ঐশ্বর্য
পর্ব - ১৫
.
নূর -এ- কাউছার
.
রবি কিছু বলার আগেই শান্তি রবির মুখে চেপে ধরে চুপ করে থাকতে বলে কারন সে কিছু আন্দাজ করতে পেরেছে তাদের আসে পাশে কেউ তাদের উপর নজর রাখছে। শান্তি বলল আমাদের এখানে আর এক মুহুর্তের জন্যও থাকাটা ঠিক হবে না। রবি বলল কিন্তু এই ভাবে মানুষ গুলোকে কে মারবে শান্তি বলল ভালো করে খেয়াল করেন এগুলো কালি ঘাটের দিক থেকে ভেসে আসছে রবি বলল আমাদের এখনি পুলিশকে জানানো উচিত। শান্তি বলল আগে বাড়ি চলেন আমাদের এইখানে থাকাটা একদম অনিরাপদ। এতক্ষনে সূর্য ডুবে গেছে অন্ধকার হয়ে গেলো সব। তারা নামা থেকে উঠার সময় ঐশ্বর্য কে কেউ নিচ থেকে টেনে ধরে ঐশ্বর্য চিতকার শুরু করে দেয়, আমাকে ধরো আমাকে নিয়ে গেলো। শান্তি সাথে সাথে ঐশ্বর্য কে জরিয়ে ধরে রবি একছুটে ঐশ্বর্য পায়ের কাছে এসে বুঝার চেষ্টা করে কে ধরলো পায়ে রবি অন্ধকারে খেয়াল করলো এক জোরা হাত সরে গেলো রবি হাতকে অনুসরণ করে হাতের কাছে একটা লাঠি দিয়ে বারি দেয় সাথে সাথে একটি কালো অবয়ব ঝোপ থেকে বের হয়ে দৌড় দিয়ে পালায়। ঐশ্বর্য এটা দেখে ভয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। শান্তি বুঝতে পারে এখানে যাই হচ্ছে খুব খারাপ হচ্ছে। রবি ঐশ্বর্যকে তারা তারি কোলে নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হয় মাঝ রাস্তায় আবার লতিফের দেখা লতিফ তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলছে, কইছিলাম, কইছিলাম না? এহন আমার কথায় বিশ্বাস কইরা মাইয়াডারে বিদায় দে এই মাইয়া যতদিন অবিয়াইত্তা থাকবো ততদিন এই মাইয়ার পিছ ছারতো না কালি ঘাটের আদম খূরেরা। শান্তি এবার কথা গুলো মনে গেথে নিলো। বাড়িতে এসে দেখতে পেলো আকাশ এসেছে। রবি ঐশ্বর্য কে নিয়ে তার ঘরে সুইয়ে দিলো। আসলে আকাশ এখানে ঐশ্বর্য কে দেখতে এসেছে রবি হাপাতে হাপাতে পুরো ঘটনা আকাশকে বলল। এতো কিছুর মাঝে নওয়াজের কথা সবাই ভুলেই গেছে তাই রবি আর জিজ্ঞেস করতে পারলো না। আকাশ ঐশ্বর্যকে কেউ টেনে ধরেছিল শুনে দৌড়ে বেরিয়ে পরে। পুলিশ ফোর্স নিয়ে নদীর ধারে চলে আসে আকাশ খেয়াল করলো নদীতে এখনো মানুষের শরীরের কাটা অংশ গুলো ভাসছে। সারা গ্রামে হই চই শুরু হয়ে গেলো কারোর আর বুঝতে বাকি রইলো না কাটা অংশ গুলো হারিয়ে জাওয়া মানুষ গুলোর। সারা গ্রামের মানুষ নৌকা লঞ্চ নিয়ে পুরো কালি ঘাট ঘেরাও দিয়ে ফেলে চারিদিকে কান্নার রোল পড়ে গেলো। আকাশ রবির দেওয়া বর্ননা অনুযায়ী অবয়ব টাকে খুজতে লাগলো। রবির বর্ননা অনুযায়ী আকাশের দেখা সেই চাদর মোরানো লোকটির মতো লাগছে যাকে সে সুপারি বাগান থেকে বের হতে দেখেছিলো। এদিকে কিছু মানুষ ছাড়া আর কেউ লাশের কাটা অংশ চিনতে পারছে না সারা রাত এভাবেই কেটে গেলো কিন্তু কেউ কালি ঘাটে ঢুকার সাহস পেলো না কেউ ঢুকতে চাইলেও আকাশ ঢুকতে দেয় না কে জানে ভিতরে কোন বিপদ কার জন্য অপেক্ষা করছে। পরের দিন এই ঘটনা সারা দেশে ছড়িয়ে পরে গ্রামে সাংবাদিক এসে ভরে যায় ঢাকা থেকে স্পেশাল টিম আসে কালি ঘাট তল্লাশি দেওয়ার জন্য, কিন্তু তারাও বিফল হয় কিছুই খুজে পায় না। আর প্রেসের সামনে বলে যায় ঘাট পুরো ফাকা এখানে কিছুই নেই। কিন্তু গ্রামের মানুষ নিশ্চিত যা হয়েছে এই ঘাট কে কেন্দ্র করেই হয়েছে। গ্রামে এত আন্দের একটা দিনে এত ভয়াবহ ঘটনায় সকলের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায় কালি ঘাটের কি রহস্য কেউ কি তা কোনো দিন জানতে পারবে? নাকি এভাবেই তাজা প্রান বছরের পর বছর ঝোরতেই থাকবে?
