প্রতিদিন কাকডাকা ভোরে যখন ঘুম থেকে উঠতাম, প্রথমে পাশের ফ্ল্যাটের ব্যালকনি থেকে শুনতে পেতাম একটি অজানা কণ্ঠস্বর। মনে হতো, কে যেন সুমধুর কণ্ঠে পাখিদের সাথে তাল মিলিয়ে গান গাইছে। ইচ্ছা করত, তাকে দেখতে। কিন্তু কোনো এক অজানা চিন্তা মাথার কোণে এসে বলত, “তাকে দেখার মতো সাহস তোমার আছে? হঠাৎ থেমে যেতাম।”
এভাবে পাঁচটি মাস কেটে গেল। তাকে আর দেখা হলো না। আসলে ব্যাপারটি হলো—তার সামনে দাঁড়ানোর সাহস পাইনি কখনো।
হঠাৎ একদিন তার কণ্ঠস্বর আর শুনতে পেলাম না। খুবই বিচলিত হয়ে পড়লাম, কী হলো তার? বুকের মাঝে কেমন এক ব্যথা অনুভব করলাম।
এবার সাহস করে তার বাসায় চলে গেলাম। আমি ভাবতেই পারিনি, এমনটি হবে। খুবই বিচলিত হয়ে কাকিমাকে জিজ্ঞেস করলাম, "মিনু কী হয়েছে? তার সুমধুর সুর কেন আর শুনতে পাই না?"
কাকিমা কাঁপাকাঁপা গলায় বললেন, “বাবা, মিনু না ফেরার দেশে চলে গেছে।”
শুনেই খুবই মর্মাহত হলাম। আর মন তখন আমাকে বলল, "অপরিচিতকে পারলে না পরিচিত করতে।"