সৃজনের মামার কিডনির সমস্যা কারণে মৃত্যুবরণ করেন। এজন্য স্বাভাবিকভাবেই সৃজন তার পরিবারসহ চলে গেল তার মামার বাড়ি। যাওয়ার সাথে সাথে সৃজনের মা কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো। তার একমাত্র ভাই মরে গেল। সৃজনের নানু তো আধমরা অবস্থা। সেদিন আসরের পরে জানাজা পড়তে পড়তে মাগরিবের ১০ -১৫ মিনিট আগে জানাজা শেষ হলো। মামার জন্য সৃজনের মন ভীষণ খারাপ।
ছোটবেলা থেকে মামা তাকে খুব আগলে রাখত। মামা বাড়ি এলে সৃজনের আর কোন দুঃখ কষ্ট থাকত না। সে যা চাইতো মামা তাকে কিনে দিত।
সৃজন শেষবারের মতো মুখ দেখার জন্য মামার লাশের কাছে যায়। তারপর যখনই মামার মুখের উপর থেকে কাপড় উঠল তখন মামা তার দিকে চেয়ে রইল। এটা স্বাভাবিক, সে তার মামার মুখের উপর কাপড়টা দিতে গেল। তখনই তার মামা হাত দিয়ে কাপড়টি সরিয়ে দিয়ে বলল,"আমাকে কবর দিও না। আমাকে তোমরা কবরের মধ্যে রেখে দিও না।"সে ভয় পেয়ে অন্যদের দেয় ডেকে বলল, “মামা বেঁচে আছেন।”সবাই যখন বারান্দায় গেল, তখন দেখল যে, মামাতো মর অবস্থায় খাটে শুয়ে আছেন। সবাই ভাবল যে, সৃজন ভয় পেয়ে মনে হয় উল্টোপাল্টা জিনিস দেখছে। কিন্তু সৃজন জানে সে উল্টোপাল্টা কিছু দেখেনি। তার মামা কথা বলছে।
সৃজন সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে, সে উল্টোপাল্টা কিছু দেখেনি। কিন্তু কে শুনে কার কথা। সুজনকে বকাঝকা করে তারা লাশ দাফন করতে যায়। তখন সৃজনকে মাটি দেওয়ার জন্য ডাকা হলে সে যেতে চায় না। অনেক জোরাজোরি করার পর সে তার বাবার সাথে যেতে রাজি হয়। তারপর সে তার বাবার সাথে গিয়ে মাটি দিয়ে বাসায় আছে। আজ রাত তারা সে বাসায় থাকবো। তারপর সে খাওয়া দাওয়া করে চাদর পেঁচিয়ে এক ঘুম দে।
হয়তো তখন মাঝরাত। সৃজন ঘুম থেকে উঠে দেখতে পায়, তার মামার মত দেখতে কেউ পাঞ্জাবি পড়ে মসজিদের দিকে যাচ্ছে। সে ভাবলো, কে মসজিদের দিকে যাচ্ছে?
সেও বিছানা থেকে নেমে তার পিছু নিয়ে মসজিদে সামনে যেতেই আর কাউকে খুঁজে পেল না।। সে আতঙ্কিত হয়ে গেল। সকালে তার সাথে ঘটে যাওয়া , ঘটনাগুলি মনে পড়ল। বাড়ির দিকে দৌড় দিল।
কিন্তু সে দেখল সে আবার মসজিদের সামনে এসে পরল। অনেকবার চেষ্টা করল বাড়ির দিকে যেতে কিন্তু ব্যর্থ হল। তাই সে মসজিদের ভিতরে ঢুকলো। সেখানে প্রথম পাঁচ কাতার পুরো সাদা কাপড় পড়া অনেকগুলো মানুষ নামাজ আদায় করছে। ভয়ানক ব্যাপার সেটা ছিল, সেখানে তার মামার লাশও ছিল। অনেক ভয় পেল। সে বাইরে গেল। দেখল হাজার হাজার ছায়া তারা সব মসজিদের পাশের কবরের লাশ। সে সেখানেই অজ্ঞান হয়ে গেল।
সকালে সে নিজেকে তার মামা বাড়িতে পেল। সবাই তার পাশে শুয়ে আছে। তাকে দেখে মসজিদের সামনে পাওয়া গেছে। সে আগের রাতে সব ঘটনা খুলে বলল। কিন্তু কেউ তার কথা বিশ্বাস করলো না। কিন্তু, তার মামার বড় ছেলে তার কথায় সম্মতি দিল। সেও তার মামার মৃত্যুর আগে এরকম কিছু দেখছিল। সে বলল,"তার মামার মৃত্যু সাধারণ না । এর পেছনে বড় কোন রহস্য রয়ে আছে।
তা হয়তো জানবে পরের পড়বে।