Posts

উপন্যাস

ঐশ্বর্য

June 17, 2025

Md Kawsar

Original Author নূর -এ- কাউছার

Translated by পর্ব - ১৬

110
View

ঐশ্বর্য 
পর্ব - ১৬
.
নূর -এ- কাউছার
.
শান্তি দরজা খুলে আকাশ ও তার বাবা মা কে সালাম জানায়। আকাশ শান্তির পা ছুয়ে সালাম করে শান্তি অবাক হয় আর আকাশ কে ও তার পরিবারকে ভেতরে আসতে বলে। রুবেয়া ঘরে ঢুকে ঐশ্বর্য কে বলতে লাগলো, ঐশ্বর্য আকাশ ভাই আইছে সাথে হের বাপ মা ভাইও আইছে ঐশ্বর্য চমকে উঠে আর বলে, কি বলিস উনি আসবে জানতাম কিন্তু এতো তারা তারি জানতাম না। রুবেয়া বলল, মনে আবার লাড্ডু ফুটছে তাই না! ঐশ্বর্য বলল ধেত তেমন কিছুই না তুই দেখ কি হয় ওখানে। আকাশ শান্তিকে তার বাবা মায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। শান্তি বলল, এস.পি আকাশ আপনি আপনার পরিবার নিয়ে আমাদের বাড়িতে আসবেন জানিয়ে আসতেন আমরা কিছু প্রস্তুতি নিতাম। তার পর সাবিনা বলল না না আমরা আসলে আপনার বাড়িতে একটা প্রস্তাব নিয়ে এসেছি তাই ভাবলাম না জানিয়েই যাই। শান্তি এবার কিছুটা আন্দাজ করতে পারলো তবুও জিজ্ঞেস করলো কি প্রস্তাব? সাবিনা বলল দেখেন আমার ছেলে ছোটো থেকেই পরা লেখায় অনেক মনোযোগী আজ চাইলে এই পুলিশের চাকরি ছাড়াও আরো অনেক বড় কোনো চাকরি করতে পারতো। ওর ভাই বাংলাদেশের নাম করা হৃদরোগের ডাক্তার। ওর বাবা ঢাকার উচ্চমাত্রার ব্যারিস্টার দের মধ্যে একজন সায়সম্পত্তির কোনো কমতি নেই তবুও তার ছোটো বেলার ইচ্ছে পুলিশ হবে আমরা বাধা দিইনি আমাদের কাছে আমাদের ছেলের ইচ্ছেটাই সব। আমার ছেলে আজ এতো বছর পর মুখ ফুটে আমাদের কাছে কিছু চেয়েছে এখন বাবা মা হিসেবে তা পুরন করা আমাদের কর্তব্য। আপনাদের মেয়ের কথা কাল রাত থেকে শুনতে শুনতে আমার কান ঝাযরা হয়ে গেছে এখন তো আমারও তাকে দেখার খুব ইচ্ছে হচ্ছে। আপনার মেয়ে কে আমার ছেলের পছন্দ হয়েছে আমরা আপনার কাছে আপনার মেয়ে আর আমাদের ছেলের বিয়ের প্রস্তাব রাখছি বাকিটা আপনার হাতে। আকাশ চোখ বন্ধ করে আল্লাহর নাম জোপছে না জানি কি উত্তর আসে রুবেয়া দরজার আরাল থেকে শান্তির উত্তর শুনার জন্য দারিয়ে আছে। এদিকে রহিমেরও একি অবস্থা সকলের চোখ শান্তির দিকে। ঐশ্বর্য রুবেয়া কে বলে আমি নিশ্চিত আম্মা মানা করে দিবে। রহিম রুবেয়া, আকাশের মনেও একি আশংকা। শান্তি একটি কথা বলে সকলের ধারনা পাল্টে দিলো বলল আমি রাজি। চার জনি আসমান থেকে পরলো ঐশ্বর্য একদম অবাক হয়ে গেলো। রুবেয়ার মাথায় সাথে সাথে কিছু কাজ করে সে খুব দ্রুত দরজা লাগিয়ে ঐশ্বর্য কে ঊর্মির দেওয়া আরেকটা শারি তারা তারি বের করতে বলল। ঐশ্বর্য জিজ্ঞেস করলো কেনো? রুবেয়া বলল বাইর কর এহনি তো তোরে বাইরে ডাকবো। ঐশ্বর্য বলল না আমি এভাবেই যাবো এখন শারি পরলে আম্মা বকা দিবে। রুবেয়া বলল ঠিক আছে তরে খালাই কইবো শারি পরতে তুই দেখ। এদিকে আকাশ হাপ ছেরে বাচলো রহিম হা করে তাকিয়ে আছে শান্তির উত্তর শুনে। সাবিনা বলল ব্যস তাহলে তো হলোই মিষ্টি গুলো বের কর উনাকে খাইয়ে দেও। বিকাশ মিষ্টি বের করে দিলো, শান্তি বলল কিন্তু এখানে শুধু আমার মতামত দিয়ে কিছুই হবে না ওর বাবারও একটা মতামত আছে। আকাশ বলে আমি জিপ নিয়ে আসতে বলে দিয়েছি কনস্টেবল কে শুধু একটু কষ্ট করে আপনার স্টেশনে এসে আপনার স্বামীর সাথে টেলিফোনে কথা বলে নিবেন। উনার টেলিফোনের নাম্বার আমার জানা আছে সমস্যা নেই। সবাই আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে আকাশ থতমত খেয়ে গেলো আর আটকে আটকে বলল আরে আমি আগে থেকেই জানতাম উনি উনার স্বমিকে ছাড়া উনি সিদ্ধান্ত একাই নিবেন না আর উনার স্বামী তো শহরে গেছে তাই জিপ নিয়ে আসতে বলেছি । শান্তি হেসে দেয় আর বলে সমস্যা নেই আমি যাবো। সাবিনা বলল আপনি রাজি মানেই আপনার স্বামী রাজি তবুহও আপনি আপনার স্বামীর সাথে কথা বলে নিন, কিন্তু আমারা মেয়েকে একবার দেখতে চাই। শান্তি বলল হে অবশ্যই আপনারা বসেন আমি মেয়েকে আসতে বলে আসি। শান্তি ঘরে এসে ঐশ্বর্য কে বলল ঐশী উঠোনে আই। রুবেয়া বলে উঠলো খালা শারিডা পরতে কউ, শান্তি বলল শারিটা পড়ে নে। ঐশ্বর্য আরো অবাক হলো আজ সে তার মাকে চিনতে পারছে না, সে শারিটা পরে নিলো রুবেয়া তাকে সাহায্য করলো। হলুদ রঙের পাতলা কাপরের শারিটা সাথে কপালে একটা ছোট্ট লাল টিপ হাতে তার বুবুর দেওয়া চুরি আর পায়ে তার মায়ের পায়েল গুলো পরে নিলো। চুল গুলো খোপা করে নিলো মাথায় ঘুমটা দিয়ে রুবেয়া আর ঐশ্বর্য ঘর থেকে বের হয়ে উঠনে আসে। সবাই ঐশ্বর্যকে দেখে থ খেয়ে যায় আকাশের প্রায় হুস যায় যায় অবস্থা বিকাশ আর রাইহান দেখেই ধির কন্ঠে এক সাথে বলে উঠলো মাশাল্লাহ। রাইহান পাঞ্জাবীর পকেটে হাত দিয়ে কিছু টাকা বের করে ঐশ্বর্যকে সাধে ঐশ্বর্য তো শরমেই গাল নাক লাল করে মাথা নিচু করে বসে আছে টাকাটা রুবেয়া হাতে নিয়ে নেয়। সাবিনা বলল বাহ আমার ছেলের পছন্দ আছে এত দূর এসে এই মেয়ে কে দেখে মনে হচ্ছে কষ্ট সার্থক হলো। এ দিকে জিপ চলে আসে শান্তি সাবিনা আর বিকাশ স্টেশনে চলে যায় রবির সাথে কথা বলতে। শান্তি এভাবে যেতে চাইল না কিন্তু রহিম আর রুবেয়ার ভরসায় ঐশ্বর্যকে রেখে যায়। ঐশ্বর্য আর আকাশ আলাদাভাবে কিছুক্ষণ কথা বলতে চেয়েছিল শান্তি অনুমতি দেয় তাই তারা বাড়ির পেছনের বারান্দায় চলে আসে। সূর্য মাঠার উপরে দুজনের মধ্যেই নিরবতা আকাশ নিরবতা ভেত করে জিজ্ঞেস করলো আপনি কি এই সম্পর্কে