আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় জাপানি লেখক হারুকি মুরাকামি। সম্প্রতি নিউইয়র্ক ভিত্তিক সেন্টার ফর ফিকশন ঘোষণা করেছে, ৭৬ বছর বয়সী এই লেখককে সংস্থাটির ২০২৫ সালের লাইফটাইম অব এক্সিলেন্স ইন ফিকশন অ্যাওয়ার্ড এর জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
সেন্টার ফর ফিকশন এক বিবৃতিতে বলেছে, হারুকি মুরাকামির সাহিত্যকর্ম বিশ্ব সাহিত্যে এক অমোচনীয় প্রভাব ফেলেছে। শিল্প ও সংস্কৃতিতে তার অবদানকে স্বীকৃতি দিতে পেরে আমরা সম্মানিত বোধ করছি।
৯ ডিসেম্বর নিউইয়র্কে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুরাকামির হাতে এই পুরস্কার তুলে দেবেন তার বন্ধু, সঙ্গীতজ্ঞ ও লেখক প্যাটি স্মিথ। জাপানি এই লেখক এর আগেও বেশ কয়েকটি আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ফ্রাঞ্জ কাফকা প্রাইজ, জেরুজালেম প্রাইজ, ইন্টারন্যাশনাল কাতালোনিয়া প্রাইজ এবং হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসেন লিটারারি অ্যাওয়ার্ড।
মুরাকামি জাপানের অন্যতম বিখ্যাত লেখক এবং বিশ্বজুড়ে তার অসংখ্য ভক্ত রয়েছে। তিনি ১৯৭৯ সালে ‘হিয়ার দ্য উইন্ড সিং’ উপন্যাসের মাধ্যমে সাহিত্য জগতে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর তিনি ‘অ্যা ওয়াইল্ড শীপ চেজ’, ‘হার্ড-বয়েলড ওয়ান্ডারল্যান্ড অ্যান্ড দ্য এন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড’, ‘নরওয়েজিয়ান উড’, ‘কাফকা অন দ্য শোর’ সহ এক ডজনেরও বেশি বই প্রকাশ করেছেন। তার সর্বশেষ উপন্যাস ‘দ্য সিটি অ্যান্ড ইটস আনসার্টেন ওয়ালস’ গত বছরের নভেম্বরে প্রকাশিত হয়েছে। জাপানি ভাষা থেকে বইটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন ফিলিপ গ্যাব্রিয়েল।
উল্লেখ্য, লাইফটাইম অব এক্সিলেন্স ইন ফিকশন অ্যাওয়ার্ড ২০১৮ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে। সে বছর নোবেলজয়ী মার্কিন লেখক টনি মরিসনকে এই পুরস্কারটি দেওয়া হয়। এছাড়া নোবেলজয়ী জাপানি লেখক কাজুও ইশিগুরো এবং নোবেলজয়ী নাইজেরিয়ান লেখক ওলে সোয়িংকাও আজীবন এই সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। নোবেলজয়ী এই লেখকদের পাশাপাশি বুকারজয়ী ব্রিটিশ-আমেরিকান লেখক সালমান রুশদিও এই পুরস্কার পান।
সূত্র: কিরকাস