বৃদ্ধা হেসে বলল, “সে এখন আর মেয়ে নেই। সে এখন এই গ্রামের ছায়া।”
রাফি আর তানভীর দুজনেই কিছুক্ষণ চুপ করে রইল। চারদিকে হঠাৎ নেমে এলো এক ধরনের নিঃস্তব্ধতা—যেটা শহরে থাকলে কোনোদিন টের পাওয়া যেত না। বাতাস থেমে গেল যেন, গাছপালা নিঃশব্দ।
তানভীর ধীরে বলল, “এই ছায়া কি... এখনো আছে?”
বৃদ্ধা মৃদু কণ্ঠে বললেন, “তোমরা যেদিন কুয়ার ধারে গেলে, সেদিন থেকে সে জেগে উঠেছে। ও ঘুমিয়ে ছিল বহু বছর, কিন্তু তোমাদের মধ্যে কিছু একটা তাকে ডেকে তুলেছে। ওর একটাই শর্ত—যারা তার গল্প জানবে, তাদের সে ছাড়বে না যতক্ষণ না তার ন্যায়বিচার হয়।”
রাফি জিজ্ঞেস করল, “কী হয়েছে তার সাথে?”
বৃদ্ধার চোখে পানি এসে গেল। “সে ছিল আমার নাতনি—নুরজাহান। সেই মেয়েটিই... যাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কুয়ায় ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তখন কেউ কিছু বলেনি। এমনকি আমি—আমি নিজেও না।”