ক্ষুদ্র জীবনে নির্ধারিত সময়ের ভেতরে ২০টি বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। এই সময়ে কখনো ব্যর্থতায় পরাস্ত হয়েছি, কখনোবা সাফল্যের দেখা পেয়েছি। বয়স বাড়ছে মানেই জীবনের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হচ্ছে। মৃত্যুর পথের দিকে প্রতিনিয়ত অগ্রসর হচ্ছি, আর সেইসঙ্গে বাড়ছে দায়িত্ববোধ।
পরিবারকে একটি সুন্দর জীবন উপহার দেওয়ার তাগিদে বাবার বয়স কেটে যাচ্ছে দূর প্রবাসে—অসুস্থ শরীর নিয়েও নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি। প্রতিনিয়ত পরিবারের কল্যাণে বাবার এই আত্মত্যাগ নিঃসন্দেহে অমূল্য।
আজও বাবার জন্য তেমন কিছু করতে পারিনি। এখন আর নিজেকে নিয়ে বড় কোনো স্বপ্ন দেখি না—স্বপ্ন কেবল পরিবারকে ঘিরে। কিভাবে মা-বাবা ও ভাইদের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করা যায়, সেই চেষ্টাতেই নিজেকে নিবেদিত করছি।
চেষ্টা করছি, আর আমার প্রভু তো সর্বশ্রেষ্ঠ পরিকল্পনাকারী। জীবনে যতটুকুই অর্জন হোক না কেন, যদি সেই অর্জনের মাধ্যমে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারি—তবেই নিজেকে সফল মনে করবো।
আমি এমন সাফল্য চাই না, যা আমাকে আমার প্রিয় পরিবার থেকে দূরে সরিয়ে দেবে।
বড়দের স্নেহের হয়ে থাকতে চাই, প্রার্থনায় রাখবেন। সকল শ্রদ্ধাভাজন ও স্নেহের ছোট ভাই এবং ভাই বন্ধু সকলকে অন্তরের অন্থস্থল থেকে ভালোবাসা এবং আন্তরিক ধন্যবাদ।