সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। গ্রামের শেষ প্রান্তে অবস্থিত পুরোনো জমিদার বাড়িটা আবার আলোচনায় এসেছে। কয়েকজন কিশোর হঠাৎ সাহস করে গিয়েছিল সেদিন রাতে—তারপর থেকেই রহস্যময় ঘটনাগুলো শুরু।
বাড়িটার নাম নন্দনভবন। বছর পঁচিশ আগেই জমিদার গোবিন্দনারায়ণ ও তাঁর পরিবার নৃশংসভাবে খুন হয়। কেউ জানে না কে করেছিল। কেউ জানতে চায়ও না। কারণ সেই রাতের পর থেকে বাড়িটার দোরগোড়া পেরোলেই নাকি গলা থেকে শব্দ বেরোয় না মানুষের।
গ্রামের মানুষ বলে, মাঝরাতে ওই বাড়ির জানালায় এখনো কেউ দাঁড়িয়ে থাকে। চোখ জ্বলজ্বল করে, গা ছমছমে করে দেয়।
রাত্রি দশটা বাজে। বৃষ্টির শব্দের মাঝে একটা মেয়ের কান্নার আওয়াজ ভেসে আসে। সৌম্য, একজন তরুণ সাংবাদিক, সত্যতা যাচাই করতে চলে আসে নন্দনভবনে। সবার মানা সত্ত্বেও।
দরজাটা অদ্ভুতভাবে খোলা ছিল।
ভিতরে ঢুকেই সে দেখতে পায়—দেয়ালে রক্তে লেখা,
"তুই ফিরে এসেছিস, সৌম্য?"
সৌম্য থমকে যায়। সে তো কখনও এখানে আসেনি। কাঁপতে কাঁপতে এগোয় সে। বাড়ির পুরোনো ঘড়িটা হঠাৎ বেজে ওঠে — রাত্রি ঠিক বারোটা।
তারপর হঠাৎ পেছন থেকে ঠান্ডা একটা নিঃশ্বাস লাগে গলায়।
একটা কণ্ঠস্বর ফিসফিসিয়ে বলে,
"তুই তো তখন বেঁচে গিয়েছিলি। এবার আমার সাথে যাবি।"
সৌম্যর চিৎকার যেন বাতাসও গিলে নেয়। কেউ কিছু শুনতে পায় না।
পরদিন সকালে গ্রামবাসী দেখতে পায় নন্দনভবনের দরজায় লাল অক্ষরে লেখা—
"আরও একজন যোগ দিল।"
শেষ? নাকি এই শুরু?