Posts

উপন্যাস

~~It's love~~

June 23, 2025

Somon Mia

88
View

পরিচয়~~~~
সুইজারল্যান্ড শহরের স্লোটান গ্রামের তাইজ উদ্দীন এর তিন ছেলে এক মেয়,। বড় ছেলে তুহিদ উদ্দীন তার দুই ছেলে ফাহমিদুল আর ফাহিম তাদের পরিবার ব্রিটনিকাই সুইজারল্যান্ড এর  মেইন শহরে থাকে। ।মেঝ ছেলের দুই মেয় এক ছেলে আরিফা ফারিয়া,অনন্ত।ছোট ছেলে তরু উদ্দীন  এর একটা মেয় আরুসী,যৌথ পরিবার, একএে মিলে মিশে থাকে। মেয়র নাম তুহিনা পটোয়ারী তার দুই ছেলে এক মেয়, তেজ,তোয়া,তকিব,স্বামীর সাথে ব্রিটনিকাই থাকে।
______________________________

  ‘It’s love’ এটা শুধু একটা World নয়,বরং এশব্দটার ভেতরে লুকিয়ে থাকে হাজারো Means. আবারও বলছি 
"It’s love " এটা শুধু একটা World নয়, বরং হাজারো মানুষের দর্ষনীক যা একে অন্যকে দেখিয়ে বলে "It's love".

"It’s love" মানে এটা নয় soulmate life patnar কিংবা
loyal patnar. "It’s love" মানে " দুজনের পাগলামি পরস্পরকে হৃদয়ের কাছে টানা ".

কেউ বলে ভালোবাসা আকাশের নীল........
কেউ বলে ভালোবাসা লাল গোলাপ......
কিন্তু আমি  বলি ভালোবাসা সমুদ্রের ঢেউ......নীরবে হৃদয় ভাঙ্গে.... কেউ বোঝে না... কেউ জানে না।


এই আরিফা ঔঠ না আর কত ঘুমাবি, আটটায় প্রাইভেট আছে সিদ্দীক স্যারের বাসাই তুইকি ভুলে গেছিস। আরিফা ঘুম জড়ানো কন্ঠে নারে, দ্বারা আমি উঠছি। ফারিয়া ওকে ডেকে বেলকনির ছোট ছোট বনফুল গাছ গুলোতে পানি দিয়ে দিল। রুমে এসে দেখলো আরিফা এখনো পরে পরে ঘুমাচ্ছে। ফারিয়ার বিষন রাগ হলো। এতটাই রাগ করল যে ওকে আর ডাকার প্রয়োজন মনে করিনি। নিজেই শাওয়ার নিয়ে রেডি হয়ে নিচে নেমে এলো, আম্মু খেতে দাও। শিউলী উদ্দীন  মেয়কে একা নামতে দেকে তুমার আপু কই। আম্মু ওত ঘুমাচ্ছে। তুমাকে কত দিন বলছি ওকে তুই তুই করে না বলতে,যাও ওকে ডেকে আন পরে দুজন একসাথে জাও। ওত এখনো ঘুমিয়ে আছে কখন ঔঠবে কখন রেডি হবে তুমিই বলো আম্মু, তার চে ভালো কাল গিয়ে স্যারের হাতে পিঠুনি খাবে। তুমাই যা বলছি তা কর যাও। ফারিয়ার খুব রাগ হচ্ছিল আরিফার প্রতি আর না পারছিল মাকে কিছু বলতে তাই না খেয়েই চলে আসল।

বাসা থেকে স্কুল পাচঁ মিনিট, স্কুল থেকে স্যারের বাসা দশ মিনিট মোট পনেরো মিনিটের রাস্তা প্রাইভেট আটটায় এখন বাজে সাড়ে সাতটা, তাই হেটেই যাচ্ছে।

আরিফা এখনো পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে। শিউলী উদ্দীন  তার স্বামী তুহিন উদ্দীন  কে ডেকে বলল আরিফা কে ডেকে দিতে ওর প্রাইভেট আছে। শিউলী উদ্দীন  তার জা ফাতিহা উদ্দীন  রান্না করছে। তার শুশ্বর তাইজ উদ্দীন ইকটু অসুস্থ,  স্ত্রী মারা গেছে বছর পাচেঁক হবে।

কিরে মা আর কত ঘুমাবি ফারিয়াত কখন চলে গেছে। আরিফার কানে কথাটা বাজার সাথে সাথে উঠে গেল আরিফা, মন খারাপ করে বাবার দিকে চেয়ে বাবা... তুমার ছোট মেয় কি সত্যি  চলে গেছে। হেরে মা,তর মা বলল ফারিয়া নাকি অনেক আগেই চলে গেছে তকে যেন ডেকে দিই,তুমি কি যেতে চাচ্ছ না আম্মু। না মানে এখনই রেডি হয়ে যাব আব্বু, নাইলে স্যার বকা দিবে। আচ্ছা আম্মু সাবধানে যাবে। জ্বি আব্বু।

পাঁচ মিনিট যাবত স্যারের বাসার নিচে এসে দাড়িয়ে আছি, একটা হারামির আসার নাম নেই, আর না স্যার আগের ব্যাচ ছুটি দিতাছে। ওমনি পিছন পিঠ হালাকা চড় তুলে   কিরে  কখন এলি। ফারিয়া - পাচ মিনিট, রুশা কইরে। ফাইজা - আমি ফাইজা কারো খোজ রাখি না। ফারিয়া - সে রাখবি কেন। ফাইজা - ব্যাচ ছুটি চল উপরে গিয়ে বসি।ফারিয়া - চল। ফাইজা - আরিফা কইরে। ফারিয়া - ঘুমাই। দুজন মিলে উপরে গিয়ে টেবিলে বসে পড়ল।স্যার একবার এসে দেখে গেলে মাএ তিনজন এলো,সবাই আসলে একবারে পড়াবে। রুশা, আদিবা, আহিয়া, অন্তু এক সঙ্গে এলো এসে কথার জোর তুলল সবটি একএে হলে মাছের বাজার হয়ে যাই। ইকটু পর আন্তু আারো এলো।ওরা আট জন পড়ে। স্যার এসে পড়ানো শুরু করছে

আরিফা রেডি হয়ে প্রাইভেটের জন্য বের হচ্ছে, আরিফা খেয়ে জাও, জ্বি আম্মু। বসো বাবা আসলে বাবার সাথে খেয়ে বের হবে। আরিফা ঘড়ির দিকে থাকিয়ে শুধু মাথা নাড়াই। এখন বাজে আটটা এিশ।

পরিবারে এমন অনেক সন্তান আছে যারা মা বাবাকে অনেক ভালোবাসে। বাবা মার কথা ফেলতে পারে না। আরিফা এমনই বাবা মা যা বলবে তাই। 
আর ফারিয়া নিজের ইচ্ছে মতো চলতে পছন্দ করে। বাবা মাকে ভালোবাসে না এমনটা না। আর কোথাই বা লিখা আছে বাবা মাকে ভালো বাসা মানে তাদের সব কথা মেনে চলা।

আরিফার আর প্রাইভেটে যাওয়া হয়নি। খেয়ে উপরে চলে আসছে স্কুলত দশটায় যাবে। 
ফারিয়াদের ছুটি হয়ে গেছে এত সকালে প্রাইভেট হওয়ায় অনেকেই খেয়ে আসেনি তাই স্কুলে এসে ব্যাগ রেখে ক্যান্টিনে গেছে খাবার খেতে, সবার জন্যা রুটি বাজি অডার দিয়ে একটা প্ল্যান করল দুই তিন দিন পাশের গোয়াল মুখী গ্রামের গৌরির দোকানে চা খেতে যাবে। সবাই রাজি। নাস্তা করে ক্লাসে এসে বসছে।

