সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন সবসময়ই লেখক হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নিজের লেখার ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ থাকায় লেখালেখিকে ক্যারিয়ার হিসেবে নেননি। ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এই তথ্য প্রকাশ করেছেন তিনি।
বর্তমানে উপন্যাসিকে পরিণত হওয়া ক্লিনটন এই সাক্ষাতকারে লেখালেখির প্রতি তার ভালোবাসার কথা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, কলেজ জীবন থেকে শুরু করে আইন স্কুলের প্রথম বছর পর্যন্ত তিনি ৫টি বই পড়েছেন। এই বইগুলো তাকে লেখক হওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলেছিল।
উইলি মরিসের ‘নর্থ টুওয়ার্ড হোম’, উইলিয়াম স্টাইরনের ‘দ্য কনফেশন্স অব ন্যাট টার্নার’, থমাস উলফের ‘ইউ ক্যান’ট গো হোম এগেইন’, জেমস বল্ডউইনের ‘দ্য ফায়ার নেক্সট টাইম’ এবং মায়া অ্যাঞ্জেলোর ‘আই নো হোয়াই দ্য কেজড বার্ড সিংস’ তাকে লেখালেখির জন্য প্রেরণা দিয়েছিল।
আগ্রহী পাঠক হিসেবে পরিচিতি রয়েছে ক্লিনটনের। তিনি থ্রিলার পড়তে বেশি পছন্দ করেন। তার পছন্দের বই স্ট্যাসি আব্রামসের ‘হোয়াইল জাস্টিস স্লিপস’, লুইস পেনির রহস্য সিরিজের সব বই, ওয়াল্টার মোসলের ইজি রওলিনস বুকস সিরিজ। এছাড়া তার সহ লেখক জেমস প্যাটারসনের বই পড়তেও ভালোবাসেন তিনি।
সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ৩টি পলিটিকাল থ্রিলার লিখেছেন। তার প্রথম থ্রিলারের নাম ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ইজ মিসিং’। এটি ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয়। ২০২১ সালে ‘দ্য প্রেসিডেন্টস ডটার’ নামে দ্বিতীয় থ্রিলার এবং ২০২৫ সালে 'দ্য ফার্স্ট জেন্টেলম্যান' নামের সর্বশেষ থ্রিলার প্রকাশ করেছেন তিনি। এই বইগুলোতে ক্লিনটনের সহ লেখক হিসেবে আছেন জেমস প্যাটারসন।
এছাড়া ‘মাই লাইফ’ নামে একটি আত্মজীবনীও লিখেছেন ক্লিনটন। বইটি ২০০৪ সালে প্রকাশিত হয়। ১ হাজার ৮ পৃষ্ঠার বিশাল বইটি বেস্টসেলার বইয়ে পরিণত হয়েছিল। এটি ২.৩ মিলিয়ন কপির বেশি বিক্রি হয়েছিল। তিনি একটি ননফিকশন বইও লিখেছেন।এটির নাম ‘ব্যাক টু ওয়ার্ক: হোয়াই উই নিড স্মার্ট গভার্নমেন্ট ফর অ্যা স্ট্রং ইকোনমি’। বইটি ২০১১ সালে প্রকাশিত হয়।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান