পর্ব ১: পাখার পিছে পাগলামি
বাঁশতলা গ্রামের সবাই পাগল হয়ে গেছে। না না, মনের দিক দিয়ে না, গরমের জ্বালায়।
চৈত্র মাসের দুপুর। সূর্য আকাশের বুক চিরে নামতে নামতে যেন বলছে, "খোকা, আর একটু সেঁকে খাও!" গ্রামে কারো মাথায় চুল নেই, কারো পেট ভরাট নেই, কিন্তু সবার ঘরে একটা জিনিস আছে—“পাখার স্বপ্ন”।
ময়না বুড়ি তার হাটুর ব্যথা ভুলে সারা বাড়ি ঘুরে একটাই কথা বলছে,
"এই রে! পাখা দে পাখা! কাঁথার নিচে থাকি, তাও যেন রোদের ভেতর গরম চা খাই!"
এদিকে ভুবন চাচা, যিনি গরমে রাগে ফুঁসছেন, হাঁসের পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে বললেন,
"জীবনে অনেক কিছু করলাম, কিন্তু হাঁসের সাথে গোসল? এই প্রথম!"
গ্রামের সবচেয়ে চালাক বালক—ঝন্টু, সে নিজের ঘরের পাখা চালাতে গিয়ে দেখে বিদ্যুৎ নেই।
তখন কী করল জানো?
সে একটা তালপাতার পাখা হাতে নিয়ে ছোট ভাইকে বলল,
"তোকে এখন থেকে বলি ‘ঝড় বাহিনী’! চল, আমি ঘুমু, তুই বাতাস দে।"
ছোট ভাই বুঝল না, সে হাত নাড়িয়ে এত বাতাস দিল যে ঝন্টুর মাথা থেকে টুপি উড়ে পাশের গরুর মাথায় গিয়ে বসে!
সন্ধ্যায় সবাই মিলে আলোচনা করল—
"এই গরমে বাঁচার উপায় কি?"
ভোলা মিয়া বলল, "আইসক্রিম!"
পাল্টা রিনা বলল, "আইসক্রিম খেতে গেলেই পেট খারাপ হয়, তোর মাথাই খারাপ।"
তখন হঠাৎ করেই, গ্রামের পাগল রাজা মিয়া একটা বালতি নিয়ে চিৎকার করে উঠলো,
"সমাধান পাইছি! চলো, সবাই মিলে গ্রামের মাঠে গিয়ে বরফ বৃষ্টি করি!"
সবাই হা করে তাকিয়ে, "বরফ বৃষ্টি মানে?"
রাজা মিয়া ব্যাখ্যা করলো—
"বালতির মধ্যে বরফ রেখে মাথায় ঢালো, মনে হবে আকাশ থেকে ঠান্ডা নামছে।"
এদিকে, হেডমাস্টার স্যার গরমে এত কষ্ট পাচ্ছিলেন যে ক্লাসে ঢুকে বললেন,
"আজকের পাঠ: পঁচিশটি উপায়ে কীভাবে গরমে টিকতে হয়!"
ছাত্ররা তো মহাখুশি, বই না খুলেই বলল,
"স্যার, প্রথম উপায়: স্কুলে আসা বন্ধ করে দেওয়া!"
সবাই হেসে গড়াগড়ি, স্যারও মুখে বাঁকা হাসি দিয়ে বললেন,
"ঠিক বলছো, আমি কাল থেকে অনলাইনে পড়াবো, ফ্রিজের পাশে বসে।"
গল্প এখানেই শেষ নয়…
বাকিটুকু ২য় পর্বেই জানবো