আরিফা স্কুল জন্য রওনা হলো। টিফিনটা নিয়ে যাও তুমার গুনধর বোনের জন্যা সকালে নাস্তা নাখেয়ে চলে গেছে। জ্বি আম্মু দেন। বলে বাড়িয় থেকে বেরিয়ে আসল।

ফারিয়া- আদি দেখ রুশার ক্রাশ চলে এসছে।আদিবা - কই কই।অন্তু - ক্রাশত রুশার তুই এত উওেজীত হচ্ছিস কেন। সবাই আদিবার দিকে ভাবসুলব ভাবে থাকায় আদিবা - এমনি। 
আরিফা দরজায় দাড়িয়ে এতখন এদের কথা গুলো শুনছিল। ক্লাসে ডুকে আরোর দিকে টিফিন দিয়ে ফারিয়াকে ইশারা করে ওকে দিয়ে দেয়।ফারিয়া কিছু বলচে না চুপকরে বসে রইল। আরো ফারিয়াকে দিতে ফারিয়া হাত থেকে নিয়ে মেঝেতে ফেলে দেই বক্স। কেউ আবাক হয়নি কারন ফারিয়ার এবিশ্বয়ে সবাই অব্যস্ত প্রায়ই না খেয়ে চলে আসে আর খাবার দিয়ে দিলে ছুরে ফেলে দেয় আর না দিয়ে দিলে চিললা চিললি করে। এত রুশার আর আহিয়ার খুব ভালো লাগে কেননা পরে ওরা দুজনে মিলে খাবারটা খেয়ে ফেলে।

আরিফা আরোর সাথের খালি সিটে বসেছে একধম কর্নারে , পরে আদিবা সাথে ফাইজা আর এ সাইটে ফারিয়া.
রুশা আহিয়া আনকি পিছনে বসছে। ইকটু পরে আসমা মেম আসে রোল কল করে।মেম কিছুখন চুপ তেকে বলল সাইলেন্স, তুমাদের অষ্টম শ্রেণির রোলে নাইনের রেজিষ্ট্রেশন হবে শুনছ, বার বার বলতে পারব না। সব স্টুডেন্ট একএে জ্বি মেম।ক্লাসে মনোযোগী হও। ক্লাস শুরু করলেন।

আরিফা দেখতে ঠিক ওর ময়ের মতো সুন্দরী মুখের ফেস কাটিনও সুন্দর এক কথায় অসাধরন রমনীয়। আর ফারিয়া চিকন, শ্যামলা,চুল গুলো কমর ছাড়িয়ে, টানা টানা চোখ দেখতে বাবার মতো শুধু রংটা ভিন্ন।

স্কুল থেকে বাড়ি ফিরেছে কখন এখনও ফারিয়া আরিফার সাথে কথা বলেনি। আরিফা যখনই কথা বলতে গেছে তখনই ফারিয়ামুখ ব্যাংচে চলে গেছে।

তাইজ  উদ্দীন  আসুস্থ হওয়ায় তার মেয় আসার কথা ছিল। এখনও আসেনি।। তুহিনা কে ফাতিয়া উদ্দীন কল দিয়েছিল তুহিনা পটোয়ারী জানিয়েছেন কাল আসবে ফামিদুল সাথে আসবে। ফাহমিদুল তাইজ উদ্দীনের বড় ছেলের গরের নাতি। ফাহমিদুল নেদারল্যান্ডর ম্যান শহরে থাকে  বাবা মায়ের সাথে।ফুফির কাছ থেকে দাদন এর অসুস্থর কথা শুনে ফুফির সাথে আসবে বলল ফাহমিদুল  ।নেদারলেন্ড এর ব্রিটনিকা শহরে তাইজ উদ্দীন এর বড় ছেলে ও একমাএ মেয় থাকে।

রাতের বেলা ফারিয়া মন খারাপ করে বসে বসে ভাবছে, আমিত ওর সাথে কথা বলি না এখন কিভাবে ডাকব,  সোওয়ার জন্যা,ওকে জড়িয়ে না ধরলেত আমার ঘুমই আসবে না।   কেমন আছিস বন বিড়াল । পিছনে ফিরে ফারিয়া - ভালো,কখন এলে হোস্টেল থেকে। অরুসী-ইকটু আগে, আব্বু নিয়ে আসছে দাদন নাকি অসুস্থ ।ফারিয়া কিছুই বলল না চুপ করে রয়েছে। আরুসী- আরিফা কই। ফারিয়া - রুমে। আরুসী - আজকে ওকে তর রুমে  থাকতে বলব,  আমি ওর রুমে ঘুমাব,আমার রুমটা ঝাড় দিয়ে কাল থেকে থাকব, অনেকদিনত কেউ থাকে না,। ফারিয়া মনে মনে অনেক খুশি। এত মেঘ না চাইতে বৃষ্টি। 
~আরিফা এসে ফারিয়া কাছে বসল। ফারিয়া মুখ ফিরিয়ে নিল। আরিফা দুই হাত দিয়ে ফারিয়া মুখ নিজের দিকে ঘুরাল। কপাল কুচকে আরিফা বলতে লাগল তাকা আমার দিকে সাড়াদিন একটা কথাও বলিস নি আমার সাথে, আমার কি দোস বল তুইত আমাই রেখে প্রাইভেটে চলে গেছিস, আর তুইত জানিস আম্মু  এমনই। ফারিয়া শুধু শুনছে কথা গুলো মনে মনে ভালোই লাগছে আরোকটি বললে আরিফা কেদে দিবে, দেখ তাতে আমার কি,যখন ডাকলাম উঠল না কেন। আরিফা এবার কেদেঁ দিল কান্নারত মুখে ফুপিয়ে ফুপিয়ে বলল তুই আমার সাথে কথা বলবি না। এখনও ফারিয়ার  কোনো পরিবর্তন নেই। 
আরিফা এবার নিজেকে সামলে নিল। ইকটু হাসি মুখে এনে আম্মু বলছে কালকে ফুফিরা আসবে তখন আমাদের ঘুড়তে নিয়ে যাবে। এবার ফারিয়া হাসি মুখে উচ্চাস নিয়ে বলল সত্যি বলচিস তুই। আরিফা বড় করে হাসি দিয়ে ফুফি আসবে ফাহমিদুল ভাইয়া আসবে কিন্তু ঘুড়তে নিয়ে যাবে না।ফারিয়া মুখটা কালো করে আরিফাকে মারতে লাগল আর আরিফা হাসছে।

দরজাই দাড়িয়ে শিউলী ওতুহিন উদ্দীন তার দুই মেয়র কান্ড কারখানা দেখছে,তুহিন উদ্দিন হাসছে কিন্তু শিউলী উদ্দীন রেগে গেলেন আর তার স্বামীকে বললেন তুাম ছোট মেয়কে নিয়ে আমি আর পারি না। কত দিন বললাম বড় বোনের সাথে এমন আচারন করনা, কে শিনে কা কথা। তুমার আর আরিফার প্রর্শয়ে এমেয়টা এমন হয়েছে। তুহিন উদ্দীন এর হাসি মহূতে বিলীন হয়ে গেছে কি বলবেন উনি। দুজনে চলে গেল তাইজ উদ্দীনর রুমে।


ফাতিয়া উদ্দীন তার স্বামী তরু উদ্দীনকে বলল চলো বাবাকে দেখে আসি এসে সুয়ে পরো কেমন। তরু উদ্দীন মুখ অন্দকার করে আমি যাব না তুমি জাও,আমার শরীরটা টাইয়াড। ফাতিয়া উদ্দীন কিছুই বলল না,।
বাড়িতে এসেত   স্বামী শশ্বরের  খুবই ভালো সম্পর্কে দেখছেন।যেদিন তার শ্বাশুড়ি মারা গেলে তার পর তেকে বাবা ছেলের মধ্যে ঝামেলা।কেউ জানে কি হয়েছে। ঐদিন পর থেকে আর দুজনে কথা বলেনা। কারনটা জিঙ্গেস করলেও কেউ বলে না।

---
কলে,
বাবা ফাহমিদুল। জ্বি ফুফি আমি। শুন আমাদের সাথে 
তেজ যাচ্ছে,টিকিক কাঠার সময় একটা বেশি কেটো।জ্বি ফুফি। খোদা হাফেজ। আল হাফেজ।

এ ফারিয়া উঠ না গেস্ট রুম গলো গোছাতে বলল আম্মু। ফারিয়া ঘুম জড়ানো কন্ঠে ত আমি কি করব, আমাই বলেনি, আমি এসব পারব না, তুই যা। আরিফা বসে বসে নাক ফুলাচ্চে না পারবে মাকে মানা করতে আর না পারবে ফারিয়াকে এখন নিয়ে যেতে। নিজেই গেল রুম গোছাতে।

ফাহমিদুলদের ব্রিটানিকা থেকে স্লোটানে আসতে প্রায়ই দুঘন্টা লাগবে। তরা বাসা থেকে বের হইছে আটটায়।

ফারিয়া এখনো ঘুমিয়ে আছে। আরিফা ফারিয়ার কানের কাছে গিয়ে আস্তে আস্তে বলল আব্বু বলল আজ স্কুলে যেতে হবে না। ফারিয়া লাফ দিয়ে উঠে সত্যি। আরিফা -হগো বইন। ফারি-মোবাইলটা দেত চার্জ কেবলে থেকে। আরিফা মুখ কালো করে আমি কি তর ছোট তুই কি ম্যানার শিখবি না। ফারিয়া হাসি দিয়ে তর ম্যানার তর কাছে রাখ, যা বলছি তা কর। আরিফা মুখ ভ্যাংচে ফোন এনে দিল ফারিয়ার হাতে।ফারিয়া ফেন্ড গ্রুপে জানিয়ে দিছে তারা কাল যাবে চা ট্যুরে।

সবাই নাস্তা টেবিলে বসে  নাস্তা করছে। আরুসী তর পড়া লেখা কেমন চলচে। জ্বী দাদন ভালো। তরু উদ্দীন নাস্তা খাওয়ার জন্য নিছেনামলও পরে টেবিলে বাবাকে দেখে উপরে চলে যাচ্চে। এত দিনে সবাই এটা বোঝে গেছে বাপ ছেলের মধ্যে ঝামেলা চলছে তাই কেউ আর তরু উদ্দীন কে কাবার খেতে ডাকেন নি।

নাস্তা খেয়ে আরুসী ফারিয়াদের রুমে এলো দেখল   দু বোন ফোন টিপছে। আরুসী-কিরে কিরিস ফোনে। ফারিয়া কিছু বলে না আর ওর কাছ থেকে আরুসী উওর ও আসা করে নি আরিফা হাসি দিয়ে বলল আপু উপন্যাস পড়ি।- ব্রু কোচকে আরুসী জিঙ্গেস করল নাম কি।হাসি দিয়ে আরি- সঙ্গীন প্র.. বাকি কথা শেষ হবার আগে ফারিয়া মুখ চেপে ধরে কানে কানে বলল কি করছিস বালডা আমরা ডার্ক রোমান্টিক উপন্যাস পড়ছি ভাই,যদি আপু জানে কি ভাববে। আরিফা আস্তে আস্তে বলল তুই ঠিকই বলছিস, এটা আমার মাতায় কেন এলো না। ভাবটা ইকটু বাড়িয়ে ফারিয়া তুইত আর আমি না তাই না। মুখব্যাংচে দিল আরিফা। মোবালে চোখ রেখেই আরুসী কিরে উপন্যাসের নাম বলতে এতখন।

নিচের আওয়াজ শুনে আরিফা  আরুসী রুম থেকে বের হলো দেখল ফুফিরা চলে এলো। কেয়ামত হলোও ফারিয়া নিছে নমবে না নিচে নামাত দূরের কথা উপন্যাসের  এ পর্ব ইন্ডিং না করে ফোন রাখবে না। 
দাদন কে রুম থেকে নিয়ে এলো আরুসী। একে একে সবাই ডয়িংরুমে হাজির হলো। ফারিহা আর তরুউদ্দীন নিচে আসেনি। উপস্থিত সবার সাথে কথা বলছে ফাহ।

ছোট চাচুর রুমের সামনে মাথানিচু করে দাড়িয়ে ফারিয়া আসব চাচ্চু। চেয়ারে বসে ফোন স্কল করছিল তরু উদ্দীন,ফোন থেকে দূষ্ট ফারিয়ার দিকে চেয়ে আরে এ সময়ে আম্মু এখানে এসো ভিতরে এসো।নিশব্দে রুমে ডুক বিচানায় বসল তরুউদ্দীন এর মুখোমুখী।ভাবসলী ভংগিমায় তরু উদ্দীন কি মা জননী কি জানতে এসেছে আমার কাছে। হাসি দিয়ে ফারিয়া কিছু না চাচ্চু আমিত জানি এসময় তুমি ঘরে থাকবে তাই গল্প করতে চলে এলাম। মুখটা মলীন করে তরু উদ্দীন মারে এখন গল্প করতে ইচ্ছে করছে না যে। মুখে হাসি রেখে ফারিয়া ত চলো ঘুরে আসি না করবে না,এ পাশের ব্রুফে  যাব দুজন মিলে চা খাব। 
ভাবতে ভাবতে বলল তরু উদ্দীন  কিভাবে, আজকে বাসা থেকে বেড়নো যাবে না।  জোরে একটা হাসি দিয়ে ফারিয়া  আমার কাছে একটা প্ল্যান আছে চাচ্চু, আমি যা বলব তুমি শুধু তাই কর। ওকে আম্মু।  


জোরে চিৎকার দিয়ে ফারিয়া আরিফা এই আরিফা। নিচে সবার মাজে নিস্তব্ধতা একে অন্যের মুখের দিকে তাকাচ্ছে। কেউ কিচু বলচে না দেকে ফাহমিদুল বলল ফাহমিদুল কিরে আরিফা তরে ডাকচে কে।

- ভাইয়া   ফারিয়া ডাকছে হয়ত ওর কোনো প্রয়োজন।

শিউলী ও ফাতিয়া উদ্দীন সবার জন্যা টেবিলে খাবাবাড়ছে।

আরিফা উপরে এসে রুমে ডুকে মুখটা রাগান্বিত করে.. 
- কিরে চেচ্চাচিস কেন

ফারিয়া হাসি দিয়ে 
- ঐদিন যে জিন্স আর টপ আনছি এগুলো কই, খুজে দে।

- এটাত তুই চাইলেি ওয়ার ড্রপ  তেকে নিয়ে নিতে পারতি বলে টপ আর জিন্স এনে ফারিয়ার হাতে দিল।

ফারিয়া অট্টহাসি দিয়ে 
- তা অবশ্য ঠিকই বলেছিস, আর তকে অন্য কারনে ডেকেছি  রাতে বলব রে গাদি।