.
এই ঘটনার দুমাস পর গ্রামের মানুষের এখনো সেই ঘটনার ঘোর কাটাতে পারে নি। তারা সেদিনি কালি ঘাটে যাওয়ার রাস্তা একদম বন্ধ করে দেয়। এর মাঝে ঐশ্বর্য সাভাবিক হয়ে উঠে ওই ঘটনার পর শান্তি লতিফের কথা গুলো শুনে ভয় পেয়ে যায় তার মনে ভুত প্রেতের ভয় নেই কিন্তু মেয়ের জন্য সব কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছে। তাই সে ঘটক লাগিয়ে দেয় ভালো পাত্র খোজার জন্য রবিও এর মাঝে চলে যায় শহরে। ঐশ্বর্য এখন এইসব জোর পুর্বক ভুলার চেষ্টা করছে কারন সামনে তার পরিক্ষা এখন এই সব নিয়ে ভাবলে পরিক্ষা খারাপ হবে তাই সে পড়ালেখায় আবার মোন দেয়। শিতের বিকেল ঐশ্বর্য চাদর মুরিয়ে বাড়ির পেছনের বারান্দায় দারিয়ে আছে আর ভাবছে কতো কিছু ঘটে গেলো কিছু দিনের মধ্যে কতো মানুষের তাজা প্রাম ঝরে গেলো সবটা যেনো এক দূর সপ্ন। অপর দিকে আকাশ কালি ঘাটের চাপ্টারটা বাতিল করেছে সে ভেবে নিয়েছে এবার যাই হোক আরেকটা ঘটনা ঘটলে সরাসরি ঘাটে নিজের সর্বচ্চ সক্তি দিয়ে এটাক করবে। এর মাঝে সে এটাও ভেবে নেই যে তাকে বাচতেও হবে সে ঐশ্বর্যর জন্য বাচতে চায়। এই দুমাসে আকাশ প্রায়ই রহমান বাড়িতে আসতো কোনো না কোনো ছলে ঐশ্বর্যকে একটি নজর দেখার জন্য কিন্তু একবারের জন্যও সে সফল হয়নি। ঐশ্বর্য সব বুঝতে পারে কারণ সে রোজ তার স্কুল ছুটি দেওয়ার সময় স্কুলের সামনে তার জিপ নিয়ে ঘোরাঘুরি করে। ঐশ্বর্যকে আকাশ চিঠির মাধ্যমে বলেও দেয় যে প্রথম দেখেই তাকে পছন্দ করে ফেলে কিন্তু ঐশ্বর্য প্রতি বার তার আশা ভেঙে চুর মার করে দিয়েছে। ঐশ্বর্য উত্তরে একটা কথাই বলে দিয়েছে আমি এভাবে কিছুই বলতে পারবো না আপনি আম্মার সাথে কথা বলেন আম্মা যা বলবে তাই হবে। আর আমাকে এইভাবে বিরক্ত করবেন আমি বাকি সকল মেয়েদের মতো না আমি এর আম্মাকে বলতে বাধ্য হবো। আকাশ ভেবে নিয়েছে ঐশ্বর্যর ভাড়িতে প্রস্তাব নিয়ে আসবে তাই সে কিছু দিনের ছুটি নিয়ে শহরে চলে আসে আসার সময় একটি চিঠি ঐশ্বর্যর খালাতো বোন রুবেয়ার কাছে দিয়ে আসে। রুবেয়া এত দিন শহরে থেকে পরা লেখা করেছে পারিবারিক পরিস্থিতি ভালো থাকায় রুবেয়া ঐশ্বর্যর আগে স্কুলে ভর্তি হয় তাই সে খুব তারা তারি মেট্রিক পাস করে। ঐশ্বর্য আর রুবেয়া সমবয়সী তাদের সম্পর্ক ছোটো থেকেই অনেক ভালো। রুবেয়া চিঠি টা নিয়ে ঐশ্বর্যর সাথে অনেক মস্করা করে আর বলতে