রাজি। ঐশ্বর্য বলল আম্মা যা বলবে তাই, আকাশ বলল আপনার আম্মা রাজি না হলে আমার কি হতো! ঐশ্বর্য জিজ্ঞেস করলো কি হতো? আকাশ বলল হয়তো একেবারেই হারিয়ে জেতাম। আকাশ আবার জিজ্ঞেস করলো আপনার মতামত টা দয়া করে বলেন আমার জন্য এটা সব থেকে জরুরি আপনি মানা করে দিলে এখানেই সব থামিয়ে দিবো। ঐশ্বর্য প্রত্যেক বারের মতো একি উত্তর দিলো আম্মা যা বলবে তাই হবে এর বাইরে কোনো উত্তর আমার কাছে নেই। আকাশ বলল, তবে তাই হোক আপনার মাকে মানিয়ে আপনাকে নিয়ে যাবো। এই প্রথম কিছু হারিয়ে ফেলার যন্ত্রণা অনুভব হচ্ছে যা বিশোধর সাপের বিশের মতো হ্রাস করছে আমায়। ঐশ্বর্য ঘুরে চলে আসতে থাকে তখনি আবার দারিয়ে পরে আর বলে, শুনেন আল্লাহর দেওয়া  তকদীরে বিশ্বাস রাখেন, এমনো হতে পারে আপনার ঘরে আমার রিজিক লিখা নেই আর আমার থেকে ভালো কিছু আপনার তকদিরে লিখা আছে। বলেই ঐশ্বর্য দ্রুত পায়ে চলে যায় ঘরে। আকাশ মনে মনে বলতে থাকে ভালো কিছু লিখে থাকলে কপালে আপনিই লিখা আছেন। এদিকে তারা টেলিফোনে কথা বলে নিলো রবি বলে দেয় তুমি যা ভালো মনে কর কিন্তু মেয়েটাকে এত তারা তারি.. এতটুকু বলতেই শান্তি বলল আপনি তো আমার মনের পরিস্থিতি বুঝতেই পারছেন এদিকে কিছুই ঠিক নেয় আর তাছাড়া আকাশ ছেলেটা কেমন আপনি দেখেই গিয়েছেন। রবি বলল আমি তো বলালমি তুমি যা ভালো মনে করো আমি কিছু দিনের মধ্যে সব কাজ গুছিয়ে দিয়ে আসছি। শান্তি একটা হাসি দিয়ে বলে আচ্ছা আমি তাহলে উনাদের সাথে কথাবার্তা শেষ করে নেয়। পুলিশ স্টেশনে সবাই অবাক সবার মুখে একটা বকা হাসি সবাই ভাবছে এই প্রথম কেউ স্টেশনে এসে বিয়র সম্মন্ধের কথা ঠিক করছে। সাবিনা সকলকে বলে বিবৃত হওয়ার কিছুই নেই আপনাদের স্যার এর বিয়ে ঠিক হইয়ে গেছে মিষ্টি সবাই রাতে খাবেন। তার পর আবার তারা গাড়ি নিয়ে রহমান বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। শান্তি বলল তাহলে সব ঠিক ঠাক হয়ে গেলে একটা দিন তারিখ দেখে বিয়ের কাজটা সেরে ফেলতে হবে। সাবিনা বলল আর কি ঠিক হওয়ার আছে আপনারা তো রাজিই। শান্তি একটা নিশ্বাস ছেরে বলল আমার মেয়ের ইচ্ছেটা সব থেকে বড়। সাবিনা হেসে দিয়ে বলে তাতো আছেই। ঐশ্বর্য আর রুবেয়া ঘরে বসে আলাপ আলোচনা করছে রুবেয়া একটু পর পর ঐশ্বর্যর সাথে খুনশুটি করছে ঐশ্বর্যর এখন কোনো প্রতিক্রিয়া নেই সে গভীর ভাবনায় ডুবে আছে। রুবেয়া জিজ্ঞেস করলো কি ভাবছিস! ঐশ্বর্য বলল আচ্ছা উনি তোর দেখা মতে কেমন লোক? রুবেয়া বলল আকাশ ভাই অনেক ভালো মানুষ দেখতেও সিনেমার নায়কের মতো লাগে। ঐশ্বর্য বলল আম্মা এত সহজে রাজি কি করে হলো আমি এটাই বুঝতে পারছি না। রুবেয়া বলল খালা কুনু দিন কুনু ভুল সিদ্ধান্ত