লাশের সাথে আছে ভেবে ভয় করছে না মিতার। বরং অসহায় লাগছে, তাকিয়ে আছে ছেলেটার দিকে। নিজের হাতে নিজের রেপিস্টকে মেরে ফেলেছে সে। অতীতে কি ছিলো, ভবিষ্যৎ কি হবে সব আজ ধুয়াসা অথচ মিতার একমাত্র ভাবনা এই তো ছিলো।
এখন ও কি করবে। পুলিশে জানাবে, নাকি লাশটার কোনো সদ গতি করবে। কিছুই বুঝতে পারছে না। মস্তিষ্ক কাজ করছে না। কি হবে, কি করবে। পুরোনো স্যাঁতস্যাঁতে রুমটায় বসে ভাবনায় ঢুবে আছে সে।
"ওই কিরে, কি অবস্থা, কি করস। অনলাইন গল্প পরিস। আর কাজ নাই তোর। "
পিছন ফিরে তন্ময়কে দেখতে পায় কুহু। এই ছেলেটা কেমন গায় পড়া। একদম বিচ্ছিরী। মোটেও ভালোলাগে না কুহুর। কিন্তু কিছু করবারও নেই।বার বার বলা সত্ত্বেও তন্ময় সবসময় কুহুকে বিরক্ত করে। কোথাও শান্তি নেই।
"তন্ময়, ডিস্টার্ব করিস না তো। সবে সবে একটা উপন্যাস শুরু করেছি। "
"কি উপন্যাস, দেখি। "
"সর সর, একদম কাছে আসবি না। এই তুই এমন কেনো। এমন গায়ে পড়া ছেলে আমি একটাও দেখি নি। "
"তোর হবু জামাই আমি। আমি গায়ে পড়বো না তো কে পড়বে। "
কোনো উত্তর দেয় না কুহু। মেজাজটা বিগড়ে গেছে। শান্তিতে গল্প পড়ারও সুযোগ নেই।
কুহু আর তন্ময়ের পরিচয় এক মাসও হয়নি। তন্ময় যেনো কুহুর পিছনেই পড়ে আছে। মামির সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে গিয়েছিলো । মন খারাপ ছিলো কুহুর। মন খারাপ থাকলে আবার শাড়ি পড়ে সে। লাল পেড়ে কালো শাড়িতে দেখেছিলো তন্ময় ওকে। প্রথম দেখায় ভালোলেগে যায় কুহুকে । পরে কুহু জানতে পারে তন্ময় আসলে ওর বড় মামির কাজিন। এক মাসের লম্বা ছুটি কুহুর। মামার বাসায় বেড়াতে এসে কি ঝামেলায় পড়লো সে।
"এমন কি কখনো হয়েছে যে তুমি চাও না অথচ তোমার সাথে কারো বার বার দেখা হয়। আমার সাথে আগে কখনো হয়নি, কিন্তু এখন হয়। আর অদ্ভুত ব্যাপার কি জানো, আমার দিনক্ষণ সব মনে থাকে যদিও আমি মনে রাখতে চাই না।"
"কিরে কি লিখে রাখছো তোর ডায়রিতে।"
এতক্ষণ তন্ময় ওর ডায়রীটা জোরে জোরে পড়ছিলো।
"এই তুই আমার ডায়রি কেন পড়ছিস, একদিন মানা করছিলাম, মনে নাই। আর তুই আমার রুমে কি করিস। "
"এটা তো ডায়রি না, সাহিত্য। ভাই তুই জানিস ওই ছেলের প্রেমে পড়ছিস তবুও মানতে চাস না। "
বলে মিট মিট করে হাসতে থাকে তন্ময়।
" সো ফানি। বাট ইটস নট ইউ ওকে।"
" অল রাইট। দেখা যাবে।"
70
View