সবাই খাবার টেবিলে বসেছে  শিউলি ও ফাতিয়া উদ্দীন খাবার সার্ভ করছে। 
এদিক ঐদিক তাকিয়ে ফাহমিদুল ছোট চাচু কোথায় খাবেনা। ফাতিয়া উদ্দীন ঐত ইকটু আগে কার সাথে জেন কথা বলতে বলতে চলে গেল।সবাই খেতে  ব্যাস্ত।

ফারিয়া রেডি হয়ে সিড়ি বেয়ে নিচে নামছে  আর গুন গুন করে গান গাইতাছে। তুহিন উদ্দীন মেয়র দিকে তাকিয়ে 
- কি আম্মাজান রেডি হয়ে কোথায় যাওয়া হচ্ছে। এত তর ফুফিরা এলো ভাইয়া এলো।

ফারিয়া মুচকি হেসে 
- আব্বু ছোট চাচ্চু বাইরে ওয়েট করছে। চাচ্চু নাকি আমাই কোথায় নিয়ে যাবে।

তুহিনা বেগম -কি আম্মাজান আমরা আসাই কি খুশি হওনি। একবারও কথা বলনি।

- না ফুফি এমন না। কেমন আছেন  আপনি। কেমন আছ ফাহমিদুল ভাইয়া।

ফাহমিদুল কাশি উঠে পানি খেয়ে 
- ভালো তর কি খবর।

- জ্বী ভাইয়া ভালো। বলে বেরিয়ে গেল ফারিয়া। বেরিয়ে চাচ্চু সাথে বাইকে উঠল গন্তব্য ব্রুফে।

তাইজ উদ্দীন বলল দাদু ভাই এবার কটা দিন থেকে যেও।
জ্বি কিছু দিন থাকব ফুফির সাথেই ফিরে যাব। তুহিন তুৃমার বাবা মাকে নিয়ে একবারে চলো আসনা আর কত দূরে থাকবা। মেঝ চাচ্চু আমি কি করে বলব বাবার কথা বাবা  জানেন। 
খেয়ে ফাহমিদুল রেস্ট নেওয়ার জন্য গেস্ট রুমে চলে যাই।
ফুফি তেজ ভাইয়া না আসার কথা। আর বলিস না আরু ও নাকি কাল আসবে। ওহ। আরুশী ফুফু তুমি আমার সাথে থাকবে আমার রুমে। আচ্চা।

দুই চাচা বাতিজী ব্রুফে বসে চায়ের অর্ডার দিছে। ফারিয়া চাচু কিছু বলতে চাই। 
- আমি জানি মা তুমি কি বলবে। এটাঔত দাদুর সাথে কি হয়েছে।

- এটাও আরেকটা প্রশ্ন ফাহমিদুল ভাইয়ারা বাসাই থাকে না কেন। 
সাধ
- তুমার বড় আব্বু আর বড় আম্মু রিলেশন করে বিয়ে করছে। তাই তুমার দাদন বাসা থেকে বের করে দিয়ে ছিল। 
আম্মা মারা যাওয়াই এসেচিল আর আসেনি।

চা এসেছে খাওয়া শুরু কর আম্মু।

- জানো আম্মু আমিও একজনকে ভালো বাস তাম। বিয়ে করতে চাইছিলাম। জনো তুমার বড় আব্বুত তুমার দাদন কে না বলেই বিয়ে করে ফেলেছেন। আমি ত তোমার দাদন কাছ থেকে অনুমতি চাইতে গেছিলাম..

সন্ধা হয়ে গেচে, থাক আম্মু অন্য একদিন সবটা খুলে বলব।

ফারিয়া আর জোর করল না। 
- জ্বি চাচ্চু চলো  

--------------------------------------------------------------------------

রাতে খাবার  খেয়ে সবাই সুয়ে পড়েছে। আরিফা-কই গেছিলি বিকালে।

- চাচ্চু সাথে ব্রুফেতে।

-আর আমাই ঐ সময় চিৎকার দিয়ে ডাকলি কেন।

- আব্বু নাকি চাচ্চুকে বাইরে যেতে দিবে না তাই।

- বুঝতে পারছি আমি.,আমাই তুই ডাকলি সবার ফোকাস আমার আর তর ডাকের দিকে চিল এ সুযোগে চাচ্চু বাইরে চলে গেছে।

- হুম,তরত আমার সাথে থেকে থেকে দিন দিন বুদ্ধি বাড়ছে।

মুখ ব্যাংচে আরিফা 
- কিভাবে পারলি একা একা চলে যেত,তাও আবার আমাকে গুটি হিসাবে বাবহার করে ভাবতে কান্না পাচ্ছে।

- থাম বইন আমি কি হুদাই গেছি, তুই বলদ বলদই থাকবি।

- কেন গেছ বল, কিছু ত নিয়াও আইছ না আসার সম হুম।

- আরে  তুই দেখছ না দাদন আর চাচ্চুর মধ্যে ঝামেলা কারন জানেতে গেছিলাম।

- বলছে চাচ্চু।

- হুম ইকটু, পুরোটা জেনে পরে বলব নে। তরে না কইছি জিন্সের পকেটে হাত দিতি।

- মনে ছিল না কাল দিমুনে এখন ঘুমা।

-----------------------------------------------------------------------------


আজ শুক্রবার তাই আম্মু বলছে বাগান পরিষ্কার করতে ফারিয়া। ফারিয়া ঠোঁট  উল্টে 
- ত আমি কি করব।

- দেখ বইন না করিছ না এত বড় বাগান কেমনে পরিষ্কার করমু।

- আচ্ছা আমি তকে হেল্প করব যদি তুই আমাই একটা কাজ করে দিস।

রাজি আমি চল।

দুই বোন হাত ধরে সিরি দিয়ে নামছে। আরিফা
- ফাহমিদুল ভাইয়া দেখতে কি সুন্দর, তার কথা বলার ধরন কি সুন্দর।

- তুই কি জানিস না সুন্দর ছেলেদের চরিএ গুবরের মতো অপবিত্র, ফাহমিদুল ভাইয়াও এরকমই।

ফাহমিদুল নিজের রুম থেকে বের হচ্ছিল তখনই ফারিয়ার শেষ কথাটা  শুনে নিল।বির বির করতে বলল আমাকে  গুবরের মতো অপবিত্র বলা ঠিকই বুঝাব এর মঝা।

-----------------------------------------------------------------

-ফারিয়া ফাহমিদুল ভাইয়া তোকে যেত বলছে তার রুমে। দেখলি আরিফা বেটার চরিএ প্রথমেই রুমে ডেকে নিচ্ছে।

- সবাইকে ভাইয়া এক এক করে ডেকে নিয়েছে, লেকচার দিচ্ছে। যা শুনে আই।

- তুই দেখিস আমি ওকে লেকচার শুনাব।

এ বলে ফারিয়া ফাহমিদুল রুমের সামনে  এসে  আসব।

- আই, চেয়ার দেখিয়ে বস কথা আছে।

- ফারিয়া চুপ করে বসে গেল।
কেন জানি ফাহমিদুল ভাইয়ার কথা সে ফেলতে পারল না। কেন জানি ও ফাহমিদুল ভাইয়র প্রতি বিরক্তি হচ্ছে না বরং এ রুমে এসে ভালোই লাগল।

- কি ভাবছিস, একটা খাতা ফারিয়ার দিকে ছুড়ে সই করে দে সবগুলো তে।

- কিসের কাগজ, আমার নামের সম্পওি নিয়ে নিবার ধান্দা না। আমি সাইন করব না মরে গেলও না।

