ছেলেটার নাম রুদ্র।শহর থেকে অনেক দূরের একটি সুন্দর গ্রামে তার জন্ম ছোট থেকে বড় হওয়া এই গ্রামেই।ছোট বেলা থেকেই মা বাবা ছাড়া বড় হয়েছে।কিন্তু ছেলেটা ছিল খুবই মেধাবী। যার জন্য সে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকে জিপিএ.৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।তার চান্স হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।ছেলেটা অনেক সহজ সরল ছিল শহরের মানুষের মতো এতো চালাক সে ছিলনা।তার পোষাক পড়ার পদ্ধতি ছিল পুরাই গ্রাম্য পদ্ধতিতে।তার কলেজে ইন করে আসার ব্যাপারটা সবাই মজা করে নিতো। রুদ্রকে সবাই মজার ছলে অনেক অপমান অপদস্থ করতো। ফলে সে মনে অনেক কষ্ট পেলেও মুখে কিছুই বলতো না।তার ক্লাসের একটি মেয়ে ছিল। নাম ইরা।একদিন রুদ্রকে সবাই মজার ছলে উত্তক্ত করছিল তখন ইরা সবার উপর চড়াও হয়ে রুদ্রকে নিয়ে আসে।রুদ্র অঝোরে কান্না করছিলো। ইরা রুদ্রকে শান্ত করে বলল এখন থেকে কেউ তোমাকে জ্বালাবে না।আমি তোমার সাথে আছি।রুদ্র বলল তুমি কি আমার বন্ধু হবে।আমার না কেউ বন্ধু হতে চায় না।ইরা একটু হেসে বলল আরে বোকা আমরা তো বন্ধুই।তারপর থেকে প্রতিদিন রুদ্র ইরার সাথে গল্প করতো,তার সব কথা বলতো।ইরাও রুদ্রের সব কথা মন দিয়ে শুনতো। তার ভালোই লাগতো। আস্তে আস্তে তাদের বন্ধুত্বটা অনেক গভীর হয়ে যায়।রুদ্র ইরার এসব যত্নের জন্য ইরার প্রেমে পড়ে যায়।কিন্তু ইরাকে বলার সাহস তার ছিলনা।কারণ ইরা অনেক রাগী। যদি সে রাগ করে চলে যায় তাহলে সব হারাবে।এভাবেই চলতে থাকে তাদের বন্ধুত্ব। হঠাৎ ইরা কলেজে আসা বন্ধ করে দেয়।রুদ্র অনেক খুজার পরও ইরার কোন খুজ পাচ্ছিলো না।সে প্রতিদিন কলেজে এসে ইরাকে খুজতো।কিন্তু পেতো না।হঠাৎ একদিন রুদ্র শুনতে পায় ইরা নাকি আত্নহত্যা করেছে।রুদ্রের মাথা পুরোই ঘুরে যায়।এতো ফুটফুটে একটা মেয়ে সে কেন আত্নহত্যা করবে।তখন ইরার বাবার কাছে যায়।ইরার বাবা একটি চিঠি রুদ্রের হাতে দিয়ে বলেন ইরা এটি তুমাকে দিতে বলেছে বাবা।রুদ্র চিঠিটা খুলে দেখলো ইরা লিখেছে প্রিয় রুদ্র। কলেজের প্রথম দিন যেদিন তুমার বোকা বোকা চলাফেরা দেখি সেদিনই আমি তোমার প্রেমে পড়ে যাই।যখন দেখি সবাই তুমাকে নিয়ে মজা নিচ্ছে আমি সহ্য না করতে পেরে তাদের সাথে ঝগড়া করি।তুমার একেকটি কথা আমি মন দিয়ে শুনতাম। কারন আমার শুনতেই ভালো লাগতো। সেদিন বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম তুমাকে চমকে দিয়ে আমার ভালবাসা প্রকাশ করবো বলে।কিন্তু রাস্তায় কিছু হায়নার চোখ পড়ে আমার উপর।আমি তাদের সাথে যুদ্ধে হেড়ে যাই।আমি আমার সতীত্ব রক্ষা করতে পারিনি।ওরা আমাকে ছিড়ে ছিড়ে শেষ করে দিয়েছে।আমি আগেই মনে মনে ঠিক করেছিলাম আমি আমার সতীত্ব রুদ্রের হাতে তুলে দিবো, তার সাথেই সংসার করবো। নাহলে আমি মরে যাবো।তুমার সাথে সংসার হয়তো আমার ভাগ্যে ছিলনা।তাই নিজেকে আর বাঁচিয়ে রাখতে পারলাম না।আজ খুব বলতে ইচ্ছা করছে খুব ভালবাসি প্রিয়।খুব ভালবাসি রুদ্র।