ধৈর্যের দীপ্তি—সফলের শেষ অধ্যায়
সময় কেটে যায়। তিন বছর পর...
আরিফ এখন ক্লাস নাইনে। সেরা ছাত্রদের একজন। স্কুলের সবাই তাকে চেনে তার পরিশ্রম আর নম্রতার জন্য।
একদিন স্কুলে একটি বড় প্রতিযোগিতার ঘোষণা এলো—“জাতীয় বিজ্ঞান মেলা”। পুরস্কার: বিদেশে গিয়ে পড়াশোনার সুযোগ।
সবাই আবেদন করল, আরিফও করল।
সে তার প্রকল্প তৈরি করল—“কম খরচে গ্রামের জন্য পানিশুদ্ধিকরণ ব্যবস্থা”। কারণ সে জানে গ্রামের কষ্ট।
সেই দিন এল—বিজ্ঞান মেলার। বিচারকেরা তার কাজ দেখে মুগ্ধ। তারা জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কোথা থেকে এমন ভাবনা পেলে?”
আরিফ বলল, “আমার গ্রাম থেকেই, যেখানে কষ্ট আমার শিক্ষক ছিল।”
ফলাফল ঘোষণার সময়... নাম ঘোষণা হলো—
“প্রথম স্থান অর্জন করেছে—আরিফ হোসেন, বাঘমারা গ্রামের ছাত্র!”
পুরো হল হাততালিতে গর্জে উঠল।
সে মঞ্চে উঠে শুধু বলল, “ধৈর্যই আমার শক্তি, আর মা আমার সাহস।”
গল্পের শেষ বার্তা:
ধৈর্য হারিও না। যতই কষ্ট আসুক, কেউ যদি মন থেকে চায় এবং ধৈর্য ধরে চেষ্টা করে, সাফল্য তার হবেই। সময় লাগে, কষ্ট লাগে, কিন্তু শেষে আলোই আসে।