অভিসম্পাত
দুপুরের রোদমাখা শীত-গলায় বেসুরো গীত। হাতি দেখে নেমে দাঁড়িয়ে গেলাম। রিকশায় তোমায় দেখে- পা এগিয়ে উঠে; পাশাপাশি বসে আছি, শরমের গরমে ঘেমে যাচ্ছি। ঘর্মাক্ত সর্বনাশা স্রোতে পতিত কান্নার আওয়াজ পাচ্ছি।
স্বরূপে ফিরেছি। রিকশা থেকে নেমে পেছন পেছন হাঁটছি। হাঁটছি তো হাঁটছি। প্রণতী জানিয়ে সময়ের হেরফের করে ভেড়া শাবকের ন্যায় কাঁদছি। হাঁটছি, কাঁদছি। সেই হাঁটা এবঙ কাঁদা কখন যে অনন্ত কালের অভিসম্পাতে ঢুকে গেছে কসম খোদার টেরই পাইনি।
অ্যাবসার্ড
মুখোশপরা জগতে মুখোশহীন, মুখোশের আশ্রয়ে এবঙ প্রশ্রয়ে ভুলেও যাইনি। তবুও মুখোশপরা জগতে মুখোশধারী আমি! তথাপি 'মুখোশপরা পাঠশালা'য় নিয়মিত যাই, নিই তালিম।
কথাগুচ্ছে ক্লান্তি বাড়ে, চুপ থেকে নিশ্চুপ হয়ে যাই; নিন্দা মেখে ঘুমাই। তাতে ইহলোকের শাঁসালো শ্বাসে কেয়ামত অ্যাবসার্ড হয়ে যায়।