিয়ে কাজ চালাইতে হইবো ধুর সালা
দারা আমার ১২ নাম্বার গালফ্রেন্ড ফোন দিছে কথা বলে আসি আশমিন বিরক্ত হলো আর কপাল কুচকে বলল, তোরা কি যাবি নাকি আমি একাই চলে যাব।
সবাই বলল না না চল একসাথে বাড়ি যাই।
মানহা আর আয়শা হাটছে, হাটতে হাটতে আয়শা মানহা কে বলছে লাইব্রেরীতে ধ্বাক্কা খেলি যেই ছেলেটা র সাথে ওর সাথে এমন ব্যবহার করলি কেন
মানহা বলল আরে তুই জানিস না আজকালকার ছেলেরা সব ইচ্ছে করে গায়ে পরে আর সরি বলে
প্রেম শুরু করার এটা প্রাথমিক উপায় বুঝলি
আয়শা হেসে দিলো বলল,আর যাই বলিস ছেলেটা কিন্তু হ্যান্ডসাম আছে। তোর মনে আছে নাকি এমন হ্যান্ডসাম কেউ,
মানহা মুচকি হেসে বলল হুম আছে আমার প্রথম এবং শেষ ভালোবাসা আায়শা বলল হুমম
ইন্টারেস্টিং
(চলবে)
স্মৃতির পাতায় আজও আছো তুমি
পর্ব ১
(আমি নতুন লেখিকা ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন আর জানাবেন গল্পের শুরু টা কেমন লাগলো)
(রোমান্টিক +ছোটো বেলার প্রেম কাহিনী)