পাঠ - ১: অভিশপ্ত রাজ্য
অনেক বছর আগের কথা। হিমবাহে ঢাকা এক দূরবর্তী রাজ্য ছিল—নামের মতই রহস্যময়, তার নাম নিভৃমপুর। এই রাজ্য ছিল শান্তিপূর্ণ, গাছপালা, ফুল, পাখি, নদী আর সুখী মানুষে ভরা। কিন্তু একদিন হঠাৎ করেই সবকিছু বদলে গেল।
রাজ্যের রানীনন্দিনী ছিলেন একসময় অত্যন্ত বুদ্ধিমতী ও দয়ালু। রাজা হেমাংশ ও প্রজারা তাকে ভালোবাসতেন। কিন্তু এক রাতে, এক অচেনা গহনার পেছনে ছুটে গিয়ে তিনিঅন্ধকার জাদুয় জড়িয়ে পড়েন।
সেই গহনা ছিলরাক্ষসী রক্তমালা, যা একদা পাহাড়ের রাক্ষসের গলার মালা ছিল। রানী যখন সেটা পরেন, তখনই তার চোখ লাল হয়ে যায়, মুখ বদলে যায়, আর অন্তরে জন্ম নেয় ভয়ঙ্কর লালসা।
তিনি একে একে প্রাসাদের লোকদের অদৃশ্য করতে থাকেন। কেউ জানত না তারা কোথায় গেল! শুধু শুনা যেত রাতের আঁধারে কেউ কান্না করছে, আর দূর থেকে এক নারীকণ্ঠে হাসি...
রাজা হেমাংশ সব বুঝতে পেরে এক গোপন ঘরে লুকিয়ে আয়নার দরজা বানিয়ে ফেলেন। সেই দরজা দিয়ে তিনি তার ছেলে রাজপুত্র অভিজিতকে পাঠিয়ে দেন নিরাপদ এক জাদুর জগতে।
কিন্তু রাক্ষসী রানী টের পেয়ে যায়। তিনি রাজাকে পাথর বানিয়ে রাজ্য দখল করে ফেলেন। আর ঘোষণা দেন—
“এই রাজ্য এখন আমার! যে ফিরে আসবে, সে খাবে আমার ভয়ংকর ক্রোধ!”