
গল্পের নাম: “নীল রঙের নদী”
এক ছিল ছোট্ট এক গ্রাম, নাম তার চন্দ্রপুর। সেখানে ছিল এক রহস্যময় নদী, যার জল ছিল নীলচে আলোতে ঝিকিমিকি। গ্রামের সবাই বলত, এই নদীর নিচে আছে এক জাদুর রাজ্য।
মাহিদুল, সেই গ্রামেরই এক কিশোর, ছিল সাহসী ও কল্পনাপ্রিয়। সে প্রায়ই বসে বসে ভাবত, “এই নদীর নিচে কী আছে?”
একদিন হঠাৎ করে মনোয়ার স্যার বললেন,
— “এই নদী সব সময় যে-কারো জন্য খুলে যায় না, মাহিদুল। কেবল যাদের মনে সৎ সাহস আর হৃদয়ে দয়া আছে, তাদের জন্যই নদী পথ খুলে দেয়।”
সেদিন রাতে, পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় নদীটা হঠাৎ স্রোত থামিয়ে ফেলল। মাহিদুল এগিয়ে গেল। সে চোখ বন্ধ করে বলল,
— “আমি কাউকে কষ্ট দিতে চাই না, শুধু জানতেই চাই কী লুকিয়ে আছে তোমার নিচে।”
অমনি নদীর জল ফুঁড়ে তৈরি হলো এক স্বচ্ছ সিঁড়ি। মাহিদুল নামতে নামতে পৌঁছে গেল এক আলো-ঝলমলে জগতে — সেখানে ছিল রঙিন মাছ, কথা বলা জেলিফিশ, আর এক রাজা, যার মাথায় ছিল ঝিলমিল মুকুট।
রাজা বলল,
— “তুমি সেই শিশু, যে নিজের জন্য নয়, অন্যদের জন্য জানতে চায়। তুমি চাইলেই ফিরে যেতে পারো, তবে যদি চাও, আমি তোমাকে জাদুর ভাষা শিখাবো — ভালোবাসার ভাষা।”
মাহিদুল সেই ভাষা শিখে ফিরে এল চন্দ্রপুরে। সে এখন সব জীবজন্তুর সঙ্গে কথা বলতে পারে। সে হয়ে উঠল গ্রামের নতুন বন্ধু, আর মনোয়ার স্যারের প্রিয়তম শিষ্য।
শিক্ষণীয় দিক:
যে সত্যিকারে জানার আগ্রহ আর ভালোবাসা রাখে, তার জন্যই খোলে জ্ঞানের পথ।