- কি যাতা বলছিস, আমি কেন তর সমপওি নিয়ে নিব, আমার ধরকার তাই বলছি,নাইলে পরে দেখ।

- সেত আমি ন বললেও পরতাম, আচ্ছা থাক একটা সাইন ইত ব্যাপার না।

-এ নিন করে দিলাম। গুড গার্ল মাই ডিয়ার গার্ল। ফারিয়া মুখটা কালো করে ছোট বোনদের কিভাবে ডাকতে তা ও জানেন না নাকি।

-ফাহমিদুল হাসি দিয়ে না জানি না তুই শিখিয়ে দে।

-ছোট বোনদের নাম ধরে  ডাকবেন,মাই ডিয়ার গার্ল বউকে ডাকবেন।

মিন মিন করে ফাহমিদুল আমিত আমার বউকেই ডাকলাম ফারিয়ার কানে হয়ত এটা পোছাই নি। 
- আচ্ছা, ফারিয়া তর কেমন  জামাই পছন্দ।

- এ প্রশ্নে ফারিয়া ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বসে আছ।কি বা বলবে।

- কি ফারিয়া কিরকম জামা পছন্দ এটা বলতে এতখন। যদি বলতাম কেমন জামাই পছন্দ  ত কি করতি।

- ভাইয়া আমার টর্প পছন্দ।

- বোরকা পছন্দ না তর।

- হুম। কিন্তু কে কখনওদেইনি।

- আমি কিনে দিলে নিবি।

ফারিয়া ভাবতে ভাবতে 
- আচ্ছা।

- যাবি আমার সাথে মার্কেটে।

- আচ্ছা।

তইলে বিকেলে রেডি থাকিস।

------------------------------------------------------------------------------
রুমে এসে ফারিয়া দেখল আরিফা আর আরুসী ফোন টিপছে। হাত পা ছড়িয়ে ওদের মাঝে গিয়ে শুয়ে পড়ল ফারিয়া। দুজনের দৃষ্টি ফারিয়ার দিকে।

আরিফা বলল- কিরে ভাইয়া কি বলল।

ফারিয়া ওর কথা পাওাই দিল না। নিজের অনমনে কি যেন ভাবছে। আরিফা তুইত আরফানকে পছন্দ করিস

আরিফা মাথা নিচু করে ইকটু বাকা হাসি দিয়ে হুম।

ফারিয়া মুখ কালো করে আপু তুমিত তেজ ভাইয়াকে পছন্দ করতে তাই না

ফারিয়ার এপ্রশ্নে আরুসী ভ্যাবচেকা খেয়ে গেল, বন বিড়াল তুই কেমনে জানলি।

ফারিয়া হাসি দিয়ে, আমি সবি জানি। যেটা বলছিলাম ধর তদের দুজন থেকে একজনরে ফাহমিদুল ভাইয়া পছন্দ করে প্রেম করবি তরা।

দুজনেই কাশি দিয়ে উঠল, কি বলছিস ফারিয়া, মুখ দিয়ে যা আসে তাই বলবি। তুই ঠিক বলছিস আরিফা,ও দিন দিন বিয়াদব হয়ে গেছে।

ঠোঁট উল্টে ফারিয়া মানে তরা রাজি না ওকে।

------------------------------------------------


দুপরে খেতে  বসেছে সবাই,খাবার মুখে তুলে ফাহমিদুল মেঝ চাচ্চু আমি বিকেলে ইকটু ফারিয়াকে নিয়ে শপিংয়ে যাব।

তিহান উদ্দীন সবাবিক ভাবেই বলল, যাও কে মানা করছে।

আরুসী আর আরিফা একে অন্যর দিকে চাওয়া চায়ি করছে। তাইজ উদ্দীন কিরে মা আজ না তেজর আসার কথা। তুহিনা পটোয়ারি তেজ রওনা দিয়েছে  বাবা আসতে বিকেল হবে।

বড়রা খাওয়া শেষ উঠে গেছে। টেবিলে শুধু ফাহমিদুল, আরুসী, আরিফা, ফারিয়া। ইকটু ইকটু করে খাচ্চে ফারিয়া দিন দুনিয়ার খেল নেই। আরুসী ও আরিফা উঠে গেল ব্যাচিংয়ে হাত ধৌত করতে। ফারিয়ার মাতা হালকা চর দিয়ে ফাহমিদুল কিরে এতখন লাগে খেতে, সবার আগে এসেছিস খেতে। ফারিয়া কিছুই বলল না, মনে মনে বলল তর কি আমার যখন ইচ্ছে তখন খাওয়া শেষ করব। 
ফাহমিদুল - কি ভাবছিস,শপিং যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে 
থাকিস। 
---------------------------------------------------------------------------

কালো রংয়ের টপস আর জিন্স পরে চুল গুলো ঝুটি করে পায়ে কস পড়চে ফারিয়া।

আরিফা আর আরুসী  ফারিয়ার কাছে গিয়ে। আরুসী - ভাইয়া মনে হয় তকে পছন্দ  করেরে বন বিড়াল 
ফারিয়া কেস পড়ে হাত জাড়া দিয়ে বাজে বকা বন্ধ  করো। 
আরিফা- যখন তুই বলিস। 
ফারিয়া - আমি বললে সেটা অন্য কথা। এ বলে ফারিয়া ফাহমিদুল এর রুমের সামনে দাড়ায়। 
ফাহমিদুল ফোন রেখে তুই বাইড়ে গিয়ে দ্বারা আমি আসছি।

ফাহমিদুল পিত কালার শাট, কালো প্যান্ট,হাতে রোলেক্সের ঘড়ি পড়তে পড়তে বেরিয়ে গেল।

গাড়ি বের করে  ড্রাইভ সিটে বসে ফাহমিদুল কিরে উঠ গাড়িতে। জ্বী ভাইয়া উঠছি।

ফারিয়া উঠার পর ফাহমিদুল গাড়ি স্টার্ট দেই গন্তব্য 'তুলো' শপিংমল।

------------------------------------------------------------------

আরিফা আর আরুসী বসে ফোন টিপছে, আরিফা- আপু আজকে না তেজ ভাইয়া আসবে। আরুসী - হুম আমিওত ফুফির কাছ থেক শুনেছিলাম। আরিফা- আপু চল তুমাই সাজিয়ে দেই। আরুসী- কেন,সাজতে যাবো। আরিফা- তুমি কি বোকা, বুঝিনা আমি, এত দিন পর ভাইয়া আসবে তুমি সেজে গোজে ভাইয়ার সামনে ধারাবে ভাইয়া...। আর বলতে না দিয়ে আরুসী - আর আমাই একটা লাথি মারুক, এটাই চায় তর। আরিফা - আরে না, আমি কি এটা বলতে চেয়েছিলাম আমিত বলতেছিলাম তুমাই দেখে ফিদা হয়ে যাবে।

~~
ফাহমিদুল গাড়ি থেকে নেমে। 
- ফারিন তুই ধারা এখানে আমি গাড়িটা পার্কিং লটে রেখে আসি। 
মুখ ব্যাংচে ফারিয়া 
- আচ্ছা, তুমাই না আমি বারন করছি এসব আজে বাজে নিক নাম দিতে।

ঠোঁটের কোনো ছোট হাসি দিয়ে গাড়ি ঘুরাতে লাগল, হয়তবা হাসিটা ফারিয়ার চোখে পরেনি। 

শপিং মলে ডুকে এফারিন চাইলে এ বোরকাটা  নিতে পারিস। দেখতে সুন্দর রং টাও আমার প্রিয় কিন্তু এত  তারাতাড়ি শপিং শেষ করে বাড়ি চলো যাব তা কি করে মনেমনে আউরাছে ফারিয়া। । কিরে কখন থেকে জিজ্ঞেস করছি এটা নিবি কিনা। মুচকি হেসে - ভেতরে গিয়ে আরো কালেকশন দেখি, পরে ডিসাইড নেই।

