আমার ছেলেবেলা। ছোট ছোট হাত পা। বড়বড় গাছপালা। মধ্যেখানে রঙিন টিনের ঘর।তপ্তদুপুর।
খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো
বর্গী এলো দেশে,
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে
খাজনা দেব কিসে?
ধান ফুরালো পান ফুরালো খাজনার উপায় কি?
আর কটা দিন সবুর করো রসুন বুনেছি।
ছড়ার পর ছড়া। সবুর আর হয় না আমার। ছটফট করতাম কখন উঠে পালাবো। প্রিয় বলটা নিয়ে একা একা খেলব। সন্ধ্যে হলে মা হাঁটত ,পাশে পাশে আমিও।
আর আমাদের সাথে সাথে চাঁদ। একটা নতুন বল, একটা লাল টেপ,চুল কাটানোর তাড়া। একটা রঙিন জামা, একটা ক্রিকেট ব্যাট, একমালা পাটালি গুড়, একটা ডালিম, সব কিছুতে একটা মা। এতো একবেলার কথা। একদিনের লিখতে লিখতে তো রাত ভোর হয়ে যাবে। কখন যে মস্তিষ্কের প্রতিটি নিউরনে বর্গী হামলা করলো খবর এ রাখিনি। মাঝে মাঝে মনে হয় জোনাক জ্বালা সন্ধ্যায়, আবার হাঁটবো, পাশে পাশে মা , আর আমাদের পাশে চাঁদ, শীতের বাতাসে গুটিগুটি মায়ের চাঁদরের নীচে, গায়ে মায়ের উম।
মহান স্রষ্টার কাছে আমার গোপন কিছু সওদা আছে। তার মধ্যে একটা মা।
কেউ যদি জিজ্ঞেস করে আপনার দেখা সব থেকে ভালো মানুষ কে, সব থেকে নিঃস্বার্থ মানুষ কে, আমি দ্বিতীয়বার চিন্তা না করেই বলে দিব, মা। হয়তো আমার জীবনে দেখা প্রথম ও শেষ ভালো মানুষ।