অপেক্ষার অন্ধকার, আশার আলো
দিন গড়ায়, সপ্তাহ কেটে যায়। আরিফ প্রতিদিন পোস্ট অফিসে যায়, চিঠি আসল কি না দেখতে। সবাই বলতো, “তোর চিঠি আর আসবে না।”
তবু সে থামত না। তার বিশ্বাস ছিল—ধৈর্যের ফল মিষ্টি হয়।
একদিন হঠাৎ পোস্টম্যান হাঁপাতে হাঁপাতে তার বাড়ির সামনে এসে দাঁড়াল।
"আরিফের নামে চিঠি আছে!"
চিঠির খাম কাঁপা হাতে খোলে আরিফ। সেখানে লেখা:
“আপনি আমাদের স্কলারশিপে নির্বাচিত হয়েছেন। ঢাকায় এসে ভর্তি হওয়ার জন্য যোগাযোগ করুন।”
চোখে পানি চলে এলো। সে মা-কে জড়িয়ে ধরল। তার ধৈর্য সত্যিই ফল দিয়েছে।
গ্রামের মানুষ এবার অবাক। যে ছেলেকে তারা নিয়ে হাসাহাসি করত, সে এখন বড় শহরের একজন শিক্ষার্থী হতে চলেছে।
আরিফ ঢাকায় রওনা দেয়। নতুন স্কুল, নতুন শহর—সবই অজানা। কিন্তু ভয় পায় না। কারণ, তার সঙ্গে আছে পুরনো বন্ধু—ধৈর্য।
শহরে পৌঁছে সে বোর্ডিং স্কুলে ভর্তি হয়। লেখাপড়া কঠিন ছিল, অন্যরা অনেক আধুনিক। তার ইংরেজি দুর্বল, পোশাক পুরনো। তবুও সে পিছিয়ে পড়ে না। সে প্রতিদিন একটু একটু করে শেখে।
সে রাতে ঘুমানোর আগে নিজের ডায়েরিতে লেখে—
“আজও ধৈর্য ধরলাম, কালও ধরব। একদিন আমিও জিতব।”