থাকে কিরে ঐশ্বর্য মনে লাড্ডু ফুটতাছে নাকি? ঐশ্বর্যর গাল শরমে লাল হয়ে যায়। আছরের ওয়াক্ত হয়ে যায় ঐশ্বর্য বারান্দা থেকে চলে আসতে নেই রুবেয়া বলে, কই যাস বিকেলডা অনেক সুন্দর এইনেই দারাই? ঐশ্বর্য বলল, দাদুর নিষেধ আছে বিকেলের পর এখানে দারানো যাবে না। রুবেয়া হা করে তাকিয়ে থাকে আর বলে মরা মানুষের আবার কিয়ের নিষেধ! ঐশ্বর্য চোখ বন্ধ করে বলে যাইহোক দাদু আমার ভালোর জন্যই হয়তো বলে গেছেন! এতটুকু বলে ঐশ্বর্য বলল আই ওজু করে নামাজ পরে নে। রুবেয়া ঐশ্বর্য এক সাথে আছরের নামায পরে নিলো, রাতে দুজনে মিলে ঘরে বসে হারিকেন জালিয়ে গল্প করছে ঐশ্বর্য বলল তোকে আম্মা ডাকলো না মাত্র? যা। রুবেয়া বলে কই আমি তো হুনলাম না। ঐশ্বর্য বলে আরে ডাকছে আমি শুনছি যা তারা তারি যা। রুবেয়া ঘর থেকে বের হতেই ঐশ্বর্য দরজাটা লাগিয়ে দেয়। রুবেয়া বাইরে দারিয়ে ভাবতে থাকে আমাকে ঘর থেকে বের করে দিলো কি করবে? সাথে সাথে মনে পরে চিঠিটার কথা বাইরে থেকে রুবেয়া দরজা ধাক্কাতে থাকে আর বলতে থাকে ঐশ্বর্য তুই আমারে নিয়া পর আমি কি করছি আমার সামনে পর আমি কিন্তু খালারে কইয়া দিমু। ঐশ্বর্য বলল রাগ করিস না বোন তুই জানিসই আমি তোর সামনে এইটা পরতে পারবো না আমি আগে পড়ে নেই তার পর তুই পরিস। আর আম্মাকে বলে দিলে দে আমিও খালাকে রাসেদ ভাইয়ের কথা বলে দিবো। রুবেয়া আর কিছু বলার আগেই ঐশ্বর্য বলল আর কোনো কথা না এখন যা আম্মাকে একটু সাহায্য কর আমিও একটু পর আসছি। রুবেয়া দরজায় একটা কিল দিয়ে চলে যায় ঐশ্বর্য চিঠিটা পরতে শুরু করলো।
.
আসসালামু আলাইকুম
আসা করি আপনি এবং আপনার পরিবারের সকলেই ভালো আছেন। আপনাকে নিয়ে আমার মনের অনুভূতির কথা আমি আগেই বলে দিয়েছি সেদিনের চিঠিতে। আপনি উত্তরে আপনার মায়ের সাথে কথা বলতে বললেন। আমি যতটুকু দেখেছি আপনার মা খুব বিচক্ষণ মহিলা, কঠিন আর তাকে দেখলে আমার এক ধরনের ভয়ও কাজ করে। আপনার মায়ের মুখে হিংস্রতার ছাপ আছে। আমি জানিনা আপনি কথা গুলো কিভাবে নিবেন কিন্তু আমি সবটা স্পষ্ট করে নিতে সাচ্ছন্দ্য বোধ করি। আমি কিছু দিনের ছুটি নিয়েছি ঢাকা যাবো বাবা মাকে নিয়ে রহমান বাড়িতে আপনার মায়ের কাছে আপনার হাত চাইবো। এত সহজে আপনার মা মানবে বলে আমার মনে হয় না! কিন্তু বিষয় টা এখন এমন পর্যায়ে চলে এসেছে আপনাকে পাওয়ার জন্য বিশ হজম করে নিবো।
.