- আমরাত ভেতরে যাবই, আমি জিজ্ঞেস করেছি এটা পছন্দ কিনা।

- হুম।আারো কালেকশন দেখি পরে কোনটা নিব জানাই।

পুরো শপিংমল ঘুরলো এ প্রথম ফাহমিদুল তাও তার ফারিনে মাএ তিনটে বোরকা  পছন্দ হয়ছে। তিনটাই প্যাক করেনিয়েছে, সাথে আরিফা, আরুসী জন্যা দুটি বোরকা নিয়ে নিল। গাড়ির কাছে না গিয়ে পাশের রেস্তোরাঁয় গেল দূজনে একটা ক্যাফে বসল। ক্যাফ গুলো মূলত কাপলদের জন্যা।

ফাহমিদুল 
- কি খাবি, অর্ডার দে।

- মেনু কাট দেখে একটা চিকেন ফ্রাই একটা লাচ্ছি অর্ডার দিল।

- আমার জন্য একটা ব্লে কফি।

- একটা কথা বলার ছিল ফারিয়া।

- হুম বলো ভাই।

-( ডিরেক্ট ত আর বলা যায় না তর কাউকে পছন্দ কিনা) আরুসী কি কাউকে পছন্দ করে।

- হুম ভাইয়া। বির বির করে ভাইয়া তুমার সব টাকা জলে দুজনের মন বুকিং।

- অহ। আরিফা কাউকে পছন্দ করে।

- হুম। আসলে সুন্দর ছেলেদের চরিত্র গুবরে মতো যেই দেখলে আরুসী আপুর কেউ আছে তেমনি আরিফাই চলে গেলে বির বির করে বলল।

- থাক ওকে আর জিজ্ঞেস করা লাগবে না ওদের আছে মানে ওরও আছে। আজাইরা জিজ্ঞেস করে মন ভাঙ্গার দরকার নাই।

- জানো ভাইয়া আমি জানতাম তুমি আমাই এপ্রশ্ন গুলো করবে।

- কিভাবে জানতি বল শুনি।

- এযে শপিংয়ে নিয়ে আসা বোরকা কিনে দাওয়া আবার ক্যাফেতে খাওয়ানো নিশ্চয় তুমি দুটো থেকে একটারে পছন্দ  করো। কিন্তু এহন দেখি তুমি দুইটারে পছন্দ কর।

- স্টুপিট কি যাতা বলছিস,তোকে বোরকা কিনে দিয়েছি আর ক্যাফেতে আনছি বলে আমি ওদের পছন্দ করি।

- ছোট বেলা অনেকেই চকলেট দিয়ে, বেলুন কিনে দিয়ে আপুদের জন্যা চিঠি ধরিয়ে দিত।

- আসলে আমি তোকে পছন্দ করি।

- যখন দেখলেন ওদের পছন্দের মানুষ আছে ওমনি আমাই বললেন।

- না আমি সত্যি তোকে পছন্দ।

- আপানার চরিএে সমস্যা আছে চরিএ ঠিক করুন।

ফাহমিদুলের কল আসে ও বলল যত তারাতাড়ি পারেন রেজিষ্ট্রেশন করেন খুব আর্জেন্ট।

শুন ফারিন আমি সিরিয়াস, তোকে আমার পছন্দ আমি আমার মনের অনুভূতি গুলো তকে জানালাম। আমি জানতে চাইনি তুই আমাই ভালোবাসিস কিনা।

~~  তুই আমাই চাইলেও তুই আমার হবি, 
না চাইলেও তুই আমার হবি ~~~~~

------------------------------------------
তেজ এসে নানানের সাথে দেকা করে রুমে বিশ্রাম নিচ্ছে। ফাহমিদুল শপিং থেকে ফিরে ইকটু সস্তিবোধ করছে অন্তত মনের কথাটা বলতে পেরেছে...

ফারিয়া তেজ এর রুমের সামনে এসে, 
- ভাইয়া কেমন আছ।

- ভালো, তর কি খবর আই রুমে আয়।

- না রুমে আসব না চলো ছাদে যায়।

- এখন ইকটু রেস্ট নেই, রাতে যামুনে

- আচ্ছা, বলে পিছনে ফিরতেই ফাহমিদুল কে দেখে ভয় পেয়ে যায়।

ফাহমিদুল ইকটু আগেই আসছিল তেজর কাছে ফারিন ওর সাথে ছাদে যেতে চাইল তাই ওর রাগ হলো রাগটাকে কন্টোল করে। 
- কিরে এনে কি।

ফারিয়া ইকটু ঠোট বাকিয়ে
-  কেন আমি কি আসতে পারি না। 
বলে চলে যেতে নিল ফাহমিদুল হাতধরে টান দিয়ে সামনে এনে, 
- ওর সাথে ছাদে কেন যেতে চাইলি।

ফারিয়া ইকটু রাগ হলো' আমার ইচ্ছে আমার জীবন যেটা খুশি ইটা করব ' এগুলো আর বলতে পারল না যত যাই হক বড় ভাই 
- আড্ডা দিতে। তুমিও আসতে পার। আর আপু, আরিফাও যাবে। 
ফারিয়া ফাহমিদুল এর কানের কাছে গিয়ে আস্তে আস্তে বলল তুমিও আসতে পার তমার পছন্দের দুই রানি থাকবে বলে কথা।

- স্টুপিট, বাজে কথা বন্ধ কর,নাইলে থাপড়ে দাত ফেলে দিব,আমিত বলছি আমি তকে...

ফাহমিদুলকে আর বলতে না বলল আম্মি আসছি।,ফাহমিদুল ও চাচি আসছে ভেবে ছেড়ে দিল।

ফারিয়া দৌড়ে ছাদে উঠল তেজ যা বলল ত সব বলল আরুসী আর আরিফাকে।

___________________________
রাতে আর ছাদে যাওয়া হয়নি দাদন এর অসুস্থ হওয়ার কারনে।ওনি সবাইকে ওনার রুমে নিয়ে বসিয়ে রাখছে। 
তরু উদ্দীন আসেননি তা দেকে ফারিয়া তরু উদ্দীনের রুমে গেল গিয়ে চা্চ্চুর পাশে বসল।

চাচ্চু আজ বাকি কতাটা বলো। বলি তুমি বরং তুমার ছোট চাচিকে বলো দুকাফ কফি দিতে। আচ্ছা বলে নিচে গিয়ে বলে আসল। 
এসে আগের যায়গায় বসল, 
তরুউদ্দীন বলা শুড়ু করলেন। 
-  আমি ইন্টারে পড়ার সময় আফিয়ার প্রেমে পড়ি, পরে আমাদের মধ্যে একটা সম্পর্ক হয়। এর মধ্যে বড় ভাইজান ভাবিকে নিয়ে বাড়িতে উঠে বাবা সাথে সাথে ভাইজানকে বাড়িথেকে বের করে দেন,বাবা বলেছেন এজীবনে জাতে কখন ভাইজান বাড়িতে না আসে।  পরে এঘটনা আমি আফিয়াকে খুলে বললাম। আফিয়া সব শুনে বলল তুমি বরং বাবা আমাদের কথা বলে দেখ। ও যা বলল আমি তাই করলাম বাবাকে এসে বললাম বাবা মুখের উপর বলে দিয়েছে আমি যদি ওকে বিয়ে করি তবে আমাকেও ভাইয়ার মতো শাস্তি দিবে, আমি বাবাকে কত আকুতি করলাম বাবা কিছুতেই রাজি না। কারন আফিয়ার বাবা নেই গরীব ঘরের মেয় বাবা মনে করেন আফিয়ে লোভে পরে আমাকে ভালোবেসেছে।আফিয়াকে সব বললাম আফিয়া সব শুনে বলল তুমি বরং তুমার বাবার প্রছন্দে বিয়ে কর আমাই ভুলে যাও। সেদিন আমি আফিয়াকে দরে কতখন কান্না করলাম কিন্তু ও আমাই ছেড়ে চলেই গেল।
আমি ওকে কত বলেছি চলো পালিয়ে যায় না ও যাবে না।

