#ফাসি
#পর্বঃ৪
#লেখকঃশিহাবুজ্জামানশাওন
,,,,,,,,,,,,,,,,,,
আরে রানা ভাই কেমন আছেন? আপনাকে তো দেখায় যায় না (আমি+রাকিব)
রানা ভাইঃএকটা কাজের জন্য দেশের বাহিরে গিয়েছিলাম।রাতে দেশে বেক করেছি তো তদের কি খবর,আর রাকিব তর কি খবর,
রাকিবঃআছি ভাই কোনা রকম।
রানা ভাইঃক্লাস নাই তদের?
আমরা ঃ হুম আছে ভাই।আচ্ছা ভাই কলেজে আছেন তো ক্লাস করে পরে একসাথে আড্ডা দিবোনি।
রানা ভাইঃঅকে
ক্লাস করে রানা ভাইয়ের সাথে আড্ডা দিয়ে বাসায় আসলাম।
আম্মুঃতো মাইশাকে বলেসিস যে তুই তাকে পচ্ছন্দ করিস
আমিঃনা আম্মু এখনো বলি নাই।কিন্তু কাল বলে দেবো।যা থাকে কপালে।
আম্মুঃবেষ্ট ওফ লাক
কাল কলেজে গিয়ে আমি আমি সরাসরি মাইশার কাছে চলে গেলাম।
আমিঃমাইশা তোমার সাথে আমার কিছু কথা ছিলো।
মাইশাঃকি বলবি তারাতারি বল।আমি ক্লাসে যাবো।
আমিঃI Love You😍
এ হৃদয়েকে তোমার নামে শূন্য রেখেছি,
তুমি আসবে বলে। তোমার হাসি মাখা ঐ মুখটি আমার হাসির যেন একমাত্র কারণ একমাত্র উৎস।
তোমার কোমল স্পর্শ আমার হৃদয়ে আনন্দের বন্যা তুলে দেয় হে প্রিয়তমা।
তোমার মুখটি দেখে আমি ভুলে যাই পৃথিবীর সকল কষ্ট, বেদনা।
এই হৃদয় প্রশান্তি পায় তোমার উপস্থিতিতে। আমার এই মন প্রশান্তি খুঁজে বেড়ায় তোমার মাঝে.
তোমার মাঝে খুঁজে পাই আমার চিরচেনা ভালোবাসা.
হে প্রিয়া আজ তুমি আপনের চেয়েও আপন. এ হৃদয়ে তোমারি আধিপত্য, তোমারি রাজত্ব,।
তোমার কাছ থেকে পাওয়া ভালোবাসা টুকু আমার বেঁচে থাকার প্রেরণা।
মরে যাব সেদিন,শেষ করে দেবো নিজেকে , যেদিন অবহেলা করবে আমায়। আর ভালবাসবে না আমায়।
যদি কেউ প্রশ্ন করে আমায় কোনদিন হে প্রিয় তমা- আমার কাছে তোমার গুরুত্ব কতটুকু?
আমি তাকে বলব -
আত্মা ছাড়া যেমন দেহ বাঁচে না, ঠিক তেমনি তোমার গুরুত্ব আমার কাছে ততটুকু।
তুমি আমার আত্মার সাথে মিশে গেছো মিশে গেছো। আমার হৃদয়ের মাঝে। তাই তোমায় ছাড়া এ জীবন মূল্যহীন। কোন দাম নেই জীবনের তুমি ছাড়া।
কখনো ছেড়ে যেও না আমায়। এ হৃদয় কি সামলাতে পারবো না তুমি ছাড়া।
যদি যেতেই হয় কোন দিন, নিজ হাতে আমাকে হত্যা করে যেও হে মায়াবিনী। বেঁচে থাকার শাস্তি দিয়ে যেও না হে প্রিয়তমা।
তুমি আমার সবচেয়ে কাছের। সবচেয়ে প্রিয়। আমার প্রথম এবং শেষ ভালোবাসা
ঠাসসসসসসসসসসসসস
ঠাসসসসসসসসসস
,মাইশাঃতর সাহস হয় কিভাবে আমায় এসব কথা বলার,
দূর হো সামনে থেকে কুত্তা ভালোবাসা৷ ফকিন্নির আবার ভালোবাসা
(এখানে একটা কথা বলে রাখি মাইশা জানতো না যে ওদের প্রিন্সিপাল ম্যাডাম শাওনের মা)
আরো ওনেক অপমান করে শাওনকে,কান্নায় অপমানে সে কলেজ থেকে চলে আসে
রাকিব শাওনকে অনেক ডাকে কিন্তু শুনে না।।
বাসায় এসে দরজা লাগিয়ে অনেক কান্না করে,,
আর ভাবে এতোটা অপমান নাউ করতে পারতো।
