#স্মৃতির পাতায় আজও আছো তুমি
#পর্ব ২
কাল ক্লাস শেষে মানহার আয়েশা বাড়ি ফিরে আসে।
বাড়ি আসার পর মানহার বোন ইরা জিজ্ঞেস করলে আপু তোমার আজকে কলেজের প্রথম দিন কেমন কাটলো,
মানহা:আলহামদুলিল্লাহ ভালোই
রাতে মানহা পড়ার টেবিলে বসে আছে। তখন আরিফ খান মানহার ঘরে আসলেন মানহার মাথায় হাত বুলিয়ে আদুরে সুরে বললেন আজকে কলেজ কেমন কাটলো মা?
মানহা:হুম ভালো বাবা
কিন্তু আমার একজন প্রাইভেট টিউটোর দরকার।
আরিফ খান :ওহ,আচ্ছা আমি ব্যবস্থা করছি। তুমি খেতে আসো মা বলে চলে গেলেন তিনি।
মানহা কমার্সের স্টুডেন্ট, ছোট থেকেই মানহা গণিত খুব ভালো বুঝে আর বুঝবে না কেন ও গণিত শিখতো সৈকত ভাইয়ের থেকে। মানহা ছোটবেলায় একবার শুনেছিল সৈকত ভাই হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করবে, তাই মানহা ঠিক করেছে ও হিসাববিজ্ঞান বিভাগে পড়বে,
সকালে ঘুম থেকে উঠে মানহা দেখতে পায় ওর মা ওর খালামণির সাথে কথা বলছে,অমনি মানহা এক দৌড়ে রে মানহার মার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো, আর কান পেতে শুনতে লাগলো তাদের কথা
মানহার খালা রিমা চৌধুরী বললেন আপু ২ বছর পর দেশে আসলাম এখানো আমাদের দেখতে আসার সময় হলোনা তোমার,
রাহেলা খাতুন বললেন, রাগ করিস না বোন জানিস ই তো তোর দুলাভাই একটু ব্যস্ত মানুষ, উনি বলেছেন কাল শুক্রবার এ যাবে তোর ঐখানে
রিমা চৌধুরী :আচ্ছা আাপু কাল সকাল সকাল আইসা পোইরো কতদিন মানহা আর ইরাকে দেখিনা,
ফোন কেটে গেল, মানহা উৎসাহের যে সাথে
জিজ্ঞেস করল মা আমরা কালকে খালামনিদের বাসায় যাব?
হুম
খুশিতে লাফাতে লাফাতে মানহা ঘরে যেতে লাগলো পেছন থেকে রাহেলা খাতুন বললেন, ওই যে উড়নচণ্ডী মেয়ে শুরু হয়ে গেছে। আস্তে যা,
আজকে খুশিমনে মানহা কলেজে চলে গেল গিয়ে দেখতে পেল, আয়েশা সাথে জানি কথা বলছে,
একটা ছেলে ওকে বলল ফাস্ট ইয়ার রাইট,
আয়শা:হুম
হাই আমি আনিস অনার্স থার্ড ইয়ার,
আয়শা:তো আমি কি করবো বলে আয়েশা চলে আসতে লাগলো,
আনিস:ইউ আর সো প্রিটি। লুক লাইক এ বারবি ডল।
আয়শা:আমাকে এসব বলে লাভ নেই আমি বারো ঘাটে পানি খাওয়া লোকেদের সাথে কথা বলি না,
অভয়: আনিসের কাঁধে হাত রেখে বলল কেউ রিজেকশন খেয়ে কেমন লাগছে,
আনিস: আনিস কে রিজেক্ট করা এত সহজ নয়, প্রথম দিন তো তাই একটু ভাব নিল দু একদিন পরেই দেখবি পটে গেছে,
আশমিন:কিরে তোরা এখানে কি করতেছিস, ক্লাস নাই তোদের।
অভয় :দোস্ত আনিস ছ্যাকা খাইছে তো তাই একটু ফ্রিতে সান্ত্বনা দিতেছি।
আনিস অপরদিকে চোখ গরম করে চলে যেতে নিলে আশমিন বলল, তোরা শালা আর ভালো হলি না।অভয় চল তোমার সাথে লাইব্রেরীতে একটু কাজ আছে আমার।
অভয়:চল
মানহা আর আয়েশা একই ডিপার্টমেন্টের স্টুডেন্ট, একটা ক্লাসের পর এখন আর ওদের কোন ক্লাস নেই আধা ঘন্টা পর আবার ক্লাস,
মানহা:আয়শা চল আমার সাথে আমি লাইব্রেরী থেকে একটা উপন্যাসের বই নিব,
আয়শা:আচ্ছা চল
মানহা লাইব্রেরী থেকে উপন্যাসের একটা বই নিয়ে আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো মোটামুটি সব বেঞ্চ ফিলাপ, ওরা দুজন একটা বেঞ্চের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো,
দেখল একটা ছেলে বইয়ের মধ্যে মুখ গুজে বসে আছে, মানহা বলল,এক্সকিউজ মি এখানে একটু বসতে পারি,
তখন ছেলেটা মুখের সামনে থেকে বই সরালো,
মানহা আর আয়েশা ছেলেটাকে দেখে স্তব্ধ হয়ে গেল এটা তো কালকের ওই ছেলেটা যার সাথে মানহার ধাক্কা লেগেছিল,
আশমিন বইয়ের দিকে তাকিয়ে উত্তর দিলো, এখানে বসা যাবে না অন্য কোথাও বসুন,তখন মানহা মনে মনে বলল
ভাব কত দেখো সামান্য বেঞ্চ শেয়ার করতে পারতেছে না,
মানহা:ভাইয়া বেঞ্চটা তো খালি পড়ে আছে একপাশে আমরা একটু বসি,
আশমিন:নিজের ভালো চাইলে আমার থেকে দূরেই থাকো মেয়ে,এখনো আশমিন বইয়ের দিকে তাকিয়ে উত্তর দিলো,
মানহা বিরক্তিতে চোখ মুখ কুঁচকে এখান থেকে চলে গেল, হঠাৎ মানহার সামনে একটা ছেলে এসে বলল,
এইযে মায়াবতী আপনার নামটা কি একটু জানতে পারি
মানহা আশে পাশে তাকিয়ে দেখলো নিজের দিকে আঙ্গুল উচিয়ে বলল, আমাকে বলছেন?
রবিন একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলল, আমার তো মনে হচ্ছে না এখানে আপনাকে ছাড়া আর কোনো মায়াবতী আছে,
মানহা চোখ ছোট ছোট করে বলল,মিস্টার আপনি কি আমার সাথে ফ্লার্ট করছেন?
রবিন:একদম ই না আমি তো যা সত্যি তাই বললাম,
মানহা পাশ কাটিয়ে চলে যেতে নিলে রবিন পেছন থেকে বলল,আরে মায়াবতী নামটা তো বলে যাও,
মানহা হেসে উত্তর দিলো (মাহিরা খান মানহা)
রবিন বলল মায়াবতীর নামটাও মায়াবতীর মত সুন্দর,
মানহা হেসে চলে গেল ঠিকি কিন্তু খেয়াল করলো না রাগে লাল হয়ে যাওয়া একজোড়া চোখ নিয়ে কেউ ওর দিকে তাকিয়ে আছে,
(চলবে)
(আমি নতুন লেখিকা সবাই আমাকে সাপোর্ট করবেন,
বি:দ্র:গল্পটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক কেউ বাস্তবতার সাথে মিলাতে আসবেন না)
রোমান্টিক +ছোটবেলার প্রেম কাহিনী