~ বলতে বলতে তরুউদ্দীন কান্না করে দিল। ফাতিয়া উদ্দীন এ নাও চাচা ভাতীজীর কফি, কি নিয়ে গল্প হচ্ছে, 
এমনি ছোট চাচি। ফাতিয়া উদ্দীন চলে গেল। 
তরু উদ্দীন দীর্ঘ শ্বাস ফেলে জানিস মা... 
~~ সেদিন যদি পরিবারের কথা না ভেবে আফিয়াকে বিয়ে করে নিতাম তবে হয়ত আমার ভালোবাসাটা পূর্নতা পেত~

একটা বাচ্চা হলে কিংবা কেউ মরলে হয়ত পরিবার মেনে নিত। হেয় আমি ফাতিয়ার সাথে ভালো আছি, সুখে সংসার করছি, কিন্তু পিছুটান টা আজও রয়ে গেলরে মা। 
~কিছু মানুষকে ধংস করার জন্য পরিবারই যথেষ্ট ~

ফারিয়াও কান্না করে দিয়েছে চাচ্চু জড়িয়ে ধরে। তরু উদ্দীন ও কান্না করছে। অনেকদিন ধরে মনের ভীতরে কথা গুলো লুকিয়ে রেখেছে আজ বলতে পেরে অনেকটা হালকা লাগছে।

তরু উদ্দীন কান্না তামিয়ে বলল আমি তর দাদুর প্রতি একারনে রাগ করিনি। 
-তবে কেন রাগ করছো চাচ্চু।

- এর কিছুদিন পর আমি গেলাম আফিয়ার সাথে দেখা করতে ওবলেছিল মাঝে মাঝে আসবে। তাই গেলাম গিয়ে প্রায় এক ঘন্টা বসে রইলাম ও আসেনি। এভাবে মাখানিক আমি মাঝে মাঝে যায় কিন্তু ও আর আসে নি। আমরা যে গাছতলায় বসতা এর পাশে একটা মামা মোমো বিক্রি করত আমি গিয়ে মামাকে জিগাইলাম। মামা কইল তুমি আফিয়া মামুনির কথা জিগাও। আমি হুম।কত দিন ধরে তুমার অপেক্ষায় এধর তিন মাস আগে আফিয়া মামুনি এটা আমারে দিয়া গেল তুমারে দিতাম,বলল ওর কথা জিগাইলে যেন এটা তুমারে দেই।
আমি মামার হাত থেকে চিঠিটা নিলাম নিয়ে খুলে পড়ে আমি অবাক বাবা আফিয়াকে বলছে এখান থেকে চলে যেত বাধ্য করেছে চলে যেত। 
~~কফি ফুরিয়ে গেল অতীত নারে
ঠিক তেমনি ও চলে গেছে ভালোবাসা না ~~

-------------
সকালে ঘুম থেকে উঠে দুই বোন নাস্তা করে চলে গেল প্রাইভেটে। পরে ইস্কুলে এসে সবাই বসল আজ তাদের গোয়ালমুখী গ্রামে গোরির দোকানের চা খাবা কথা। সবাই যেতে নিলে আরিফা আপত্তি করে বলে আম্মুকে বলেনি। এটাশুনে ফারিয়া মুখ ভ্যংচ- বললেই দিত ।
ফারিয়া আরিফার কানের কাছে গিয়ে কালকের কথা ভুলে গেলি বাগান পরিষ্কারে সাহয্য করেছিলাম এমনি এমনি নাকি,আমি আর তুই এখন সবার সাথে চা খেতে যাব বাড়িতে সমস্যা হলে তুই সামলাবি। আরিফা আর কি বলবে কালকে কথা দিয়েছিল। আইশ্যাডো ইস্কুল থেকে গোয়ালমুখী গ্রামে যেত ৪৫ মিনিট লাগবে। সবাই একটা জীপে উঠে গেল গোয়াল মুখী গ্রামে নিয়ে যাবে আবার ফিরে আসবে ভাড়া ঠিক হলো ৪০০. আজ আর ক্লাস করেনি কেউ। ফাইজা, রুশা,আদিবা, বাসাই বলে এসেছে। 
অন্তু আহিয়া বলেনি বললে দিবেনা তাই। দশটায় রওনাদিল এরা।


--
তেজের রুমের সামনে দাড়িয়ে আরুসী..
- আসব
তেজ দরজার দিকে তাকিয়ে 
- আসো
আরুসী কফি মগটা এগিয়ে দিয়ে..
- এ নাও তুমার কফি 
তেজ হাত থেকে কপিটা নিয়ে..
- তুমি কোন কলেজে পরো।

-কন্ডিগেডে কলেজে মাস্টার কমপ্লিট করছি। 

আমিও। তবে আমি হেডগেড কলেজে, একই দ্বীপ। 
- হুম। আমি জানি। 
- ওহ
কিরে আরুসী একই দ্বীপে পড়িনা বলে তুই কি আমাই কফি দেসনি বলল ফাহমিদুল। 
না ভাইয়া বড় আম্নু বলল তেজকে কফি দিতে তাই।

আরুসী ঘুম তেকে উঠে নাস্তা খেতে আসল। তখনই শিউলী উদ্দিন বলল আরু মা এ কফিটা  তেজকে  দিয়ে আই। আরু আর না করল না যাই হক একটা সুযোগত পেল তেজকে দেখার। 
---------
আরিফ আলভি  মিরাজ সিয়াম ক্লাসে বসে ভোর হচ্ছে কেননা আজ বিচ্চু বাহিনীরা তাদের জ্বালাচ্ছে না। প্রথমে ওদের প্রতি বিরক্ত হলেও এখন ওদের ছাড়া বোর লাগছে। 
তাই আজ আর টিফিন আওয়ারের.ক্লাসে এলো না বাসাই চলে গেল। 
---- 
বাড়িতে ডুকতেই শিউলীউদ্দিন কোথায়গেছিলে। ফারিয়া নিজের মতো করে চলে যাচ্ছিল আরিফা পিছন থেকে ধরে রেখে। 
আরিফা - কোথাওত না।

- ত বিকেলে কেন বাসাই আসলে।  

- এমনি মা এমনি।
ফারিয়া আমি কিন্তু দুজনকে জিজ্ঞেস করছি কিছু বলছ না কেন।

- আপু জানে। তাই না আপু বল।

আরিফা হে আম্মু একটা দরকদর ছিল তাই।

- বাড়িতেকে বলে যেতে পারতে। আরিফা তোমার থেকে এটা আসা করেনি।

ফারিয়া নিজের মতো করে উপরে যাচ্ছে, ওর মা কি বলল তাথে ওর কান নেই। 
আরফি কাঁদো কাঁদো মুখ করে 
- সরি আম্মু, আর হবে না প্রমিস। 
শিউলী উদ্দিন, সবাইকে কল করে জানিয়ে দিছে ওরা চলে এসেছে।এতখনে বাসার সবাই জেনে গেছে আরিফা আর ফারিয়া আজ ইস্কুলে যায়নি, আসমা মেম কল দিয়ে জিজ্ঞেস করল ওরা অসুস্থ কিনা।

----------------------------------------------------

ফারিয়া রুমে এসে গোসল করে রুমে আসতে আরিফা বলল তুই এমন কেন, ওভাবে মায়ের সামনে ফাসিয়ে দিলি কেন।ফারিয়া মনমরা হয়ে..

