Posts

গল্প

রাক্ষসীরানী

June 8, 2025

Fijon Qurayish

61
View

পাঠ - ২: অভিজিতের প্রত্যাবর্তন

পঁচিশ বছর কেটে গেছে। রাজপুত্র অভিজিত বড় হয়েছে জাদুর জগতে। তাকে বড় করেছেন এক ঋষি—তপোনাথ। তিনি সব জানতেন। এখন সময় হয়েছে রাজ্যে ফিরে যাওয়ার।

তপোনাথ বলেন,
— “তোমার মা এখন রাক্ষসী। কিন্তু মনে রেখো, তার হৃদয়ের কোনো এক কোণে আজও আছে পুরনো ভালোবাসা। সে পথেই তাকে জয় করতে হবে।”

অভিজিত ফিরে আসে নিভৃমপুরে। রাজ্য এখন রাক্ষসী রানীর অন্ধকার দুর্গে পরিণত হয়েছে। পথেঘাটে অন্ধকার, কেউ নেই, শুধু ছায়া ঘুরে বেড়ায়।

অভিজিতআয়নার তরবারি নিয়ে প্রাসাদের দিকে এগোয়। রানী তাকে দেখে অবাক হয়।

— “তুমি! তুমি তো মারা যাওয়ার কথা ছিল!”

— “মা, আমি এসেছি তোমাকে ফেরাতে, তোমাকে আবার ভালোবাসার রানী করতে।”

রাক্ষসী রানী ভয়ংকর রূপে হেসে উঠল,
— “ভালোবাসা? আমি এখন শক্তি আর রাজ্যের রানী!”

তখনই অভিজিত আয়নার তরবারি দিয়ে তার দিকে এগোয়, কিন্তু তাকে আঘাত করে না। বরং তার সামনে এক আয়না ধরে রাখে—যেখানে রানী তার আগের দয়ালু রূপ দেখে। চোখ থেকে ঝরে পড়ে অশ্রু।

— “এটা... আমি?” রানী কাঁপতে থাকে।

আস্তে আস্তে তার গলা থেকে রাক্ষসী রক্তমালা খুলে পড়ে যায়, আর সে ধীরে ধীরে তার আগের রূপ ফিরে পায়।

রাজ্য আবার আলোয় ভরে ওঠে। রাজা পাথর থেকে মুক্ত হয়, প্রজারা ফিরে আসে।

রাক্ষসী রানী নন্দিনী আবার হয়ে ওঠেন ভালোবাসার প্রতীক।

শিক্ষণীয় বার্তা:

"অন্ধকার যতই গভীর হোক, ভালোবাসা আর সাহস দিয়ে আলো ফেরানো যায়।"

Comments

    Please login to post comment. Login