তোমায় দেখেছিলাম যেদিন,সেদিন
পদ্ম বিলের আকাশ ছিলো কৃষ্ণচুড়ায় রঙিন
তোমার ঐ আলতা রঙা পায়ে সেদিন পায়েল ছিলো
খোঁপায় বেলী ফুলের মালা ছিলো
পরনে নীলচে শাড়ি আর শ্বেত শুভ্র ব্লাউজ
যেনো আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে শরতের মেঘরাজ
শরতের আকাশ সেজে সেদিন অপেক্ষায় ছিলে তুমি
অপেক্ষার কারণ হয়তো প্রেমিক কিংবা প্রিয় স্বামী
অপেক্ষার বদলে তুমি সেদিন উপেক্ষা পেয়েছিলে
আমি দেখতে পেয়েছিলাম এক কন্যা যে আকাশের সাথে মিলে
তোমার অপেক্ষায় সেদিন আমি পেয়েছিলাম মুক্তির স্বাদ
দেখেছিলাম ভালোবাসার এক মহা রাজ প্রাসাদ।
কদম হাতে সেদিন তোমার সামনে দাঁড়াতেই
তুমি জানতে চেয়েছিলে আমি কে?
মুখে চিরঅভ্যাসের সেই মুচকি হাসি টেনে আমি বলেছিলাম
আমি প্রেমিক।
অপেক্ষা থেকে উপেক্ষা গ্রহণ করা প্রেমিকার
না হওয়া এক নীরব প্রেমিক।
তারপর বহু বসন্ত কেটে গেলো
কৃষ্ণচূড়া গাছটাও বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেলো
মারা যাওয়া কৃষ্ণাচুড়ার পাশে থাকা সেই পদ্মবিলে
এখনো অনেকেই আসা যাওয়া করে
নবীন প্রবীণ অনেকেরই রোজ মিলনমেলা ঘটে
আফশোস,ইতপুর্বে তোমার দেখা মিলেনি এই তটে
—দেখা মিললে কি হতো?
—চলন্ত আকাশ দেখে নয়ন জোড়াতো।
—তারপর? তারপর কি হতো?
—হয়তো,না হওয়া প্রেমিক থেকে দলিল করা প্রেমিক হওয়া যেতো!
কেউ একজনের শাসনে নিজেকে গুছিয়ে রাখা যেতো!
—যদি দলিলে সাইন না করতাম তাহলে?তাহলে কি হতো?
—না হওয়া প্রেমিক হয়েই তোমায় ভালোবাসা যেতো !
“আকাশ সাজে দেখেছিলাম তোমায় সেদিন” শিরোনামে ডায়রী ভরা কবিতা লেখা যেতো!