- একটা জিনিস দেখলি আরিফা আজকে আম্মু ইকটুও কথা শুনাইনি, আর যদি আমি বলতাম  আম্মু একটা দরকার ছিল তবে দেখতি কত কি বলত আমি এমনি,আমি জীবনে ঠিক হব না, আরও বলত আমি গেছি ভালো কথা তকে কেন নিয়ে গেছি,বলতে বলতে চোখ থেকে দু ফুটো গরিয়ে পড়ল।

- কিবা বলবে ও যা বলল তাতো সত্যি। তাই বলে তুই এমন করবি। 
আরিফা ফারিয়াকে জড়িয়ে ধরে হয়েচে আর  ইমোশনাল হতে হবে না যা খেয়ে আই।

- তুই গোসল করে আই।
ওরা এসেছে শুনে আরুসী এলো জিজ্ঞেস করতে ওরা দুজন কোতায় গেছে তখনই দরজায় দাড়িয়ে কথা গুলো শুনলো, ও অবশ্য ঠিকই বলেচে। 
- বন বিড়াল কই গেছিলি। 
আরিফা ওয়াশরুমে চলে গেছে, ফারিয়া... জানতে চাইলে বিকেলে চাচ্চুর রুমে এসো ওকে।

কিরে কই গেছিলি। ফারিয়া পিছনে ফিরতেই ফাহমিদুল দেখে জানতে চাইলে বিকেলে চাচ্চুর রুমে এসো 
- এখন বলতে কি সমস্যা। বল।

ফারিয়া রাগ দেখিয়ে 
- কত বার বলব,এখন তুমাকে পরে আব্বুকে, আবার চাচ্চুকে, আপুকে ওহ তারচেয়ে বরং একসাথে শুনে নিয়েন।

এতখনে ফাহমিদুল ফারিয়া কাচে চলে এসেছে। তাদের মধ্যে এক ইনচির চেয়ও কম যায়গা ফাকা।
- সবার সাথে আমার কথা কেন বললি তুই। বল কোথা গিয়েছিস, কেন গিয়েছিলি।

ফারিয়ার দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বলছি ইকটু সড়ে দাড়াও।

ফাহমিদুল আরইকটু ঝুুকে গেল ফারিয়ার দিকে 
- কেন ফিলিংস হচ্ছে, চাইলে চমু খেতে পারিস।

অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে ফারিয়া ফাহমিদুল এর দিকে কি বলবে এখন ও।

- আরে ভাইয়া তুমি, কখন এলে।

ফাহমিদুল পিছনে ফিরে আরিফাকে দেখে.. 
- এইত এখনি। কোথায় গেলি আজকে।

- গৌয়ালমুখী গ্রামে গৌরির দোকানের চা খেতে.

আরিফাকে দেখার সাথে সাথে ফাহমিদুল ফারিশার থেকে সরে আসে, আরেকটু থাকলে হয়ত একটা অঘটন ঘটে যেতে। 
দুবোন নিচে নেমে খেয়ে ড্রয়িংরুমে বসেছে.।আজ আড্ডা টা চাচ্চুর রুমে না ড্রয়িংরুমে হবে। 
~~~
একে একে সবাই এলো বিষেত ও যাদেরকে আজকের ভ্রমটা বলতে চায়। চাচ্চু বাবা আরুসী এদেরকে বলতে চায় কিন্তু এখন এখানে ফুপি,  তেজ,ফাহমিদুল, ফাতিয়া উদ্দীন আছেন।

সবার হাতে কফি আর ড্রয়িংটেবিলে মমো।

দুদিন আগেই প্ল্যান ছিল যাবার। তাই অনেকেি বাসা থেকে বলে এসেছে আমারা আটজন গেছি। আমি আরিফা,আদিবা,রুশা,ফাইজা,অন্ত,আহিয়া,ইতু।ইস্কুল থেকে গোয়ালমুখী গ্রামের গৌরির চার দোকানে যেতে ৪৫ মিনিট, প্রথমে ভেবেছিলাম যাব চা খেয়ে চলে আসব,তাই জীপ রিজাপ করলাম ৪০০ গাড়ি দিয়ে যাওয়ার সময় কি সুন্দর রাস্তা শাড়ি শাড়ি পাহাড়,কোলহাল মুক্ত কত গবাদী পশু। প্রজাপতি এক ফুল  থেকে উড়ে আরেক ফুলে বসচে জনশূন্য এলাকা, কি সুন্দর এককথায় অপরুপ। 
জানো সবচেয় ইন্টারশটিং ব্যাপার হচ্ছে আমরা জীপ তেকে নেমে গৌরির দোকানে গিয়ে আমরা গৌরিরকে খুজতেছি তখন একটা ইয়াং ছেলে বলল আমি গৌরির, সবাই একে আপরের দিকে চাওয়া চায়ি করছে। 
চায়ের ক্যাফটা গুরলাম, ছোট একটা ক্যাফ দশজনের বেশি একএে কেউ বসে পারবে না। তিনটা টেবিল, সুন্দর ফুলের বাগান প্রজা প্রতি  উড়চে। সাইডে নদী। বেশি একটা মানুস নেই। একটা চা ২০ তবে আমাদের থেকে ১০ রাখছে আমরা এত দূর তেকে গেছি আবার স্টুডেন্ট। চা কেয়ে পুরো ক্যাফে ঘুরতে ২ ঘন্টা লাগছে।

সবাই একএে তবে বিকেলে বাড়ি কেন এলে।

কারন আমরা হেটে এসেছি।

ছোট চাচ্চু 
- এত রাস্তা কিভাবে হাটলে।

আরুসী 
- রাস্তা কিভাবে চিনলী।
আরিফা
- ড্রাইভার আংকেলও এসেছে আমাদের সাথে।

তেজ
- তরা পাগল নাহয় বুঝলাম কিন্তু ড্রাইভার? 
আব্বু 
- আর কোন দিন যাতে না শুনি তুমার মা খুব রেগে।

ফুফি 
- হয়েচে এবার ওদের যেত দাও, কতটা পথ জার্নি করল।
ফাতিয়া উদ্দীন 
- আর কেউ কিছু খাবে নাকি আমি গেলাম। 
ফারিয়া
- তেজ ভাইয়া আজকে কিন্তু ছাদে যাবেই গল্প করতে।

তেজ
- ইয়া শিউর রাতে।

ফারিয়া 
- ঠিক আছে।

______________________
আরিফা তরা আয় আমি গেলাম ছাদে। ফারিয়ার আজকের মিশন তেজ আরুসীকে পছন্দ করে কিনা দেখবে।

তেজের রুমের সামনে গিয়ে, ভাইয়া আস ছাদে আপুরাও আসছে। তুই জা আমি আসছি।

ফারিয়া গান গাইতে গাইতে ছাদে চলে এলো এসে দেখল ফাহমিদুল দুলনায় বসা ফাহমিদুল কে দেখে বিকেলের কথা মনে পড়ল ফারিয়ার কতটা কাছে চলে এসেছিল, তাই এ বজ্জাত বেটার কাছে যাওয়া যাবে না। 

  • - ফারিন কিছু কথা ছিল।
  • -  আমার সাথে তিমার কি কথা, আমি কথা শুনতে চায় না।
  • আরিফা আর আরুসী এসে গেছে ছাদেে।, তেজও এসেচে সবাই গোল  হয়ে বসেছে..

  •  

Comments

    Please login to post comment. Login