"ভাগ্যাকাশের ধ্রুবতারা – পর্ব ০৪"
কলমে: Jahan (জাহান)
ফিরে দেখাঃ ঐশানির অফিসে প্রথম দিন।
(একটি কোম্পানির রিয়েল এস্টেট ডিপার্টমেন্ট, সকাল ১০ টা।)
[ইকতিদার ইনতিসার চৌধুরি, ডিরেক্টর চেয়ারে বসে ফাইল দেখছেন। কড়া ব্যক্তিত্ব, মুখে গাম্ভীর্য। দরজায় টোকা পড়ে।]
পি.এ---
স্যার, নতুন জয়েন করা এমপ্লয়িদের আজ অফিসে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে। ঐশানী ইনতিজার নামের মেয়েটিও আজকে জয়েন করেছে।
ইকতিদার (চোখ না তুলে):
উহুম। বলে দাও, সময়মতো হাজির না হলে চাকরি থাকবে না। আর অফিসের নিয়ম একবছরের আগে কেউ ছাড়তে পারবে না—তা যেন পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়।
[ঐশানী ভিতরে আসে। মাঝারি উচ্চতা, চুল বাধা,মাথায় ওড়না দেওয়া, চোখে স্বপ্ন ও সংশয়ের ছায়া। নিজের সেরা চেষ্টাটুকু দিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করে নিয়েছে।]
ঐশানী (সাহস করে):
গুড মর্নিং, স্যার। আমি ঐশানী ইনতিজার। আজ থেকে জয়েন করছি।
ইকতিদার (ঠান্ডা কণ্ঠে):
হু, অফিসে সময়মতো আসা বাধ্যতামূলক। চুক্তি এক বছর—চাকরি ছাড়তে পারবে না, কোম্পানি চাইলে বাদ দিতে পারবে। কাজের মান ভালো হলে স্থায়ী করব।
ঐশানী (হালকা কাঁপা কণ্ঠে):
জ্বি স্যার, আমি নিয়মগুলো জানি। আমার তরফ থেকে কোনো সমস্যা হবে না।
ইকতিদার (একটু তাকিয়ে):
আশা করি না। এবার তোমার ওয়ার্ক স্টেশন চেক করো। আসিফ আহমেদ আপনাকে গাইড করবেন।
[ঐশানী চলে যায়। ক্যামেরা ফলো করে তার মনের ভেতরের দৃশ্য—সে ভাবে:]
ঐশানী (মন থেকে):
এতো গম্ভীর মানুষ! যেন রোবট! লোকটি এমন কেন!!
[অন্যদিকে ইকতিদার ফাইল দেখে বিড়বিড় করেন:]
ইকতিদার:
এমনিতেই আমি এই - সেই ঝামেলায় তারপর নতুন কর্মীগুলো কী করবে কে জানে!!
---
পরিচিতি দৃশ্য :
[ইকতিদারের পরিবার]
ইকতিদার ইনতিসার চৌধুরি—বিলিয়ন ডলারের অধিকারী। বিদেশ থেকে EEE তে পড়াশোনা করে দেশে ফিরে বাবার অব্যবস্থাপনায় থাকা ব্যবসাগুলোকে নিজ হাতে গুছিয়ে আজ নিজেই বিশাল ব্যবসায়ী।
তার বাবা ইশরাক এলাহী চৌধুরি, একজন সম্মানিত ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী এবং চাচা ইহতশাম ইনাম চৌধুরিও সফল উদ্যোক্তা।
দুই ফুফু—কনকচাঁপা ও দোলনচাঁপা—সামাজিক অঙ্গনে সুপরিচিত নাম।
ইকতিদারের মা হলেন ফায়জা রওনাক চৌধুরি মূলত ঘর কন্যা নিয়ে ব্যস্ত তবে মি. চৌধুরীর একান্ত আস্হাবাজন ও সহোযোগী, প্রিয়তমা স্ত্রী। ইকতিদারের বোন ফারহিন মুহসিনাত চৌধুরি বিবাহিত, একটি ২ বছরের বাচ্চা আছে।
[ঐশানীর পরিবার]
ঐশানী—এক মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। বাবা উহাইব সালাম ও মা উজালা বিনতে ফারুক, দুজনেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
ভাই ঐশিক কলেজে পড়ে। ঐশানী সদ্য রসায়নে স্নাতক শেষ করেছে, চাকরি পেয়েই পরিবারে নতুন আশার আলো।
---
[ অফিস ক্যানটিনে]
সহকর্মী:
ঐশানী, শুনেছি তুমি নতুন জয়েন করেছো? সাবধানে থেকো কিন্তু!
ঐশানী (হেসে):
জানি। বস একটু কঠোর, তবে অন্যরকমও মনে হয়... হয়তো সময়ই সব বলবে।
---
(To be continued…)
#ভাগ্যাকাশের_ধ্রুবতারা
#Jahan
কমেন্টে জানাও কেমন লাগছে। লাইক ও ফলো করলে পরবর্তী পর্ব মিস হবে না।
গল্পটি সম্পর্কে মতামত জানাতে কমেন্ট করবেন।।
আপনাদের গল্পটি পছন্দ হলে গল্প লিখতে ভালো লাগবে কাজেই কমেন্ট করবেন।পরবর্তী পর্বগুলো পেতে পেইজটি লাইক ও ফলো করে পাশে থাকবেন।
#ভাগ্যাকাশের ধ্রুবতারা
# Jahan(জাহান)
#everyone
# followers
Follow(your page) # Jahan :https://www.facebook.com/share/r/1CNmivZsUv/
Follow:(Group) https://www.facebook.com/groups/1471390080327280/permalink/1495220424610912/