আপনি জানেন
(আমি তো আপনার প্রথম দর্শনেই নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি। আপনার দৃষ্টি আমাকে তিলে তিলে হ্রাস করে দিচ্ছে আমি আপনার রুপের আগুনে ঝলসে জাচ্ছি আমাকে দয়া করে বাচান)
.
ইতি - আকাশ সরকার
.
ঐশ্বর্য চিঠিটা পরে চোখ বড় বড় করে দেয় আর ভাবতে থাকে, এটা পুলিশ নাকি প্রেমিক পুরুষ চিঠি লেখার অনেক ভালো অভিজ্ঞতা আছে। ঐশ্বর্য শেষের লাইন গুলো বার বার পরছে আর হাসছে এদিকে রুবেয়া চলে আসে আর ডাকতে থাকে। খালার কাজ শেষ খাইতে আই ডাকতাছে। ঐশ্বর্য বলল হুম যা আসছি। খাওয়া দাওয়ার সময় শান্তি জিজ্ঞেস করলো কিরে কি ভাবছিস ঐশি? ঐশ্বর্য মাথা নারায় আর খাওয়া শুরু করে দেয় এই দিকে রুবেয়া বলে, খালা কালকে বাড়িতে মেহমান আইতে পারে সাথে সাথে ঐশ্বর্য কাস্তে শুরু করে দেয়। রুবেয়া দুষ্টমির ছলে বলে কিরে ঐশ্বর্য মেহামনের কথা কইতেই তোর কাসি উঠলো কে মনে হয় তোর লিগাই আইবো। শান্তি কপাল কুচকে জিজ্ঞেস করলো কিরে কিসের মেহমান কে আসবে? ঐশ্বর্য চোখ বড় বড় করে দিয়ে বলতে লাগলো আরে আম্মা কিছু না এর কি এতো কিছু বলতে পারলেই বেচে যায়। শান্তি বুঝতে পারে ঐশ্বর্য কিছু লুকোচ্ছে কিন্তু কিছু বলল না ঐশ্বর্য কে। শুধু এতটুকু বলে বুঝিয়ে দেয় যাই করিস ভেবে চিন্তে করবি তোকে নিয়ে অনেক সপ্ন আছে ঐশ্বর্য কলঙ্কের ভয় রাখিস মনে। ঐশ্বর্য ভাবনায় পরে যায় আর ভাবতে থাকে ঠিকি তো আমি তো এমন ছিলাম না এভাবে মাকে না জানিয়ে কারোর সাথে চিঠিতে কথা বলা ঠিক হচ্ছে না। খাওয়ার পর্ব শেষ হয় দুজনেই ঘরে চলে আসে। ঐশ্বর্য রুবেয়া কে জিজ্ঞেস করলো তুই চিঠিটা আমার আগেই পরেছিস তাই না? রুবেয়া বলে হ তো কি অইছে আমি ত তর বইনি। ঐশ্বর্য বলল তবুও এইভাবে অন্য কারোর চিঠি পরা উচিত না। রুবেয়া বলল আকাশ ভাই কিন্তু সিনেমার নায়কের মতো দেখলে চোখ ফিরান যায় না, অবশ্য তর থিকা সুন্দর না কিন্তু তরে আর আকাশ ভাইরে খুব মানাইবো। ঐশ্বর্য কোনো কথা না বলে ওজু করে এশার নামাজের জন্য দারিয়ে যায় আর বলে নামাজ পরে নে। রুবেয়া বলে তুই পর আমি একটু পর পরছি। ঐশ্বর্য নামজ পরে বিছানায় শুয়ে চিঠিটার দিকে তাকিয়ে আছে আর শেষের কথা গুলো বার বার তার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে এক সময় ঘুমিয়ে পরে ঐশ্বর্য। পরের দিন শুক্রবার বার স্কুল বন্ধ ঐশ্বর্য আজ বাড়িতেই। এদিকে আকাশ মাত্র লঞ্চ থেকে নেমে গ্রামে পা রাখে সে খুব খুশি তার মা বাবা আর বড় ভাইও সাথে আছে আকাশ ভাবছে ঐশ্বর্যর মা না মানলে পায় ধরে নিবো তবুও তাকে আমার চাই। তারা আকাশের