Posts

গল্প

I Can

June 11, 2025

miskatkhan

Original Author MD Miskat Uddin

Translated by No

181
View

 ছোট্ট একটা গল্প বলি আপনাদের। নাম তার দুলাল ছোট্ট গ্রামে বাস করতো সেই, বাড়ীতে ছিলো তার মা বাবা আর একটা ছোট্ট বোন।বোন তার নাম ছিলো রুমা।বাবা ছিলো জুয়াড়ি,কি তাদের ধন সম্পত্তি ছিলো ১৮ বিঘা। বাবা তাকে একদিন একটা বড় স্কুলে ভর্তি করাই দিলো।সেই মনে মনে ভাবতে লাগলে আমি এতো বড় স্কুলে কি করবো আমি বলদ মার্কা একটা ছেলে।স্কুল শেষ করে বাড়িতে আসতে লাগলাম কিন্তু বাড়িতে আসার পথে একটা ছোট্ট একটা ব্রীজ ছিলে এক পাশের রাস্তা দিয়ে বাড়িতে যায়,আরেক পাশের রাস্তা দিয়ে অন্য দিকে যাই। আমি তো অভাক কোনটা দিয়ে যাবো বাড়িতে,,, কোনটা দিয়ে??? 

কি রকম দুলাল আমি আপনার একটু দেখুন।শেষমেষ একটা লোক এসে আমাকে বাড়িতে পৌঁছায় দিয়েছে। তার কিছু দিন স্কুলে গেলাম আসলাম কিছুই জানি না কিছুই বুঝি না। বাবলাম আমার ধারা মনে হয় লেখা পড়া হবে না। এই বলে চলে আসলাম স্কুল হতে। তার পর আর কি সব শেষ!

তার পর হতে আর স্কুল যায় না,, বাবা সাথে মাঠে কাজ করি প্রায় দুই মাস মাঠে কাজ করছি।তার পরে একদিন ভাবতে লাগলাম পুকুর পাড়ে আমার বন্ধু নোমান আর রহমান য়দি পারে আমি কেন পারি না! আফসোস আফসোস নিয়ে ঘরে এলাম, মা আমি আবার স্কুলে লেখা পড়া করবো। মা তো অনেক খুশি ঠিক আছে বাবা। 

কাল হতে আবার স্কুলে য়েতে শুরু করলাম আমি। খুব ভালো এবং খুব বড় হয়ে দেখাবো সবাই কে?  I Can!

তার পরে কিছু দিন পরে আমার পরিক্ষা হলে আমি তিন নাম্বার স্থান দখল করলাম স্কুলে। মা বাবা অনেক খুশি,মিষ্টি নিয়ে ক্লাস টির্চার কে দিয়ে আসতে বলছে আমি ও অনেক খুশি। সামনে অনেক কিছু করতে হবে আমার। তার পরে আমি খুব মনোযোগ দিয়ে লেখা পড়া করতে শুরু করলাম।সবাই আমাকে নিয়ে খুব প্রংশা করে, মা বাবা আত্মীয় স্বজনরা ও বাধ নাই। 

এই এই বলে স্কুল জীবন শেষ।

কলেজে ওঠলাম আমি মা গ্রামের বাহিরে যেতে দিবে না মনে হয় এই নিয়ে ভাবতে লাগলাম। ঠিক তখন একটা বাবা এসে বলে। 

বাবা দুলাল স্যার বলেছে তুকে শহরে কোনো বড় কলেজে ভর্তি করাই দিবার জন্য, তুই কি শহরে য়াবি দুলাল।

আমার চোখে কান্না বিরাজ আমি কিছু না বলে চলে এলাম বাবা বুজতে পারলো। কিছুদিন পর শহরে যাওয়ার পাল্লা, মা তো নাছোড় বান্দা কিছুতেই রাজি না। বাবা আমি রাজি করালাম যাওয়ার জন্য,,, শহরের বাসে উঠলাম শহর নাকি অনেক দূর অনেক পথ। শহরে আমার নাকি খালার বাসা আছে, বাস যেইখানে নামাই দিবে সেইখানে আমার খালুজান থাকবে বলে। বাসে একটা ভাইয়ের সাথে দেখা খুব ভালো একটা ছেলে সেই খুব ধার্মিক। আমার সম্পর্কে বিস্তারিত জানলো আমি তার সম্ভব জানলাম। সেই একটু গরীব কিন্তু দিল টা সরল। আসলেই গরীর মানুষকে আল্লাহ নিজের হাতে খুব যত্ন করিয়ে বানাইছে।বাস হতে নেমে খালু দেখি দাঁড়ায় আছে।খালু আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন। 

আলহামদুলিল্লাহ ভালো 

তুমি 

আলহামদুলিল্লাহ। 

তো আসতে কোনো সমস হয়নায় তে? 

না খালু!

আচ্ছা চলো বাসায় গিয়ে কথা হবে। 

বাসা দেখি অনেক বড় আমি তো অভাগ এতো বড় বাড়িতে মানুষ মাত্র তিন জন,, এখন না হয় চারজন হবে। খালু জান আমার জন্য রুম সহ ঠিক করে রেখেছেন অনেক আগে হতে।

তার পরে দেখি খালা আসলে আরে দুলাল কি কবর তুর। 

আমি আলহামদুলিল্লাহ আপনি।

আমাকে জঁড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো। অনেকে দিন পরে আমাকে দেখেছে কম পক্ষে না হলে  এক বছর হবে খালুজান একটু অসুস্থ ছিলো তাই দেশে গ্রামে য়াইনাই। 

দেখি ভিতর হতে ফারজানা আসলো, দুলাল আসসালামু আলাইকুম। 

কি কবর তুর। 

আমি তুর কি জ্ঞান নাই নাকি আমি তুর বড় না। তাহলে নাম ধরে কেউ ডাকে বল,,

আচ্ছা সরি। 

ফারজানা কে আমার চাইতে তিন বছরের ছোট্ট,কিন্তু খুব ফাজিল ময়ে সেই তার সাথে লাগতে কিন্তু ভুলে যাবেন না। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমি আমার রুমে ঘুমাতে যাবে ঠিক তখনই দেখি ফারজানা উপস্থিত। কিরে ঘুমাবি না, 

জ্বি বস ঘুমাবো। তুই যা 

না না চল বাহিরে য়াবে বিকালে ঘুমাস না,, কিন্তু,,! 

আমি বিকাল হওয়ার আগেই বাড়ি হতে বাহির হয়ে গেলাম, রাস্তাঘাট খুব বাঁজে চি চি চি,, ছেলে মেয়ে একজনের হাত একজনে ধরে হাঁটতে লাগলো, অরো অনেক কিছু,, আমি মাথা নতে করে চলে গেলাম অন্য জায়গাই একটা রং চা খাওয়ার জন্য। সেই খানে গিয়ে দেখি আরো অভাগ, পাশে একটা পার্ক আছে সেই খানে ছেলে মেয়ে বসে চুমু খাওয়া দৃশ্য। কি বাজে অবস্থা এই ঢাকা শহরে,,হাই অফসোস!! "

 দেখি ফারজানার কল আসলো মোবাইলে,, কল রিসিভ করলাম কই ভাইয়া তুই। 

আমি বললাম ওই বাসার পিছনে পা্র্কের সামনে তুই কই।

আমি তুর রুমে আমি আসতেছি। তুমি দাঁড়াও ওইখানে।

আমি কিরে সেই আমারে কি ভাইয়া বলবো না আমি শুনতে ভুল বুজলাম কে জানে???

Comments

    Please login to post comment. Login