আর এদিকে মাইশা ভাবছে কতো বড়ো সাহস আমায় ভালোবাসার কথা বলে,পুরা কলেজে দিছি আজকে অপমান করে। বুঝ কেমন লাগে।
আর এদিকে শাওনের আম্মুও জেনে গেছে কলেজের বিষয়।বাসায় এসে শাওনের আম্মু শাওনকে অনেক বোঝায় যে, মাইশা তর জন্য না। তুই ওকে ভুলে যা।
আমিঃআম্মু তুমি একদিন বলেছিলে আমাকে আর মাইশাকে অনেক ভালো মানাবে, আমাদের সংসার হবে টক ঝাল মিষ্টি,
আম্মুঃহ্যা আমি বলেছিলাম কিন্তু আজকে কলেজে এমন ঘটনা ঘটার পর আমি চাইনা তুই মাইশা কে কিছু বলিস
আমিঃআম্মু রাকিব যেমন আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ঠিক তুমিও আমার বেস্ট ফ্রেন্ড, কাজেই আম্মু আমি তোমার সাথে সব কিছু শেয়ার করি,জীবনে কখনো কোনো মেয়ের সাথে কথা বলি নি,ভালোবাসা তো দূরে,জীবনে এই প্রথম একাটা মেয়েকে ভালবেসেছি, তাকে কিভাবে ভুলে যাবো৷ এই বলে শাওন কেদে দিছে😭😭
তখন শাওনের আম্মু শাওনকে বলে, বাবারে কখনো তর কোনো ইচ্ছা আমি বাদ রাখিনি। আশা করি যা করবি,বুঝে শুনে করবি।।
এমন সময় শাওনের বোন সাবিহা আসে।
বলে ভাইয়া যদি আমার কেউ ভাবি হয় সে হবে মাইশা।
best of luck
ওকে আমার পেত্নি বইন।।
সাবিহাঃআম্মু দেখো ভাইয়া আবার আমায় পেত্নি ডাকছে৷
আম্মু+আমিঃহাহাহাহাহায়া
সাবিহাঃ😭😭😭😭 নেকা কান্না
শাওন পরেরদিন আবার কলেজে যায়।
আর মনে মনে মাইশাকে খুজে
কিরে মামা কাকে খুজিস।
আমিঃওওও মামা তুই দুরহহ কাকে খুজব।কাউকে না
রাকিবঃএতো অপোমানের পরেউ তুই মাইশাকে চাস।।আমি হলে তো কোনদিন লাথি মাইরা চইলা আসতাম
ওইইইইইই কি বললি?
রাকিবঃবাবু তুমিইইইইই
তানজিলা ঃ হ্যা আমি তুই কি বললি আমায় লাথি মাইরা চলে আসতি।।
রাকিবঃনা বাবু আমি কি তা করতে পারি। ।
তানজিলা ঃ তর আজকে খবর আছে ওই শাওন আমি রাকিবরে নিয়ে গেলাম যা তুই ক্লাসে আমারা আয়তাছি
রাকিবঃমামা আমায় বাচা আমি অকালে মরতে চাই না মামায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া
আমিঃহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহ৷
শাওন হাসতে হাসতে ক্লাসে চলে আসে।
এসে দেখে যে মাইশা অর ফ্রেন্ডের সাথে আড্ডা দিচ্ছে ।শাওন কিছু না বলে সামনে একটা যায়গা খালি ছিলো সেখানে বসে পরে।
মাইশাঃকিরে কাল কেমন লাগলো।
হাহাহাহাহাহাহাহাহা।তর মতো ছেলে আমি দুইএকটা হাতে নিয়ে ঘুরী
শাওন এসব কথা সজ্য করতে না পেরে ক্লাস রুম থেকে বের হয়ে পরে
আর বাসায় চলে আসে।আর ভাবে আমায় যতই অপমান অবহেলা করোক আমি ওকে আমার করে নেবই।এভাবেই দিনকাল চলছিলো, শাওন মাইশাকে অনেক বার ভালোবাসি ভলেছে আর তার প্রতিদান হিসাবে পেয়েছে অপমান আর অবহেলা।
শাওনের মন খারাপ ছিলো দেখে রাকিব অরে নিয়ে একটু বাহিরে বের হয়,হঠাত শাওন দেখতে পায়,,,,
চলবে..........
,,