নিছে না। আর তরে লইয়া তো জীবনেও ভুল সিদ্ধান্ত নিতো না। ঐশ্বর্য বলল তবুও আম্মা তো ভালো করে খোঁজ খবরও নিলো না এত তারা তারি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলো! আম্মা পরিবর্তন হয়ে গেছে। রুবেয়া বলল ধেত কি যে আযে বাজে কথা কইতাছস। এরি মধ্যে শান্তি আর সাবিনারা বাড়িতে চলে আসে, আকাশ আর তার বাবা খুব আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞেস করলো কি বললেন আপনার স্বামি। সাবিনা বলল মিষ্টি নিয়ে আসতাছে। আকাশ খুশিতে পাগল প্রায় তার পর শান্তি বলল সবাই তো ঠিক ঠাক তাহলে দেনা পাওনার কথাটা শেষ করে ফেলি! আমাদের অবশ্য দেওয়া নিয়ে কোনো সমস্যা নেই দিতে পারবো কিন্তু কিছু নিবো না। সাবিনা বলল আমাদেরও কিছুই নেওয়ার নেই যেটা দিচ্ছেন সেটাই তো আসমানের চাঁদ। এদিকে ঐশ্বর্যর তবুও মনে হচ্ছে ওর মা একটু বেশি জলদি করে ফেলছে নাতো? তার পর ঐশ্বর্য খেয়াল করলো সাবিনার সাথে কিছু একটা কথা বলে তার মা এই দিকেই আসছে। ঐশ্বর্য কিছু বুঝার আগেই শান্তি ঘরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেয় আর ঐশ্বর্য কে জিজ্ঞেস করে শোন ঐশ্বর্য আমি জানি তুই আমার সামনে অনেক কথাই বলতে ভয় পাস। কিন্তু আজ আমি তোকে ভরসা দিয়ে বলছি তুই যা উত্তর দিবি তাই হবে তোর কি আকাশ কে পছন্দ হয়েছে বিয়েটা করবি? ঐশ্বর্য চুপ করে রইলো শান্তি আরো একবার একি কথা জিজ্ঞেস করলো। ঐশ্বর্য বলল আম্মা আমি তুমার অবাধ্য কোনো দিন হইনি তুমি যা বলবে তাই হবে আমি তাতেই খুশি। শান্তি হাসি মুখে ঐশ্বর্যর মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। এর মধ্যে ঐশ্বর্যর ঘুম ভেঙে যায় ঐশ্বর্য বুঝতে পারে সে সপ্ন দেখছিলো, রুবেয়া এসে ঐশ্বর্য কে বলে তারাতাড়ি উঠে বাইরে আই দেখ কে এসেছে। ঐশ্বর্য বুঝতে পারে তার শরীরে জ্বর উঠেছে তাই সে হয়তো ফজরের নামাজ পরার জন্য উঠতে পারেনি। ঐশ্বর্য রুবেয়াকে বলল যা আমি আসছি, এমন সময় ঘরে শান্তি এসে ঢুকে আর বলে শাড়ি কিনবা ভালো কিছু পরে বাইরে আসতে। ঐশ্বর্য বুঝতে পারে তাকে দেখতে এসেছে তাহলে কি সত্যি উনি এসেছেন? ঐশ্বর্য বলল আম্মা আমার শরীর টা ভালো না। শান্তি সাথে সাথে কপালে হাত দিয়ে দেখে জ্বর উঠেছে। শান্তি বলল শরীর কি বেশি খারাপ মাথাই কাপড় ভিজিয়ে দিবো? ঐশ্বর্য বলল না আমাকে একটু গরম কিছু এনে দিলেই হবে। শান্তি রুবেয়া কে চা আনতে বলে ঐশ্বর্য জিজ্ঞেস করলো কে এসেছে বাড়িতে। শান্তি বলল বাইরে এলেই দেখতে পারবি কিন্তু তর তো জ্বর তুই এখন উঠবি কি করে? ঐশ্বর্য বলল না আমি ঠিক আছি মাথাটা ব্যথা করছে একটু গরম চা খেলেই ঠিক হয়ে যাবে। শান্তি বলল আচ্ছা চা খেয়ে শরীর টা