গল্পের নাম: দেউলের ছায়া
গ্রামের এক প্রান্তে ছিল একটা পুরনো দেউল (মন্দির)। কেউ সেখানে যেত না। লোকজন বলত, সন্ধ্যার পর দেউলটার কাছ দিয়ে গেলেই গা ছমছম করে ওঠে।
একবার শহর থেকে এক তরুণ গবেষক, নাম শুভ, গ্রামে আসে লোককথা নিয়ে গবেষণা করতে। দেউলের গল্প শুনেই সে ঠিক করে, রাতে সেখানে যাবে।
সন্ধ্যাবেলা একটা টর্চ আর খাতা-কলম নিয়ে শুভ হাজির হয় দেউলের সামনে। চারপাশ নিস্তব্ধ, শুধু ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক। ধীরে ধীরে সে ভেতরে ঢোকে।
ভেতরে ঢুকে দেখে, একটা ঠান্ডা বাতাস বইছে। দেওয়ালে ধরা সাদা সাদা দাগ, যেন কেউ নখ দিয়ে আঁচড় কেটেছে। শুভ টর্চটা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখে— হঠাৎ আলোটা নিভে যায়।
সে পকেট থেকে মোবাইল বের করে ফ্ল্যাশ জ্বালাতে যায়, এমন সময় পেছন থেকে একটা গলা আসে—
"এতো বছর পর কেউ এল... কেন এসেছিস?"
শুভ ঘুরে দাঁড়ায়, কেউ নেই। কিন্তু মেঝেতে তার পাশে একটা ভেজা পায়ের ছাপ দেখা যায়।
হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসে। সে দৌড়াতে চায়, কিন্তু পা যেন নড়ে না।
তখনই এক টুকরো ছায়া সামনে এসে দাঁড়ায়। ধীরে ধীরে রূপ স্পষ্ট হয়— এক বুড়ি, চোখ দুটো পুরো সাদা, চুল ঝাঁকড়া, মুখে অদ্ভুত হাসি।
"আমি এখানেই থাকি। সবাই ভুলে গেছে আমাকে। তুই ভুল করেছিস, এসেছিস। এখন তুইও থাকবি আমার সাথেই..."
আর সেই রাতের পর থেকে, শুভকে আর কেউ খুঁজে পায়নি।
কিন্তু দেউলের সামনে এখন মাঝেমধ্যে একটা ছায়া দেখা যায় — মাথা নিচু করা এক তরুণ, হাতে খাতা-কলম...
আরও ভৌতিক গল্প চাইলে বলবেন — ভূতের ধরন, স্থান, সময় কিংবা গল্পের চরিত্র অনুযায়ী কাস্টম করে দিতেও পারি।