মেয়েটিকে চিনি
আঁধারে আঁধার জোনাক পোকা
পাগলা হাওয়ার ঢেউ
দেখা যায় কয়েকটি তাঁরা
আকাশ প্রিয়ার বুকে — হাতে লয়ে হাত
আকাঙ্ক্ষার রাত একটু পরে দিন
আদুরে মুখ জলে — এই পৃথিবীর 'পরে।
ভোরের পাখি সাদাকালো মেঘ টিপটিপ বৃষ্টি
নিরলস ডেকে ডেকে স্বপ্নের ঘুম ভেঙে
একা একা শুয়ে আবগাহনের শব্দ শুনে
হেঁটে যায় অন্ধকার নীরব আলোর কাছে
মেয়েটিকেও চিনি — মুখোমুখি বসে
শান্ত স্বভাব দেখে।
কে সে?
উদ্যম ঘূর্ণি চপলা ঝর্ণা চঞ্চল চড়ুই এমনই ভাবনা
এত ছোট পাখি বারে বারে ডাকি
হৃদয়ে হৃদয় মাটি অবুঝ ভালবাসি
চুপিচুপি শুয়ে বিছানার পাশে
আমার হৃদয় শূন্য ছিল থেমে
ঘুমন্ত ঘুম তাহার চোখে মুখে
কোন এক বিস্ময় জেগে ওঠে।
চোখে যার জীবন দিয়াছে দেখা
আকাশের মতোন আলোকবর্ষ একা
নক্ষত্র পুড়ে পুড়ে রক্তের আবেগে
শেষ হয়েছে সবে — অবিরাম বৃষ্টি দেখে
মনের মানুষ প্রেম রয়েছে চোখে।
উত্তরের বাতাস হিম শরীর থেমে
হৃদয় গলিয়াছে এক মুহূর্তই তাকে
সবকিছু থেমে সবকিছু ভুলে —
প্রেমের মতো মন
কোথায় গিয়েছে কোথায় মরেছে
কেউ না জানে কবে ; তব আজ
হয়েও হলো না পরিচয় — যা হবার নয়।
মেয়েটিকে চিনি
হৃদয়ের ক্যানভাস অসমাপ্ত ছবি
লাল লাল গোলাপ রক্তিম পায়ে
খয়েরী শাড়ি শরীর থেকে জ্বলে
অবিকল স্বপ্ন — সেই চোখ সেই মুখ
সেই হাসির গান হৃদয়ে যা
স্মৃতি হয়ে ভাসে ধ্বংস করে থামে।
এই সব ভেবে নির্জন রাতে
ঘুমের ভেতর সিন্ধু জমা চোখ
বুজে যেতে হয় ডুবে যেতে হয়
ঘুমের দেশে সুস্থ স্বপ্নের কাছে।
মেয়টিকে চিনি — ব্যাথার ব্যাথা সয়ে
শান্তির মতো শেষে
জীবনের পিছে ছুঁটে ছুঁটে
উপায়হীন নিঃসঙ্গ মানুষ
মেঘের দিকে দিকে থেমে
অশ্রু মুছে ঢেলে
নিস্তব্ধ হয়ে গেছে শান্ত জীবন যাদের।
#রকিমেরাজ