বাড়িতে না গিয়ে সরাসরি রহমান বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হয়। আকাশের বাবা রায়হান সরকার শহরের খুব নাম করা ব্যারিস্টার। আকাশের ভাই বিকাশ সরকার অনেক বড় ডাক্তার বিদেশ থেকে পড়ালেখা শেষ করে ১ মাস হলো দেশে এসেছে। আকাশের মা সাবিনা সরকার খুব ধনী পরিবারের মেয়ে ছিলেন তার বাবা মার জাওয়ার পর এক মাত্র মেয়ে হিসেবে সে সব কিছুর মালিক হয়। শহরে দুতালা বাড়ি আছে দুতালা বাড়ি তখনকার সময়ে অনেক বড় কিছু। এত কিছু থাকা সত্ত্বেও আকাশ তার ছোটো বেলার সপ্ন পুরোন করার জন্য পুলিশের চাকরি বেছে নেয়। রাইহান আর সাবিনা খুব ভালো মানুষ ছোটো থেকে তারা তাদের ছেলে যা চেয়েছে তাই দিয়েছে আজ এতো বছর পর তাদের ছেলে আবার কিছু চেয়েছে। তাদের ছেলে যাকে পছন্দ করবে তাকেই বিয়ে করানোর জন্য রাজি হয়। বিকাশ প্রথমে রাজি হয়নি কারণ সে এই গ্রামের ঘটনা শুনে আকাশকে চাকরিই ছেরে দিতে বলে কিন্তু ছোটো ভাইয়ের এতো জোরাজোরিতে সেও রাজি হয়। তারা লঞ্চ থেকে নেমে নৌকা ভাড়া করে কদম পারায় সুপারি বাগানের সামনে এসে নামে। আকাশ খেয়াল করে কালি ঘাট থেকে ধুয়া বের হচ্ছে আকাশ বুঝে যায় গ্রামের মানুষ আবার নতুন কোনো তান্ত্রিক নিয়ে এসেছে। সে তার ভাই কে দেখালো, বিকাশ ভাইয়া ওইযে কালিঘাট যার বিষয়ে তুমি খবরের কাগজে পরেছো। বিকাশ কিছুক্ষণ দারিয়ে দারিয়ে হা করে তাকিয়ে দেখলো আর বলল আমি কোনো দিন এমন ভয়ানক জায়গার কথা শুনিও নি এই জাইগাটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে শত বছরের ভয়ানক ইতিহাস লুকিয়ে আছে এই ঘাটে। আকাশ মজা করে বলে বেশি দেখো না পরে রাতে ঘুম হবে না চলো এই গ্রামের সব থেকে ভয়ানক জিনিস দেখাইছি এবার শুধু এই গ্রামের না এই দেশের সব থেকে সুন্দরী নারী দেখাই। বিকাশ বলে আগে দেখি তার পর বলবো চল। রুবেয়া বাড়ির পিছনের বারান্দায় দারিয়ে রোদ পোহাচ্ছে খেয়াল করলো নদীর দিক থেকে কিছু মানুষ হেটে আসছে ভালো করে খেয়াল করলো দেখতে পেলো আকাশ আর তার সাথে ৩ জন মানুষ। রুবেয়ার চোখ কপালে উঠে গেলো দৌড়ে ঘরে চলে আসে আর চিতকার করে বলতে থাকে খালা মেহমান আইয়া পরছে আমি আগেই কইছিলাম। শান্তি বলল কি বলছিস আজে বাজে কিসের মেহমান? রুবেয়া বলল আরে আইছে তুমি শুধু দেহ। তখনি দরজায় করা নারার শব্দ শান্তি রুবেয়া কে মাথায় কাপড় দিয়ে ঘরে চলে যেতে বলে। দরজা খুলে দেখলো আকাশ আর তার পরিবার।
.
.
ভুল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
পর্ব ১৬ (special episode) জলদি আসবে
পাশে থাকবেন ধন্যবাদ।
72
View