ভাগ্যাকাশের ধ্রুবতারা
পর্বঃ৩
কলমে ঃJahan(জাহান)
হাসপাতালের করিডোর
ঐশানির মা: (কান্নাজড়িত কণ্ঠে) ঐশানি... আমার মেয়ে... কী হলো তোর?
আসিফ: আন্টি, প্লিজ শান্ত হন। ঐশানি এখন কেবিনে আছে, ডাক্তার বলেছে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ঐশানির বাবা: ডাক্তার, আমরা কি ওকে একবার দেখতে পারি?
চিকিৎসক: হ্যাঁ, আপনি যেতে পারেন। তবে দয়া করে বেশি কিছু বলবেন না। উনি এখনও অচেতন।
কেবিনে------
(ঐশানির নিথর দেহ বিছানায়, গায়ে স্যালাইন ঝুলছে। মা-বাবা দরজায় দাঁড়িয়ে নিঃশব্দে তাকিয়ে আছেন।)
ঐশানির মা: (হাত চেপে ধরে) আমি আর ওর বাবা তখন অফিসে ছিলাম... হঠাৎ তুমি ফোন করলে... তাড়াহুড়া করে চলে এলাম।
ঐশানির বাবা: এমন কী ঘটলো যে আমার মেয়ের এই অবস্থা!
(চোখের কোণে জল লুকিয়ে রেখে মেয়েকে ছুঁয়ে দেন তিনি। ঐশানি জ্ঞানহীন, নিঃশব্দ।)
এক দিন পর, হাসপাতালের করিডোর------
আসিফ: ডাক্তার, ওর জ্ঞান ফিরেছে?
ডাক্তার: হ্যাঁ, তবে মানসিকভাবে বেশ দুর্বল। আমরা এখনো পর্যবেক্ষণে রেখেছি।
(ইকতিদার এসে ডাক্তারকে ডাকে।)
ইকতিদার: ডাক্তার, আপনার সাথে কিছু কথা বলতে চাচ্ছিলাম।
ডাক্তার: বলুন স্যার।
ইকতিদার: ঐশানি এখন কেমন? আর কদিন লাগবে?
ডাক্তার: আরও ৩-৪ দিন রাখাই ভালো। ওর পরিবার থাকুক পাশে।
ইকতিদার: ঠিক আছে। আমি কিছুক্ষণের জন্য অফিসে যাচ্ছি, দরকার হলে জানাবেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ফোনকল----
হাসপাতাল স্টাফ: স্যার, মিস ঐশানি ও তার পরিবার বাড়ি যেতে চাইছেন।
ইকতিদার: কেন?
স্টাফ: স্যার, সেটা আমাদের জানা নেই।
ইকতিদার: Okay. I will call you later.
(ইকতিদার আসিফকে ডেকে কেবিনে নেয়)
ইকতিদার: আসিফ, আপনি কিছু জানেন? ওরা হঠাৎ চলে যেতে চাচ্ছে কেন?
আসিফ: স্যার, ঐশানি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। ওর পরিবার বলেছে ওকে আর এখানে রাখতে চায় না।
ইকতিদার: হুহ... নাটক শুরু হলো। ওরা মনে করে আমি দায়ী!
কিছুক্ষণ চুপচাপ থাকে,একটু পরে মোবাইল বের করে।
হাসপাতালে ফোন করে বলে তাদেরকে যেন ছাড়পত্র দিয়ে দেয়।
আর আসিফকে বলে,
ঐশানির অ্যাকাউন্টে দশ হাজার টাকা পাঠিয়ে দাও। যেন পরে আর ঝামেলা না করে।
আসিফ: ঠিক আছে স্যার।
গল্পটি সম্পর্কে মতামত জানাতে কমেন্ট করবেন।।
আপনাদের গল্পটি পছন্দ হলে গল্প লিখতে ভালো লাগবে কাজেই কমেন্ট করবেন।পরবর্তী পর্বগুলো পেতে পেইজটি লাইক ও ফলো করে পাশে থাকবেন।
#ভাগ্যাকাশের ধ্রুবতারা
# Jahan(জাহান)
#everyone
# followers