শহরের পথে, সাহসের পথে
আরিফ ঠিক করল—সে শহরে যাবে। মায়ের কাছ থেকে দুটো রুটি আর এক গ্লাস পানি নিয়ে ভোরে বেরিয়ে পড়ল। তার হাতে শুধু পুরনো ব্যাগটা, আর মনের মধ্যে পাহাড়সম ইচ্ছাশক্তি।
গ্রাম থেকে শহর প্রায় ২০ কিলোমিটার। আরিফ হেঁটে হেঁটে চলতে লাগল। রোদের তাপে পা জ্বলে যাচ্ছিল, তৃষ্ণায় গলা শুকিয়ে আসছিল, কিন্তু থামল না। মাঝপথে এক ভ্যানচালক দেখে তার কাহিনি শুনে বিনা পয়সায় শহর পর্যন্ত পৌঁছে দিল।
শহরে পৌঁছে সে লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে খুঁজে বের করল ফর্ম বিতরণ কেন্দ্র। কিন্তু সেখানে পৌঁছে জানতে পারল—ফর্ম ফুরিয়ে গেছে!
আরিফ স্তব্ধ হয়ে গেল। চোখে পানি চলে এল। এ কি তবে শেষ? সে দাঁড়িয়ে থাকল চুপচাপ। এক ভদ্রলোক, যিনি কেন্দ্রের কর্মচারী ছিলেন, তার কান্না লক্ষ্য করলেন।
ভদ্রলোক জিজ্ঞাসা করলেন, “কেন কাঁদছো?”
আরিফ জানাল সব কিছু। শুনে তিনি চুপ করে রইলেন কিছুক্ষণ, তারপর ডেস্ক থেকে একটা শেষ রাখা ফর্ম বের করে বললেন, “এই নাও, এটা তোমার মতো কারো জন্যই রাখা ছিল।”
আরিফ বিশ্বাসই করতে পারছিল না! সে কৃতজ্ঞতায় কাঁদতে লাগল।
ফর্ম পূরণ করে সে কাঁপা হাতে জমা দিল।
সেদিন রাতে আরিফ এক পার্কে শুয়ে কাটাল। ভাত খায়নি, কিন্তু মনটা ছিল শান্ত। ধৈর্য ধরে সে অপেক্ষা করতে শুরু করল—ফলাফলের।
পর্ব-৩ ও ৪ এ বাকিটুক জানতে পারবেন