ভূতের স্কুল
লেখক: মাহিদুল ইসলাম
সন্ধ্যা তখন নেমে এসেছে। গ্রামের শেষ প্রান্তে পুরনো একটি স্কুলবাড়ি, নাম “শ্যামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়”। বহু বছর আগে স্কুলটি বন্ধ হয়ে গেছে। মানুষ বলে, ওখানে এখন আর মানুষ থাকেনা — থাকেন ভূতেরা।
রাফি, শহর থেকে সদ্য গ্রামে এসেছে। তার কৌতূহল সীমা মানে না। গ্রামের ছেলেরা তাকে সাবধান করেছিল,
— "ভাই, সন্ধ্যার পর ওই স্কুলের দিকে যাস না।"
কিন্তু কৌতূহলকে কে দমন করতে পারে? এক সন্ধ্যায় রাফি চুপিচুপি চলে গেল স্কুলটার দিকে। চারপাশে সুনসান নীরবতা, মাঝে মাঝে শিয়ালের ডাক, আর বাতাসে ঝড়ের শোঁ শোঁ আওয়াজ।
স্কুলে পৌঁছে দেখল, জানালাগুলো ভাঙা, দরজাটা আধখোলা। সে সাহস করে ঢুকে পড়ল। হঠাৎ কোথা থেকে যেন কড় কড় করে হাঁটার শব্দ শোনা গেল। রাফি থমকে গেল। আলো নেই, কেবল ফোনের টর্চই ভরসা।
একটা ক্লাসরুমের ভেতর সে ঢুকল। হঠাৎ, পিছন থেকে কেউ ডাকল —
https://mahidul24bd.blogspot.com/
"রাফি..."
সে চমকে পেছনে তাকাল। কেউ নেই।
আবার সেই আওয়াজ —
— "রাফি, তুই আমার খাতা নিয়ে গেছিস। ফেরত দে।"
রাফির বুক কেঁপে উঠল। এই নামে তাকে কেউ ডাকে না এখানে! হঠাৎ ফোনটা নিভে গেল। চারপাশ ঘন অন্ধকার।
হঠাৎ সে টের পেল, কেউ বা কিছু তার পিছনে দাঁড়িয়ে। গায়ে ঠাণ্ডা বাতাসের মতো কিছু ছুঁয়ে গেল। ভয়ে তার গলা দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছিল না।
পরদিন সকালে, স্কুলের পাশে একটা পুরনো বেঞ্চে রাফিকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেল। তার হাতের মুঠোয় ছিল একটা ছেঁড়া খাতা — তাতে লেখা ছিল,
"এই খাতা ফেরত দিলাম, আমাকে আর ডাকিস না।"