একটু ভালো লাগলে ভালো একটা শারি পরে বাইরে আই। ঐশ্বর্য বলল আচ্ছা আমি আসছি। শান্তি বলল হে বেশিক্ষণ থাকতে হবে না একটু উঠনে উনাদের সামনে বসবি তার পর আমি তকে ঘরে পাঠিয়ে দিবো। রুবেয় চা নিয়ে আসলো ঐশ্বর্য চা খেতে খেতে ভাবতে লাগলো, সে কি সত্যি এসে পরলো সপ্নেও তাই দেখলাম। সপ্নের সাথে এত মিল কি করে হতে পারে! ঐশ্বর্য রুবেয়া কে জিজ্ঞেস করলো, কে এসেছে বাইরে রুবেয়া বলতে যাবে তখনি শান্তি তাকে ডাকে। সে শাড়িটা ঐশ্বর্য কে দিয়ে দৌড়ে চলে যায়। ঐশ্বর্য কিছুক্ষণ বসে থেকে বুঝতে পারলো মাথা ব্যথা অনেকটাই কমেছে। তাই সে আর দেরি না করে শাড়িটা পরে রুবেয়া কে ডাক দেয় কেননা সে একা বের হতে বিবৃতি বোধ করছিলো। রুবেয়া ঘরে ঢুকে ঐশ্বর্য কে দেখে হা করে তাকিয়ে রয়েছে। ঐশ্বর্য তার মাথায় একটা চর মারে আর বলে কি দেখছিস। রুবেয়া বলে এমনে না সাজলেও পারতি ঐশ্বর্য বলল কেনো খারাপ লাগছে শাড়িটা খুলে ফেলবো? রুবেয়া বলে আরে না না তুই বাইরে গেলে তরে দেখলে সবাই অজ্ঞান হয়া জাইবো আর আমি কেল্লিগা এইডা কইলাম বাইরে গেলেই বুজবি। ঐশ্বর্য কিছুই বুঝলো না তারা উঠনে আসে ঊঠনে চেয়ার পেতে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঐশ্বর্য মাথা নিচু রেখেই চেয়ারে এসে বসে এবার সামনে থাকা একজন মহিলা এসে ঐশ্বর্যর থুতনিতে হাত দিয়ে মাথা উচু করায় কিন্তু ঐশ্বর্য এখনো সামনে তাকাচ্ছে না নিচের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। সামনে থাকা মানুষ গুলো বলা বলি শুরু করলো এমন সুন্দর মেয়েও এই গ্রামে আছে আর আমরা জানিও না। একজন মোটা কন্ঠের লোক বলে উঠলো চোখ জুরিয়ে গেলো আমি ভাবতেও পারছি না এত সুন্দর মেয়ে আমাদের বাড়ির বউ হবে। ঐশ্বর্য ভাবতে থাকে বউ হবে মানে এখনো তো কিছু ঠিকই হলো না। ঐশ্বর্য ভাবে কই এখানে আকাশ সাহেবের কনো কন্ঠ শুনছি না কেনো সে কি শরম পাচ্ছে? ঐশ্বর্য এবার যা শুনতে পেলো তা শুনে সে একদম জমে যাই। সেই মোটা কন্ঠের লোকটা আবার বলল আমি আজ অনেক খুশি নওয়াজ তুমার পছন্দ সবার উপরে। ঐশ্বর্য ভাবতে থাকে এ আমি কি শুনছি আমি কি ভুল নাম শুনলাম। ঐশ্বর্য সাথে সাথে চমকে উঠে আর সামনে তাকায় সে দেখতে পারে তার সামনে যে লোকটা বসে তার পিছনে যে দারিয়ে আছে সে আর কেউ নয় সে নওয়াজ। লোকটি বলল এটা আমার ছেলে পছন্দ তো সবার উপরে থাকবেই এটা আমার ছেলে (জায়েদ নওয়াজ মজুমদার) 
.
.
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন 
পর্ব ১৭ (3d special episode) জলদি আসবে এই পর্বটা কেউ মিস করবেন এই পর্বে খুলছে আরো কিছু রহস্য পাশে থাকবেন ধন্যবাদ।

Comments

    Please login to post comment. Login